গল্প ভাবির বোনের মিথ্যা অপবাদ পর্ব ৪২

 #গল্প_ভাবির_বোনের_মিথ্যা_অপবাদ

#পর্ব_৪২

#আবু_আমাতুল্লাহ

আরিয়ান আদিলাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে এমন পাগলামি কেন করলি আমি এখন কাকে নিয়ে বাঁচবো

এমন সময় আদিলা বলে উঠে যখন এতই ভালোই বাসো তো কষ্ট কেন দাও কেন এত অবহেলা করো

যখন আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না তখন কেন আমাকে দুরে রাখো

তারমানে ?

তোমার কি মনে হয় আমি বিষ খেয়েছি ??

আরে পাগল আমি এতো পাগলি নয় যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করবো

মরে গেলে আমার কি লাভ হবে তোমাকে তো হারিয়েই ফেলবো তো লাভ কি হলো

আমি দেখতে চাইছিলাম তুমি কি আমাকে ভালোবাসো নাকি সত্যি ঘৃনা করো

আদিলার এমন কথা শুনে আরিয়ান আদিলাকে ছেঁড়ে দিয়ে

সমস্ত শক্তি দিয়ে তার নরম গালে থাপ্পর বসিয়ে দেয়

তকে আমি কতটা বিশ্বাস করেছিলাম আর তুই এমন ভাবে নাটক করলি যা সারা জিবন মনে থাকবে

আর হ্যা তর সাথে আজ থেকে আমার আর কোন সম্পর্ক নেই

ভেবেছিলাম তকে মাফ করে দিয়ে আবারো আগের মত সংসার করবো কিন্তু তুই কখনো ঠিক হবি না তুই আবারো কাটা ঘা তে লবন লাগিয়েছিস তাই তর সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক নাই তুই আর কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করবি না

এই বলে আরিয়ান রুম থেকে বের হয়ে যায়

আরিয়ান প্লিজ দাড়াও কোথাও যেওনা বিশ্বাস করো আমি তোমাকে রাগাতে চাইনি

আমি শুধু দেখতে চাইছিলাম তুমি আমাকে কতটা ভালোবাসো

কিন্তু আরিয়ান আদিলার আর কোন কথা

শুনে না বের হয়ে যায় বাসা থেকে

সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কিন্তু আরিয়ান আর বাসায় ফিরে না

তাই সে অস্থির হয়ে নিলিমার রুমে যায়

নিলিমা তোমার ভাইয়া কখন আসবে , কোথায় গেছে কি করে জানো কি ???

জানিনা এই বলে সে তার কাজে মন দেয়

নিলিমা বোন কাপড় ভাঁজ করতেছো কেন ?? কোথাও যাবে নাকি ??

কেন ভাইয়া আপনাকে কিছু বলেনি ?

নাহহ

ওহহ আচ্ছা

বলো কোথায় যাবে ?

ভাইয়ার থেকে শুনে নিয়েন

আর হ্যা আজ এই ফাইজলামি টা না করলেও পারতেন

জানেনই যে আগের বিষয়ই এখনো সমাধান হয়নি

তারপরেও আরেক টা ভুল করে বসলেন

জানেন ভাইয়া কতটা ভয় পাইছিলো

আমি আপনাকে আগেই বলছি ভাইয়া আপনাকে ভীষন ভালো বাসে যারপরনায় ভালো বাসে কিন্তু তারপরেও পরিক্ষা করতে গেলেন

এখন লাভ কি হলো আরো তো রাগিয়ে ফেলছেন

ভাইয়া এমনিতেই অনেক অভিমানি তারপরে একের পর এক ভুল করেই যাচ্ছেন

বিশ্বাস করো তোমার ভাইয়া যে এতে এতটা রেগে যাবে বুঝতে পারিনি আমি তোমার ভাইয়া কে রাগাতে চাইনি

হয়ছে এখন ভাইয়ার রুমে যান ভাইয়া এসে যাবে ,, যে ভাবেই পারেন রাগ ভাঙ্গান নতুবা সারা জিবনের জন্য প্রস্তাতে হবে ভাইয়া কে হারাতে হবে

