ব্রেস্টফ্রেন্ড যখন বউ । পর্ব ৬

 


ব্রেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ 


পর্ব ০৬


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


©©©©®® abdul motin©©©©©©©


 হঠাৎ একদিন তাদের ভালোবাসায় বৈশাখী ঝড় নেমে আসে 

বর্ষা একদিন শুভকে ফোন দিয়ে একটা পার্কে আসতে বলে 


বর্ষার কথা অনুযায়ী শুভ সেখানে যাই 


শুভ// কিরে এত জরুরি ডাকলি কেন কোন সমস্যা 


বর্ষা// তকে এভাবে না ডাকলে তুই আসতে লেট করতি তাই এমন ভাবি ডাকছি 

চল এখন ঘুরতে যাবো 


শুভ// আচ্ছা চল 


অতপর তারা দুইজন ভিবিন্ন জাইগাই ঘুরতে যাই 


ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ বর্ষা সামনে ফোসকার দোকান দেখতে পাই তখনই বর্ষা ফুসকা দেখে বলে উঠে আমি ফুসকা খাবো 


শুভ// আচ্ছা চলো 


অতপর তারা ফেসকা একজন আরেক জন কে খাওযাতে থাকে আর হাসি তামাশা করতে থাকে 


আড়াল থেকে কেউ একজন তাদের সমস্ত কাজ কর্ম ভিডিও করতে থাকে 


অতপর তারা আরো কিছুখন ঘোরাফেরা করার পর বাড়ির দিকে রউনা হয় 


পরের দিন শুভ বর্ষার জন্য একটি গাছের নিচে অপেক্ষা করতে থাকে 


তখনই কয়েক জন লোক তার সামনে আসে 

১ম জন এই তর নামই কি শুভ 

শুভ// হুম 


শুভ হুম বলার সাথে সাথেই কিছু না বলে শুভকে মারতে থাকে মারতে মারতে শুভকে সারা শরির রক্তাক্ত করে ফেলে 


এদিকে বর্ষা দুর থেকে শুভকে মারা দেখে 


মুচকি একটি হাসি দিয়ে চলে যাই 


লোক গুলি শুভকে মারতে মারতে সেন্সলেস করে চলে 


ঐ দিক দিয়ে তখন একটা প্রাইভেট কার দিয়ে একটি লোক যাচ্ছি লো 


শুভকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই 


শুভর জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে বেডে শুয়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে বলতে থাকে আমি এখানে কি করে এলাম কে নিয়ে আসলো আমাকে 


নার্স // আপনি শান্ত হন আমি ডাকতেছি কে আপনাকে নিয়ে আসলো এই বলে নার্স বের হয়ে যাই কিছুখন পর নার্স একটি ভদ্র লোক নিয়ে আসে 


নার্স // এই যে ইনি আপনাকে নিয়ে আসছে 

তার সাথে কথা বলো 


শুভ// আংকেল আপনি কে আপনাকে তো চিনতে পারলাম 


লোকটি // আমাকে চিনতে পারবে না বাবা আমি এই ঢাকা শহরে একটা কাজে আসছি 

তোমার জন্যই ২দিন থাকতে হলো এখানে 

তুমি আজ ২ দিন ধরে অজ্ঞান হয়ে আছো 

 তোমাকে কে বা কারা যেন মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে গেছে আমি তোমাকে দেখে হাসপাতালে এনেছি 

এখন একটা কাজ করো তুমি তোমার পরিবারের ফোন নাম্বার দাও আমি ফোন করে তাদের তোমার অবস্থার কথা বলি 


শুভ// না আংকেল বাসায় শুধু আমার মা আছে আর কেউ নাই আমার আর মা যদি শুনে আমি হাসপাতালে তাহলে মা হইতো স্টোক করে মরেই যাবে 


লেকটি //আচ্ছা জানাবো না কিন্তু আমি তো আর এখানে থাকতে পারছিনা তাহলে তোমার সেবা কে করবে আচ্ছা একটা কাজ করি আমি ডাক্তার কে বলে যাই যেন তুমি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত যেন তারা তোমাকে দেখে রাখে টাকা পয়সাও দিয়ে দেব 


আর এই নাও আমার একটা কার্ড যদি কেন দিন কোন কিছুর দরকার হয় 

তাহলে চলে এসো 


১০ দিন পর শুভ মোটা মুটি সুস্থ হয়ে মেসে চলে আসে 

এর মধ্যে বর্ষা তার কোন খুজ নিতে আসেনি 


আরো ১ সপ্তাহ পর শুভ তার ভার্সিটি গিয়ে দেখতে পায় বর্ষা একটি ছেলের কুলে শুয়ে আছে 


তা দেখে শুভ রেগে যাই এতপর সেখানে গিয়ে ঠাসসস ঠাষসস করে বর্ষার গালে ২ টা থাপ্পর মারে 


এই কইদিন কথা বলিনাই তর সাথে থাকিনাই দেখে আরেক জোগাড় করে ফেলেছিস 

কেন তুই এমন করলি আমার সাথে কেন আমাকে ধোকা দিলি আমি তো তকে ভালো বাসতে চাইনি কেন ভালোবাসা শিখালি আমাকে কেনই বা বিয়ে করলি 


বর্ষা/// কুত্তার বাচ্চা তুই ভাবলি কি করে যে আমি তকে ভালোবাসবো তর কি যোগ্যতা আছে আমাকে ভালোবাসার তর চেহারা টা একবার আয়নাই দেখছিস দেখতে তো একদম উগান্ডার বলদের মত দেখায় আর সে সপ্ন দেখে আমার মত সুন্দরী মেয়ে নাকি তার জিবন সঙ্গি হবে 

 তুই কোন হিসেবে আমাকে জিবন সঙ্গি ভাবতে চাস আর তুই ভাবলি করে আমি তর সাথে সংসার করবো যদিও আমি ভুল করে যেতাম তর বাসায় তাহলে যে আমাকে দিয়ে মানুষের বাড়ি কাজ করাতি না এটা কি তুই বলতে পারবি তর একটা ভাব ছিলো মেয়েদের সাথে কথা বলতি না তাই আমি তর সাথে এতদিন ভালোবাসার নাটক করেছি আর বিয়ে ওটা তো একটা ছেলে খেলা একটা সাইন দিলেই সব শেষ

 আর শোন চিন্তা করিস না তকে কিছুদিনের মধ্যে তালাক দিয়ে আমার এই জানু টাকে বিয়ে করবো চলো জানু এরকম ছোট লোকের সাথে কথা বলে মান সম্মান নস্ট করতে চাইনা এই বলে বর্ষা ছেলেটিকে নিয়ে চলে যাই 

এদিকে শুভ বসে বসে ভাবতে থাকে আমি তকে বন্ধু ভেবেই তর সাথে থাকতে চেয়ে ছিলাম কিন্তু তুই আমাকে বন্ধু না ভেবে অপমান করলি আমাকে তর রুপের বড়াই দেখালি 


তুই যখন আমাকে বন্ধ ভাবলিনা আমি কেন তকে বন্ধু ভাববো 


আমি তর এমন অবস্থা করবো যাতে করে জিবনে কাউকে মুখ দেখাতে না পারিস 

না পারিস কারো জিবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে 


চলবে,,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !