গল্প Ex বর যখন অফিসের বস
পর্ব ২
আরিয়ান আহমেদ শুভ
আদিলা শুভর পায়ের আওয়াজ পেয়ে সালাম করতে যাই তখনই শুভ তার পা টান দিয়ে তুই আমার পা স্পর্শ করবিনা তকে আমি ঘৃন্যা করি তকে দেখলেই আমার শরির গিন গিন করে সর তুই সামনে থেকে
আদিলা মাথা নিচ করে কেন তুমি আমার সাথে এমন করো সেই ছোট বেলাই যখন বাবা মা কে হারিয়ে তোমাদের বাড়িতে আসছি তখন থেকেই আমার সাথে খারাপ আচরন করো কেনো ?
কেন তুমি আমাকে দেখতে পারোনা ?
জানিনা আমি তোমার মাঝে কি দেখেছি তোমার প্রত্যেক টা করা অপমান আর গালি গুলো আমার কাছে ভালোবাসা মনে হয় আমি সেগুলো ভালোবাসা হিসেবেই নেই
আমি তোমাকে কত বার প্রপোজ করেছি তা হয়তো বলতে পারবো না কিন্তু তুমি বারবার আমাকে গালি গালাজ করতে তবুও আমি তোমার পিছনে বেহায়ার মত পরে থাকতাম আর আজো আছি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তুমি কেন বুঝতে পারো না
, তুমি কেন আমাকে ভালোবাসো না কি নেই আমার মাঝে আমি কি তোমাকে স্ত্রীর সুখ দিতে পারবো না আমি কি সন্দরী নই কলেজের কত ছেলেরাই আমার জন্য পাগল ছিল আর আমি শুধু তোমার পাগল কেন শুধু তুমি আমার সাথেই এমন আচরন করো তুমি অন্য মেয়েদের সাথে তো কত সুন্দর করে কথা বলো
শুভ /// শুনতে চাস কেন আমি তর সাথে এমন করি শুন তাহলে
যেই ছোট্ট বেলাই যখন তর বাবা মা রোড একসিডেন্টে মারা যাই আর সেদিনই তুই আমাদের বাডিতে চলে আসিস মানে তকে আমার বাবা নিয়ে আসে কারন তুই বাবার বন্ধুর মেয়ে ছিলি তুই কোথায় থাকবি সেই চিন্তা করে
তুই আমাদের বাড়িতে আসার পরেই আমার বাবা মা তকে বেশি আদর করা শুরু করে আমাকে অবহেলা করে
আমি দেখতাম সবসময় শুধু তকেই বেশি আদর করতো তখন আমার মনে হতো তুই যেন তাদের আসল মেয়ে আমাকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছে যদিও তকে তুলে এনেছিলো আমি তাদের কিছুই বলতে পারতাম না
আমাকে যদি পাচ হাজার টাকার মার্কেট করে দিত তকে দিতো দশহাজার
শুধু তর কারনে আমার বাবা মা আমাকে আদর কম করেছে
যখন স্কুলে ভর্তি হলাম রেজাল্ট খারাপ করলে আমাকে বকা দিত তর রেজাল্ট ভালো দেখে তর কারনেই বাবা মা আমাকে বকা দিত
যখন বড় হয়ে কলেজে ভর্তি হলাম তখন মেয়েদের সাথে কথা বললে বাসায় এসে বলে তুই আমাকে গালি শুনাতি তর কারনে আমি কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক করতে পারতাম না যদি কোন একটা মেয়ের সাথে রিলেশন করতাম তুই তাকে ভুলভাল বুঝিয়ে রিলেশনের ১২টা বাজিয়ে দিতি আমার জিবনটাই তুই নরক বানিয়ে ফেলছিস
আর আজ তুই কি করলি আমি আমার gf এর সাথে কথা বলছিলাম দেখে
এই আম্মু দেখ তোমার ছেলে আমাকে এড়িয়ে চলে কার সাথে যেন ফোনে লুতুপুতু গল্প করছে তুমি কিছু বলো নাহলে কিন্তু আমি কিছু করে বসবো তুমি আজকেই তারসাথে আমার বিয়ে দাও যেন কারো সাথে লুতুপতু গল্প না করতে পারে
এগুলো কি তর দোষ না তর জন্য আজ আম্মু আমাকে মরার কথা বলে ব্লাকমেইল করে তরে আমার ঘাড়ে ঝুলাইছে
জানিনা আব্বু আম্মু তর মাঝে কি দেখেছে যার জন্য তকে সবসময় চখে চখে রাখে আদর যত্ন করে
আদিলা // এগুলো কি আমার দোষ আব্বু আম্মুর কোন মেয়ে না থাকায় আমাকে তাদের মেয়ের মত লালন পালন করেছে
আমাকে তারা ভালোবেসেছে
আর আমি যেদিন থেকে ভালোবাসা বুঝতে শিখেছি সেদিন থেকেই তোমাকে ভালোবেসে আসছি তাইতো কলেজের কোন মেয়ের সাথে কথা বললে আমার সহ্য হতো না দেখেয় বাসায় বলে দিতাম বা তাকে তোমার বিষয়ে খারাপ কিছু বলতাম যেন সে তোমার থেকে দুরে সরে যাই আমি তোমাকে প্রপোজ করার আগে আব্বু আম্মুকে বলেছি যে আমি তোমাকে ভালোবাসি তোমাকে আমি বিয়ে করতে চাই আব্বু আম্মু আমার কথায় রাজি হয়ে যাই তাইতো আমি এসব কিছু করেছি বার বার তোমাকে প্রপোজ করছি এগুলো কি আমার দোষ বলো আমি তো তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য এমন করেছি
শুভ /// হ্যা এগুলো তর দোষ তর কারনেই আমার জিবনের কোন স্বাধিনতা নেই তর কারনেই আমি কোন মেয়ের সাথে রোমান্স করতে পারিনা কাউকে ভালোবাসতে পারিনা
আদিলা /// রোমান্স করতে হলে তুমি আমার সাথে করবে আমি সবসময় তোমার ডাকে সাড়া দেব ার ভালোবাসলে আমাকে ভালোবাসবে অন্য মেয়েকে কেন ??