নিলিমার কথা শুনে আদিলা আর সেখানে এক মুহুর্ত না থেকে

দ্রুত গতিতে আরিয়ানের রুমে চলে আসে

একটু পরেই আরিয়ান ও বাসায় ফিরে

তখনই আদিলা বলে উঠে সরি আরিয়ান আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাইনি তুমি যে এতো টা কষ্ট পাবে বুঝতে পারিনি

প্লিজ ক্ষমা করে দাও

অনেক রাত হয়েছে ঘুমিয়ে পর

আরিয়ান দিনে দিনে তোমার আচরন এমন কেন হচ্ছে প্লিজ একটু সাভাবিক হয়ে যাওনা , আমার আগের আরিয়ান কে আমি দেখতে চাই প্লিজ

তর হাতে পায়ে ধরি প্লিজ কথা বলিস না খুব খারাপ লাগতেছে

শরবত নিয়ে আসি তুমি দুই মিনিট অপেক্ষা করো

লাগবে না ঘুমিয়ে পর

আরিয়ানের কথা শুনে আদিলা কিছুখন তার দিকে মায়া ভরা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে অতপর তার বুকে মাথা রেখে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে

তাতে একটু পরেই আরিয়ান ঘুমিয়ে যায়

আর আদিলা কান্না করতে করতে বুক ভাসিয়ে ফেলে

অতপর এক সময় সেও ঘুমিয়ে যায়

পরের দিন আদিলা ঘুম থেকে উঠে দেখে পাশে আরিয়ান নেই

তাই সে দৌড়ে যাই নিলিমার রুমে কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখতে পায় খালি রুম টাই শুধু পড়ে আছে রুমের ভিতরে নিলিমার কোন জিনিস নেই সব কিছু নিয়ে চলে গেছে

তখনই হঠাৎ রাতের বলা নিলিমার কথা মনে পড়ে যায় যে তাকে চিরজিবনের জন্য হারাতে হবে, যদি তার রাগ ভাঙ্গতে না পারে

এই হারানোর ভয় আদিলার মনে আসতেই সে রুমে সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায়

এদিক থেকে সুমাইয়া বার বার আদিলার ফোনে কল দিতে থাকে কিন্তু কেউ তা রিসিব করছেনা তাই সে ভয় পেয়ে যায় , আর ভাবতে থাকে আদিলার আবার কিছু হলো না তো কেন সে ফোন রিসিভ করছেনা

দীর্ঘ সময় পরে আবারো ফোন দেয় কিন্তু ফোন কেউ রিসিভ করে না

তাই সুমাইয়া আদিলার খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য তার ভাড়া করা বাসায় চলে আসে

কিন্তু সেখানে এসে আরিয়ানের রুমে কাউকে দেখতে না পেয়ে আদিলার রুমে যায় আর তখনই দেখতে পায় আদিলা নিলিমার রুমের দরঝার সামনে পড়ে আছে

তাতেই সুমাইয়া তার কাছে গিয়ে তাকে ডাকতে থাকে আর বলতে থাকে এই আদিলা উঠ কি হয়ছে তর এখানে কেন শুয়ে আছিস ?

কিন্তু আদিলা কোন সাড়া দেয়না

তাই সে চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দেয় এতেও কোন কাজ হয়না

তাই উপরের ফ্লাটের কয়েক জন মহিলার সাহায্যে তাকে নিয়ে হসপিটালে চলে আসে

অতপর শরীর চেকাপ করে তার শরীরে স্যালাইন লাগিয়ে দেয় কেননা তার এই অবস্থা শরীর দুর্বলতার কারনে হয়েছে একটু চাপ নিতেই পারছে না

ঘন্টাখানিক পর আদিলার জ্ঞান ফিরে আসে

তখনই সুমাইয়া বলতে শুরু করে তকে কি বলছিলাম যে শরীরের যত্ন নিতে তুই এ কি করছিস শরীরের ?? ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করতে বলছিলাম না , কেন কথা শুনিস নি ? কি করছিস এটা

তর দিকে তো তাকানোই যাচ্ছে না ; কেন আমার কথা শুনিস না ,, যদি তর বড় কিছু হয়ে যেত কে তকে দেখতে যেত , আঙ্কেল ও বাহিরে আছে আরিয়ান ও তর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে

ভালোবাসিস ভালোবাসার জায়গায় রেখে নিজের শরীরের ক্ষতি করে তকে ভালাবাসা দেখাতে কে বলছে ??

