ছেলেটি গরিব বলে
১২
লেখক. আরিয়ান আহমেদ শুভ
,,
,
,,
বর্ষা . কুত্তা তুই এই কথা এখন বলছিস কেন যখন আমাকে ভালোবাসতি তখন এই কথা মনে ছিলোনা
শুভ. তখন তোমাদের বাড়িতে থাকতে থাকতে ভুলেই গেছিলাম যে আমি এতিম আমার কিছুই নেই এখন বুঝতে পারছি তাই তোমাকে বলছি তুমি চলে যাও তুমি আমার থেকে অনেক ভালো ছেলে পাবে
বর্ষা . তোমার থেকে ভালো ছেলে আমার লাগবোনা আমার তোমাকে হলেই চলবে
শুভ. পাগলামি করোনা আমি কখনো তোমাকে শুখে রাখতে পারবোনা
বর্ষা. তুমি কি আমাকে একটু ভালোবাসা আর দু বেলা দু মুঠ ভাত দিতেও পারবেনা এটাও যদি তুমি আমাকে দিতে না পারো তাহলে আমি তোমার থেকে চিরজিবনের জন্য চলে যাচ্ছি আজকের পর থেকে তুমি আমাকে আর খুজে পাবেনা এই বলে বর্ষা চলে যেতে লাগলো তখনই শুভ তার হাত ধরে হেচকা একটা টান দিয়ে বর্ষাকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিল
বর্ষা. শুভ কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে কেদে কেদে বলে তুমি আমাকে আটকালে কেন আমাকে ছেড়ে দাও তুমি তো আমাকে শুখে রাখতে পারবেনা
শুভ. পাগলি তর সুখের জন্য এই শুভ তার জিবনটাও বিলিন করতে পারে
বর্ষা. তুমি এমন কথা বলোনা আমি তোমাকে ছাড়া কিছুতেই থাকতে পারবো না
তখন শুভ বর্ষার কপালে একটা চুমা দিয়ে আবার বুকের সাথে জড়িয়ে নেই (কিছুখন পর )
বর্ষা. চল আমরা বিয়ে করি
শুভ. কিহহহ. তোমার মত পেত্নিকে কে বিয়ে করবে আমি পারবোনা
বর্ষা. কিহহ আমি পেত্নি তবেরে দাড়া আজ তর খবর আছে এই বলে শুভকে ধাক্কা দিয়ে খাটের উপর ফেলে দেয় পরে বর্ষা তার বুকের উপর উঠে কিল আর ঘুসি একা ধারে মারতে থাকে বল আরো বলবি আমি পেত্নি
কিন্তু শুভ আর কথা বলেনা তার চখ আর খুলেনা বর্ষা ভয় পেয়ে যাই এই শুভ তোমার কি হলো প্লিজ চখ খোল আমি তোমাকে আর কখনো মারবো না প্লিজ চখ (খোল কেদে কেদে)
তবুও শুভ চখ খুলেনা বর্ষা কান্না করে শুভ কে ধাক্কাচ্ছে আর বলছে তুমি চখ খোল প্লিজ শুভ চখ খোল
শুভ . চখ খুলে হেসে দেয় তুমি এরকম ভীতু
বর্ষা . তাকে হাসা অবস্হায় দেখে বর্ষা তার বুক থেকে উঠে চলে যেতে লাগে
শুভ বুঝে যাই তার ফাইজলামিটা বেশি হয়ে গেছে বর্ষা তার উপর রাগ করেছে
তখন শুভ বর্ষার হাত ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে নেই
বর্ষা. তখন ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করে আমাকে তোমার কষ্ট দিতে অনেক ভালো লাগে তাইনা তোমার যত ইচ্ছা আমারে কষ্ট দিও
শুভ. ,,,,,, সরি আর কখনো ঐরকম করবো না প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও
বর্ষা . আগে আমাকে বিয়ে করো তারপর
আচ্ছা চল তোমাকে বিয়েই আগে করবো তারপর তোমাকে দেখে নিবো তুমি আমার জালাতন কতটুকু নিতে পারো
বর্ষা. একটা হাসি দিয়ে আমি ও দেখবো তুমি কতটুকু পারো এই বলে তারা কাজি অফিসের দিকে গেল
আর এদিকে বর্ষার বাবা কিরে মা ১০ টা বেজে গেল এখন পর্যন্ত ঘুম থেকে উঠলানা উঠ মা কখন থেকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি এই বলে দরঝায় হাল্কা ধাক্কা দেয় সাথে সাথে দরজা খুলে যাই বর্ষার বাবা ভিতরে তাকিয়ে চমকে উঠে কারন বিছানার সমস্ত কিছু সুন্দর করে ঘুছানো দেখতে পাই পরে ভিতরে ঢোকে বর্ষাকে এদিক সেদিক খুজতে লাগে তখনই একটা চিঠি পাই
চলুন দেখে আসি কি লেখা আছে
বর্ষার বাবা চিঠি খুলে পরতে শুরু করলো
বাবা তুমি মনে করেছো আমাকে ছোট থেকে অনেক আদর যত্নে বড় করেছে আমার চাওয়া কোন জিনিস তুমি অপুর্ন রাখনি
কিন্তু আমি তেমন তোমার আদর পাইনি সারা দিন তুমি অফিসের কাজেই ব্যস্ত থাকতে আমাকে সময় দিতেনা তাই আমি আমার খেলার সাথি হিসাবে শুভকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আসি যানো বাবা তার সাথে চলাফেরা করতে করতে কখন যে তাকে ভালোবেসে ফেলেছি আমি নিজেও জানিনা
আর এটা তুমি যেনে একটা সরযন্ত্র করে আমার থেকে শুভকে সরিয়ে দিলে জানো ঐ দিন আমি অনেক কস্ট পেয়েছিলাম শুভ আমাকে ধোকা দিল
কিন্তু বাবা যখন আমি জানতে পারলাম এতে শুভর কোন দোষ নেই শুভ গরিব বলে তুমি তাকে মেনে নিতে পারবেনা আর আমি তোমার কাছে আবদার করলেও তুমি না করতে পারতেনা তাই তাকে আমি আবদার করার আগেই তাকে আমার জিবন থেকে সরিয়ে দিলে
বাবা তুমি তোমার টাকাটাই বুঝলা আমার সুখটী কোথায় তা তুমি বুঝলেনা তাই তোমাকে তোমার টাকার কাছেই রেখেগেলাম আর আমি আমার সুখের কাছেই চলে গেলাম
আরেক টা কথা বাবা তুমি শুনে রাখো যদি তুমি তোমার ক্ষমতা দিয়ে আমাকে খুজ তাহলে কিন্তু এই বাড়িতে আমার লাশ আসবে
ইতি
তোমার হতভাগা মেয়ে
বর্ষার বাবা চিটিটা পড়ে মাথাই হাত দিয়ে বসে পরে আমি এটা কিকরলাম
চলবেেেে.......
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।