আর তুমি কি একটি বারো আব্বু আম্মুকে বলছো তারা আমাকে কেন আদর বেশি করে বলোনাই আচ্ছা আজ আমি বলবো নি যেন তারা এখন থেকে তোমাকে বেশি আদর করে তবুও প্লিজ এর সাজা তুমি আমাকে দিওনা
শুভ /// চুপ কর বুড়ি মা,,,, তর কথা আমার শুনতে ইচ্ছা করেনা
আদিলা // আমাকে তুমি বুড়ি কেন বলো আমি কি তোমার অনেক বড় মাত্র তো দুই বছরের বড়
শুভ // আদিলার কথায় রেগে গিয়ে বুড়ি মা,, যদি তুই আর একটা কথা বলিস তো তকে আমি খুন করে ফেলবো
আদিলা /// শুভ প্লিজ আমি তোমার পা ধরে বলছি তুমি অতিতের সব কিছু ভুলে যাও চলো নতুন করে শুরু করি আমাকে একটি বার ভালোবেসে দেখো আমি কখনো তোমার গায়ে চুলের আচর ও পরতে দিবনা
কষ্ট নামক জিনিসও তোমাকে কখনো সহ্য করতে হবে না শুধু একটি বার ভালোবেসে দেখ আমাকে ((পা ধরে ))
শুভ // আদিলার কথা শুনে আদিলাকে চুলের মুষ্ঠি ধরে দাড় করাই তকে আমি ভালোবাসবো তুই ভাবলি কি করে তকে দেখলে আমার ঘা জ্বলে যাই তকে আমি এই বাড়ির কাজের লোক ভাবি এছাড়া অন্য কিছুনা দাড়া তকে আজ ভালোবাসা দিচ্ছি এই বলে আদিলাকে শুভ জুরে ধাক্কা দেয়
শুভর দেওয়া ধাক্কার জুকি আদিলা সামলাতে না পেরে খাটের সাথে বারি খেয়ে সেন্সলেস হয়ে পরে যাই
অতপর শুভ যখন দেখতে পাই আদিলা কোন কথা বলছে না চুপ করে পড়ে আছে
তখন শুভ মনে মনে বলতে থাকে যাক কিছু সময়ে জন্য আপদ টা তো বিদায় হলো আমি এই সময়ের মাঝে ঘুমিয়ে পরি
যেই ভাবা সেই কাজ শুভ আদিলাকে ফ্লোরে ফেলে রেখে খাটে একাই শুয়ে ঘুমিয়ে যাই
এদিকে আদিলার জ্ঞান ফিরলে দেখতে পাই সে ফ্লোরে পড়ে আছে আর শুভ শুয়ে ঘুমিয়ে আছে
অতপর আদিলা কষ্ট করে উঠে শুভর পাশে বসে শুভর ঘুমন্ত মুখ দেখতে থাকে
আর বলতে থাকে দেখতে কত সুন্দর নিষ্পাপ একটা বাচ্চা যেন কিছুই বুঝেনা কিন্তু বান্দর টা একটা সাইকো কবে যে আমার ভালোবাসা বুঝবে আর কবে যে একটু বলবে আদিলা আজ একটু কাছে আসো তোমাকে মন ভরে আদর করবো তোমার এতদিনের করা কষ্ট আজ ভালোবাসা দিয়ে সব কিছু ভুলিয়ে দেব তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসা দিবো
আমি সেই দিনটার অপেক্ষা করবো প্রিয়
তুমি যতই আমাকে অবহেলা করো আমি তোমার শক্ত মনে আমার ভালোবাসার ফুল ফোটাবোই এই বলে আদিলা শুভর কপালে তার নরম ঠোটের ছোয়া দিয়ে শুভর বুকে মাথা দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে যাই
পরের দিন শুভ চোখ খুলেই ....
চলবে ,,,,,
গল্পটি কেমন হয়েছে জানাবেন
আপনাদের সাড়া পেলেই পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবো ইনশা আল্লাহ
আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।