আদিলা কোন কথা বলে না ড্যাব ড্যাব করে সুমাইয়ার রাগি চেহারাটার দিকে তাকিয়ে থাকে

কিরে বুধায়ের মত হা করে তাকিয়ে আছিস কেন ?? কথা বল ?

আর আরিয়ান কোথায় ?

জানিনা ,,

জানিনা মানে কি ??

হইতো সে আমাকে ছেঁড়ে চিরজিবনের জন্য চলে গেছে

রাসেল বলেছিলো না আরিয়ান ১৫ দিন পর দেশ ছাড়বে ?? আর আজ তো ১৫ তম দিন হতে পারে সে আমাকে ছেঁড়ে চলে গেছে , এই খারাপ মেয়েটাকে হয়তো তার আর দরকার নেই

রাতেও নিলিমা কিছুটা ইশারা ইঙ্গিত দিয়ে ছিলো বুঝতে পারিনি

এতো কিছুর পরও সে তকে ক্ষমা করে নি??

মুখে বলেছিলো ক্ষমা করেছে কিন্তু আচার ব্যবহারে বুঝা যাইনি যে ক্ষমা করছে

তো ভুলে যা তাকে তার থেকে ভালো ছেলে জিবনে পাবি

পারবো না দোস্ত তাকে ভুলে যেতে

তাকিয়ে হারিয়ে ফেলবো সেটা ভাবতেই মাথা ঘুরে পরে গেছি আর ভুলে যাওয়া টা তো কল্পনাতেও আসে না

আর কত দিন এভাবে কষ্ট করবি ?? নিজের শরীরের দিকে একটু তাকা দেখ এখন তকে কেমন দেখা যায় শরীরের অবস্থা টাই কেমন করে ফেলছিস তর দিকে তাকাতেই ভয় করছে

দোস্ত সে যতদিন আমায় ক্ষমা না করবে ততদিন এভাবে তার পিছনে পড়ে থাকবো

আমার বিশ্বাস যেদিন সে আমাকে ক্ষমা করবে সেদিন থেকে আমায় অনেক ভালোবাসা দিবে

জানিস দোস্তু তাকে আমি পরিক্ষা করেছিলাম সে আমাকে ভালোবাসে কিনা

পরে সে আমার জন্য কান্না করে দিছে

সে আমাকে ভীষন ভালোবাসে

আমার অপরাধের কারনে হয়তো সে আমাকে একটু এড়িয়ে চলছে

দেখবি একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে ;

তুই আমাকে শান্তনা দিচ্ছিস যেখানে আমি তকে শান্তনা দেওয়ার কথা

তর মত মেয়ে অামি কখনো দেখিনি রে

কি পেয়েছিস তার মাঝে যে তাকে ছাড়তেই চাচ্ছিস না

কিছুতো পেয়েছি তার মাঝে যেগুলো তকে বলতে পারবো না

আচ্ছা আরিয়ান কে ফোন দে তো দেখ তো সে কোথায় আছে

ফোন নাম্বার নাই আমার কাছে আমাকে ব্লক করেছে নাকি সিম চেন্জ করছে জানিনা

তুই দে ফোন

আচ্ছা দিচ্ছি

অতপর সুমাইয়া ফোন দেয় কিন্তু কোন লাভ হয়না

ফোন তো বন্ধ বলছে

হতে পারে সিম চেন্জ করছে ,এক কাজ কর দেখ তো অনলাইনে আছে কিনা

থাকলে সেখান থেকে দে

আচ্ছা

পরে সুমাইয়া আরিয়ান কে অনলাইনে দেখে কল করে

কিছুখন রিং হওয়ার পর ফোন রিসিভ করে আরিয়ান

আচ্ছা আরিয়ান তুমি এতো নিষ্ঠুর কেন ??

আমি আবার কখন করলাম ??

তুমি তাকে রেখে কেন চলে গেলে ??

আদিলা না হয় সয়তানের ধোঁকায় পরে ১টা ভুল করেই ফেলেছে তার জন্য তাকে এভাবে কষ্ট দিবে ??

তুমি কি দেখছো না সে তোমার জন্য কতটা পাগল না খেয়ে না ঘুমিয়ে তোমার কাছে বারবার ফিরে যাচ্ছে তার করা ভুলের ক্ষমা চাচ্ছে , কেন তাকে ক্ষমা করছো না? কেন এভাবে তাকে কষ্ট দিচ্ছো ??

