মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১৪

 


#পাঠঃ১৪

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

 

চাদনিঃ না ভাবলাম তোমরা একা একটা গিয়ে কি করবে। তাই তোমাদের সময় দিতেই আসলাম আর কি।

 

আমিঃ হুমমম বুঝছি। আর ঢং করতে হবে না। জান্নাত কে ডাক দেও। 

 

চাদনিঃ হুমম দিচ্ছি। 

 এই জান্নাত তাড়াতাড়ি আসো বোন আমার।

 

জান্নাতঃ না আমি যাব না তোমরাই যাও। 

 

চাদনিঃ

আরে আসো তো। আচ্ছা সরিইই এখন আসো প্লীজ দেড়ি হয়ে যাচ্ছে তো।

 

আমিঃ জান্নাত দেড়ি করে গেলে বেশিক্ষণ ঘুরতে পারবি না কিন্তু। 

 

জান্নাতঃ হুমমম আসতেছি। 

 

তারপর তিন জনে মিলে চলে আসলাম চাদনিদের বাসার পাশে একটা পার্কে। 

বাইকটা রেখে তিনজনে মিলে চলে গেলাম ভিতরে।

 

কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে,,,,,,,,,,, 

আমিঃ এই জান্নাত কি খাবি বল।

 

জান্নাতঃ আমিতো চকলেট আর আইসক্রিম খাবো।

 

আমিঃ আচ্ছা চল তাহলে। 

 

চাদনিঃ আমি কিন্তু ফুসকা খাবো।আর জান্নাত তুমি ফুসকা খবে না।


জান্নাতঃ হুমমম ভাবো তো। আগে চকলেট আর আইসক্রিম খাবো তারপর ফুসকা খাবো।

 

আমিঃ বেশি বকবক না করে চল কি কি খাবি খা।

 

জান্নাতঃ এই রকম ভাবে কথা বললে কিছুই খাব না😓😓😓😓।

 

চাদনিঃ এই তুমি থাম তো। সব সময় খালি রাগ নিয়ে থাকে। 

 

আমিঃ আচ্ছা অনেক হয়েছে চলো। 

 

জান্নাতঃ হুমমম।

 

তারপর আমরা তিন জনে একটা একটা দোকানের কাছে এলাম। চকলেট আর আইসক্রিম নিলাম।

 

হঠাৎ করে কোথায় থেকে যেন একদল ছেলে সামনে চলে আসলো। আর বলতে লাগলো,,,,,,,,,,,,,,,,

একটা ছেলেঃ কি খবর ভাইয়া একটা হয়ে দুজন কে নিয়ে ডেটিং এ আসছেন নাকি😁😁।

 

আমিঃ ভাইয়া একটা আমার গফ আর এইটা আমার বোন।

 

সেঃ তাই নাকি। তাহলে তুমি গফ কে রেখে বোনটাকে আমাদের হাতে তুমে দেও। তুমি গফ নিয়ে মজা করো আর আমরা তোমার বোন কে নিয়ে।

 

আমিঃ ভাই একটু বেশিই না সরি অনেক বেশিই বাড়াবাড়ি হয়ে গেলো না। 

 

আরেকজনঃএই জনি ভাই যা বলছে চুপচাপ সেটাই কর। নাহলে দেখবি শেষে ২ টার একটাকেও পাবি না বুজলি।

 

জনিঃ শালা এখানে যারা আসে তারা সবাই বলে তার সাথে নাকি বোন এসেছে। আমার এসব কথা শুনতে শুনতে পাগল হয়ে গেছি।

 

আমিঃ ভাই আপনারা সরেন তো সামনে থেকে। মাথা গরম করাবেন না কিন্তু।

 

জনিঃ এই আমাদের এলাকাতে এসে আমার সাথেই পাকনামি করিস। মেরে হাত পকেটে ঝুলিয়ে দিবো বুঝলি। এই শাওন যে কোনো একটাকে নিয়ে আয় তো।

(শাওন নামে একজন কে বলল)

 

শাওনঃ ভাই এটাকে নেই(জান্নাতকে দেখিয়ে) বয়সও কম। আর দেখতেই সেই।

 

আমিঃ ভাই ভালো মতো বলছি চলে যান না হলে কিন্তু খারাপ হয়ে যাবে।

 

জনিঃ এই কি করবি তুই। আর শাওন নিয়ে চলে দেখি ও কি করে।

 

আমিঃ ওকে নিয়ে যা। ভালো মতো বললাম। তো তাই শুনলি না। এখন পারলে ওদের কারো(জান্নাত আর চাদনিকে দেখিয়ে) টার্চ করে দেখা। 

 

শাওনঃ ওকে এই দেখ।


বলেই শাওন যেই জান্নাতের হাতটা ধরতে আসবে ঠিক তখনই পকেট খেকে আমার প্রিয় বার্মিজ টা বের করে দিলাম হাতের মধ্যে ঢুকিয়ে। 

সোজা হাতের উল্টো পাশ দিয়ে বের হয়েছে।

 

শাওন জোরে চিৎকার দিয়ে উঠলো। 

এটা দেখে সবাই চুপ হয়ে গেলো। আশে পাশে থাকা সকলের চোখ আমাদের দিকে পড়লো।

 

জনিঃকুত্তার বাচ্চা তোর banner push topper এতবড় সাহস তুই আমার লোকের গায়ে হাত দিস। দেখ আজকে তোকে কি করি। আর এই দুটোকেও নিয়ে যাব।

 

আমিঃ হাহাহাহাহা। তোরা আবার আমার কি করবি। 

ভালোয় ভালোয় বলছি চলে যা। না হলে সবাইকে মরতে হবে। এমনিতে রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে। 

 

জনিঃ কেন মা** দুটো দেয়নি নাকি 🤪🤪🤪🤪🤪।

 

আমিঃ (মাথাটা পুরাই গরম করে দিলো। এতোক্ষণ যা বলছে কিছু বলি নাই। এবার তো বলতেই হবে)

 

সোজা গিয়ে জনির বুকে একটা লাথি মারলাম। সে কয়েক হাত দুরে গিয়ে পড়ল।

 ওর সাথে থাকা ৬-৭ জন মিলে আমাকে মারতে আসলো। 

আমিও পাশে থেকে একটা বাশের টুকরো উঠিয়ে কয়েকটা বাড়ি মারলাম।  

কারো হাতে,কারো পায়ে, বাড়িগুলো লাগছে।

 

জনি কোনো কথা না বলে শাওনের হাতের ভিতর থেকে বার্মিজটা বের সোজা আমার ডানের ঘাড় বড়াবড় ঢুকিয়ে দিলো। 

চলবে

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !