জিবন কেন এত অসহায় পর্ব ০৫

গল্প , জিবন কেন এত অসহায় 😭😭

পর্ব ০৫

আরিয়ান আহমেদ শুভ 

😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭😭

আরিয়ানের  জ্ঞান ফিরলে  সামনে রিয়াকে   দেখতে পেয়ে ভুত দেখার মত চমকে উঠে রিয়া তুই 🙄🙄

রিয়া /// হুম ,,আমিই তকে হাসপাতালে নিয়ে আসছি এই কারনে যদি তুই অামাদের বাড়িতে মরে যেতি তাহলে আমাদের নামে মামলা হতো এতে আমাদের অনেক পেরেশান হতে হতো

তকে রাস্তায় ফেলে দিয়ে চলে যেতে চাইছিলাম বাট তকে বাসা থেকে বের করতেই কয়েক জন লোক দেখে ফেলে ছিলো 

তারা যাতে আমাদের খারাপ মনে না করে তার জন্য তকে হাসপাতালে নিয়ে আসছি 

আর হ্যা তুই আর আমাদের বাসায় জাবিনা কিন্তু যদি তুই আমাকে এখনো বিয়ে করতে রাজি থাকিস তো তকে আমি নিজেই আদর করে বাসায় নিয়ে গিয়ে রাজার মত রাখবো 

আরিয়ান /// জিবনে অনেক মেয়ে দেখেছি কিন্তু তর মত নিচু মনের মেয়ে জিবনেও দেখিনি

আর আমি মরে গেলেও তো তকে বিয়ে করবো না 

আর তুই চিন্তা করিস না আমি কখনই তদের বাসাতে যাবোনা 

রিয়া /// এই তো গুড বয় তাহলে একটা গুড় নিউস শোন তর বাবা মা এক্সিডেন্ট করে মরা যাইনি তর বাবা মাকে হত্যা করা হইছে 

আরিয়ান /// কিহহহহ 

রিয়া /// হুম আর সেই খুন কে করছে জানিস ,, আমার বাবা মা তারা তর বাবার সম্পদের লোভ সামলাতে পারেনি তারা সবসময় চিন্তা করতো তর বাবার সমস্ত সম্পদ কি ভাবে নিজেদের দখলে নিবে 

তাই সেদিন সুযোগ বুঝে ট্রাকের চাপা দিয়ে তর বাবা মাকে হত্যা করিয়েছে 

কিন্তু তুই তাদের উত্তরাধিকারি হওয়ায় সমস্ত সম্পদ তর নামে হয়ে যাই তাই কিছুদিন তকে আদর দিয়ে লালন পালন করে যখন তর প্রাপ্ত বয়স হয় তখন তর থেকে আম্মু সমস্ত সম্পদ লিখে নিয়েই তকে কষ্ট দিতে শুরু করে 

আর তকে এগুলো কেন বলছি জানিস 

ডাক্তার বলছে তুই মাথায় অনেক চুট পেয়েছিস আব্বু তকে অনেক মাইর দিয়েছে 

এখন সুস্থ হওয়া পর্যন্ত  যেন কোন বিষয় নিয়ে পেরেসান বা চিন্তা না করিস এতে তর মাথার বড় ধরনের সমস্যা হবে তাই

আমিই চাচ্ছি যেন তুই কোন বিষয় নিয়ে চিন্তা করে পাগল হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেডাস এই জন্য কথা গুলি বললাম 

বাই ভালো থাকিস আর হ্যা তকে আবারো বলছি তুই যেখানেই যাবি তকে কখনো শান্তিতে বাচতে দিবো না এই বলে রিয়া চলে যাই 

রিয়া চলে যাবার পর আরিয়ান তার পিতামাতার জন্য কান্না করতে থাকে 

একসময় সে আবার ঘুমিয়ে যাই 

কিছুদিন পর ডাক্তার রা আরিয়ান কে রিলিজ দিলি শহরে আসার উদ্দেশ্যে রেলগাড়িতে উঠে বসে আর তখনই রিমির বাবার সাথে দেখা সাক্ষাত হয় 

রিমির বাবা আরিয়ানের সমস্ত কাহিনি শুনে তাকে বাসায় নিয়ে যাই 

👉🏻👉🏻👉🏻বর্তমান 👈👈👈

যাই হক গল্পের নায়কার আবির্ভাব হবে এখন কি নাম দেওয়া যাই পাঠক পাঠিকা রা কমেন্ট বক্সে বলে জাবেন 

নাম টা এমন হতে হবে যেন কোন গল্পে সেই নাম না থাকে 

আরিয়ান সেই ছায়াদার গাছ থেকে উঠে সামনের পথ ধরে চলতে থাকে 

এদিকে ক্ষুধার কারনে পেটে ইদুর লাফাচ্ছে কিন্তু কি করবে আরিয়ান না আছে তার কাছে কোন টাকা না আছে তার পরিচিত কেউ যে তার কাছে খানা চাইবে 

আরিয়ান ক্ষুধার্থ অবস্থায় চলতে থাকে 

চলতে চলতে অন্ধকার হয়ে আসে তবুও তার চলার গতি কমছেই না হঠাৎ তার নজরে পরে রাতের অন্ধকারে লাইটের আলোই কয়েক জন ছেলে কাজ করতেছে 

আরিয়ান সেখানে গিয়ে ভাইয়া তোমরা আমাকে একটা কাজ দিবা আমি আজ সারাদিন ধরে কিছু খাইনি ((বাচ্চা ছেলের মত ))

তাদের মধ্যে কয়েকজন পুরাতন পাগলে ভাত পাইনা আবার নতুন আরেক টা আসছে যা ভাগ এখান থেকে 

আরিয়ান /// প্লিজ ভাইয়া আমাদের একটা কাজ দাও 

তাদের মধ্যে বড়জন এই তকে কি বললাম কানে যাইনাই যা এখান থেকে না হলে মাইর কিন্তু একটাও মাটিত পরবেনা 

আরিয়ান কথা না শুনে দাড়িয়ে থাকে দেখে একজন ছেলে সেখান থেকে উঠে আসে 

ছেলেটি /// তোমার নাম কি 

আরিয়ান আহমেদ শুভ 

ছেলেটি /// আমার নাম রুদ্র চলো আমার সাথে 

অতপর আরিয়ান রুদ্রর সাথে চলতে থাকে 

কিছুখন পর একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে গিয়ে 

আরিয়ান কে খাওয়াতে থাকে আর তার বিষয় সম্পর্কে শুনতে থাকে 

আরিয়ানের খাওয়া শেষ হতেই রুদ্র যা বলে ,,,,,,,,

চলবে