এতো করে তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়া সত্যেও তুমি তাকে রেখে চলে গেলে ,

তুমি তো জানো তার বাসায় এখন তার বাবা নাই সে একা

যদি ও কিছু করে বসতো তখন কি হতো

দেখ আরিয়ান আমি তার হয়ে তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি প্লিজ তুমি তাকে আর এভাবে কষ্ট দিও না মেয়েটাকে আর অবহেলা করিও না অনেক কষ্ট দিয়েছো

এই কয়টা দিনে চেহারা কেমন করে ফেলেছে তার দিকে তাকানো যাচ্ছে না

প্লিজ তুমি তাকে ক্ষমা করে দাও

নতুবা এক বারে না করে দাও যে তুমি আর তাকে মেনে নিবে না বা তালাক দিয়ে দাও

আমি তার চেহারা এমন দেখতে পারছিনা তার এমন কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না কান্না করলে একদিনই করুক এভাবে যেন সারাজিবন আর না কাঁদে

তোমার কাছে যখন কোন ভুলের ক্ষমা নেই তো এভাবে সে কষ্ট করে কি করবে??

এভাবে জিবন শেষ করে দিলেও তো সে তার ভালোবাসার মানুষ কে কাছে পাবে না , তোমাকে নিয়ে বাকি জিবন পার করার সপ্ন টা তো পুরন হবে না

কথা বলা কি শেষ তোমার ??

হুম

এখন আমার কথা শুনো তাহলে

হুম বলো

১ তোমাকে কে বলছে আমি এখানে এক বারে চলে আসছি ??

তো কি তুমি তো নিজেই বলছো একবারে চলে যাবে

আমি একবারে আসিনি

তো আসবে কোনদিন

জানি না

এটা কেমন কথা ??

যেমন কথা হয়ে থাকে তেমনই

এখন বলছি তাকে মেনে না নেওয়ার কারন আমি তার জন্য কি করিনাই বিয়ে করার পর থেকে সে যখন যা আবদার করেছে যখন যা খেতে চাইছে তখনই তা এনে দিয়েছি তার আবদার পুরন করেছি কখনো তাকে না বলে তার মনে কষ্ট দেইনি সব সময় চেষ্টা করেছি যেন সে খুশি থাকে এমন কি রাতের ১টা নাই ২ টাই ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে অনেক কিছুর আবদার করতো সেটাও আমি হাসি মুখে পুরন করেছি

আর আমি মেয়েদের সাথে কথা বললে সেটা তার পছন্দ হয়না তাই নার্স দের কে তার কাছে পাঠিয়েছি তাকে দিয়ে নার্সদের থেকে তথ্য নিয়েছি

তার পরেও সে কি করে এমন করলো আমার সাথে ,কি অপরাধ করেছিলাম আমি ??

কেন সে আমাকে এভাবে অপমান করলো এত গুলি উপাধি দিলো আমার সাথে থেকেও আমার চরিত্র বুঝতে পারে নি সে?

যদি সে এসবের মাঝেই ক্ষান্ত থাকতো তারপরেও ভুল স্বীকার করলে ক্ষমা করে দিতাম কিন্তু সে সেদিন নিলিমাকে যা বলে ছিলো তাতে আমার ইগো তে লাগে

তার বলা কথা গুলি এখনো আমাকে তাড়া করে বেড়ায় সে কি বলেছিলো ?আমি ডিভোর্স না দিলে সে দিবে , তো দিতে বলো আমি তো নিতেই প্রস্তুত

আমি ডিভোর্স দিলে সে মরে যাবে না আরেক জনের হাত ধরে দিব্বি সংসার করবে ,, ? তো করতে বলো না বারবার কেন আমার কাছে ফিরে আসতে চাইছে ??

আমি ডিভোর্স দিলে তাকে বিয়ে করার জন্য ছেলেরা সিরিয়াল লাগাবে

তো তাকে না করছে কে?? সিরিয়াল লাগাতে বলো না ,,!!? সে তো আমাকে ছাড়া ভালোই থাকবে

তাকে বলে দাও অন্য কে নিয়ে সংসার করতে ,,

তার পিছনে ছেলেদের লাইন ধরাতে ,,

আমার কাছে ফিরে আসতে কেন চাচ্ছে

আমি তো খারাপ , তার সাথে চলার মত আমার যোগ্যতা নাই সে তো অনেক বড় লোকের মেয়ে তাদের দামি দামি গাড়ি বাড়ি আছে

আমার তো এসব কিছুই নেই আমি তো রাস্তার ফকির

তাই আমার দরকার নেই আমি ছোট লোক ছোট্ট একটা কুটির হলেই ঘুমাতে পারি রিক্সায় চলাচল করতে পারি তার মত দামি দামি গাড়ি বাড়ি লাগে না তার মত ভাল মেয়ে লাগবে না আমার আমার মত খারাপ ১টা মেয়ে হলেই সংসার চালাতে পারবো

তাকে বলে দিও আমি একা আছি অনেক ভালো আছি তার মত মেয়ে আর আমার জিবনে দরকার নেই

আদিলা আরিয়ানের এসব কথা শুনে আবারো সেন্সলেস হয়ে যাই

দেখ দেখ মেয়েটা কেমন হয়ে যাচ্ছে একটু চাপ নিতেই পারছে না এই বলে সুমাইয়া নিজেও কান্না করে দেয়

ভাই আমি তোমার কাছে পা ধরে ক্ষমা চাচ্ছি আমার বান্ধবী টাকে ক্ষমা করে দাও তাকে মেনে নাও

এর পরে যদি কখনো কোন ভুল করে তাহলে তার দায় ভার আমার তারপরেও তুমি তাকে মাফ করে দাও

মাফ তো তাকে অনেক আগেই করেছি

না করলে কি আর সেদিন তাকে চুমু দিয়েছি তার আবদার পুরনার্থে তার সাথে মিলিত হয়েছি

কই আমাকে তো এসব বলে নি ,

আর তুমি যদি সত্যি মেনে নিয়ে থাকো তাহলে এতখন এসব কেন বললা ? আর তাকে একা এভাবে ফেলে দিয়ে কেনো বিদেশে চলা গেলা

মনে একটা খুব ছিলো সেটা বলে দুর করলাম

আর আমি একা আসিনি তাকেও নিতে হবে

এতদিন তার সাথে খারাব ব্যবহার করেছি এই কারনে যে দিন যত যাচ্ছে তত যেন গাধি হচ্ছে ভিসার মেয়াদ কতদিন আগে শেষ হয়ে গেছে সেটাকি তার নবায়ন করা উচিত ছিলো না

তাকে আমার সাথে নিয়ে যাব বলে সব কিছু ক্লিয়ার করতে যাই কিন্তু দেখি তার ভিসার মেয়াদ নাই

পরে এটাকে নবায়ন করে এদিক সেদিক কত কি করলাম কোন ভাবেই পারলাম না আমার সাথে নিয়ে আসতে

আর এরই মাঝে আবারো বিষ খেয়ে মরে যাওয়ার নাটক করেছিলো

খুব রাগ হয়ে ছিলো তাই আসতে সময় কিছু বলে আসিনি নতুবা সব কিছু বলে তার হাতে বুঝিয়ে দিয়ে আসতাম

তো এখন কি করবো ??

.আদিলার জ্ঞান ফিরলে তাকে নিয়ে বাসায় যাও আর ভালো কিছু খাওয়া

যাতে করে একটু শক্তি পায়

আর হ্যা আগামি কাল তিনটায় তার ফ্লাইট

আমার বালিশের নিচে সব কিছু রেডি করা আছে সেগুলো নিয়ে তাকে বিমানে তুলে দিও কেমন ??

আর কোন কষ্ট দিবেনা কিন্তু

কষ্ট আমি তাকে দিতে চাইনা, তাকে কষ্ট দিলে নিজেরও অনেক কষ্ট হয়

কিন্তু কি করবো বলো এতটুকু না করলে কেমন হয় না হলে সে আমাকে একেবারে দুর্বল মনে করে বারবার কষ্ট দিবে

তাই কষ্ট দিয়েছি যাতে করে কোন ভুল করলে ১৪ বার ভাবে

এখন আর কোন দিন কষ্ট দিবেনা বলে দিলাম

দেশে আসার পর যেন তার এমন অবস্থা না দেখি

চলবে