ex বর যখন অফিসের বস পর্ব ১১

গল্প  Ex  বর যখন অফিসের বস 

পর্ব ১১

আরিয়ান আহমেদ শুভ 

 ©a©b©d©u©l©m©o© t©i©n© ©j©a©m©a©l©p©u©r©i🥴

গল্প কপি করা জগন্যতম অপরাধ চাই সেটি কোন ফেসবুকার বা ইউটুবার 

শুভর বাবা মা চলে যেতেই আদিলা শুভর রুমে যাই 

শুভ /// সত্যি কি আদিলা তুমি আমার জন্য আসোনি 

আদিলা // আমি আপনার জন্য আসতে যাবো কোন দুঃখে আপনি আমার কে যে আমি আপনার দন্য আসবো 

শুভ// আমি তোমার কিছুই না 

আদিলা // নাহহহ কিছুই না 

শুভ /// আচ্ছা তাহলে এখান থেকে চলে যাও আমার সেবা তোমার করতে হবেনা আমি কষ্ট করে নিজেই চলতে পারবো না হলে মরেই যাবো এর থেকে তো আর বেশী কিছু হবেনা 

আদিলা // আপনি মরবেন কি না বাচবেন সেটা আপনার বেপার আমি এখানে আপনার কথায় আসি নি যে আপনার কথায় চলে যাবো

 আমার যখন মন চাইবে তখন আমি এমনিতেই চলে যাবো আপনি হাজার বার বললেও আমি থাকবো না 

এখন অযথা চলে যাওয়ার কথা বলে লাভ নাই আমি আপনার মায়ের কাছে কথা দিছি আপনি পরিপুর্ন সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি আপনার সেবা করবো 

আপনি সুস্থ হলেই চলে যাবো

 এখন আর কথা না বলে আপনি শুয়ে থাকেন 

আমি আপনার জন্য খাবার নিয়ে আসছি 

এই বলে আদিলা চলে যাই 

কিছুখন পর আদিলা খাবার নিয়ে এসে শুভর সামনে দেয় খেয়ে নেন আর হ্যা মনে করে ঔষধ গুলো খেয়ে নিবেন আমি অফিসে যাচ্ছি 

শুভ /// কিছুদিন অফিসে না গেলে হয়না 

আদিলা // তো আমি এখানে বসে বসে কি আপনার রুপ দেখবো আপনাকে দেখলেই তো আমার শরীর জ্বলে 

শুভ // তুমি  আমার সেবা করতে আসছো নাকি মেরে ফেলতে আসছো আমি জানি না 

তুমিই বলো সেবা করার মানেই কি এটা  

যে সামনে কিছু খাবার রাখা 

এটাতো আমার কাজের বুয়াও করতে পারতো তোমাকে এখানে আসার কি দরকার ছিলো 

আচ্ছা যখন আমাকে দেখলে তোমার শরীর জ্বলে তাহলে এক কাজ করো 

এই নাও একটা বালিশ আদিলার হাতে দিয়ে 

এটা আমার নাকে মুখে চাপা দিয়ে মেরে ফেলো 

তবুও এভাবে আমাকে কষ্ট দিওনা 

আমি কি এতই বড় অপরাধ করে ফেলেছি যার জন্য আমাকে এভাবে কষ্ট দিচ্ছো আমাকে কি ক্ষমা করা যাইনা একটি বার ক্ষমা করে দেখ আমি পরিবর্তন হয়েছি কিনা 

শুভর কথায় আদিলা কি যেন ভেবে শুভর কাছে গিয়ে খাবার আর ঔষধ নিজ হাতে খাওয়ায় দেই 

এবার আপনি শুয়ে থাকেন আমি আসছি 

এই বলে আদিলা অফিসে চলে যাই 

অফিস থেকে কিছু দরকারি ফাইল নিয়ে আবার বাসায় চলে আসে 

শুভর পাশে বসে কাজ করতে থাকে 

এভাবেই প্রায় ১ মাস কেটে যাই 

একদিন বিকাল বেলা আদিলা তার ব্যাগ ভাজ করতে থাকে 

তখনই শুভ তুমি ব্যাগে কাপড় ভাজ করতেছো কেন 

আদিলা // আপনি এখন সম্পুর্ন সুস্থ তাই চলে যাচ্ছি আর আপনার মায়ের কাছে দেওয়া ওয়াদা আমি পুরন করেছে তাই এখানে থেকে আমার কি লাভ

শুভ /// এই কইদিনে কি আমার প্রতি তোমার একটুও মায়া হয়নি 

আদিলা // না হয়নি আমি আগেই বলছি আমি ভালোবাসার কাঙ্গাল নই আমি এখন টাকার কাঙ্গাল 

শুভ /// আচ্ছা বলো তুমি ১ দিন মানে ২৪ ঘন্টার জন্য কতটাকা নিবে 

আদিলা /// আপনাকে তো ১ম দিনই বলছি কতটাকা নিবো 

অতপর শুভ তাকে ১০ লক্ষ্য টাকার একটি চেক দেয় এই নাও তোমার টাকা  তুমি একটা দিন আমার ভালোবাসা হয়ে থাকো এই বলে শুভ রুম থেকে বের হয়ে যাই 

অতপর রাত ১০ টায় বাসায় ফিরে দেখতে পাই আদিলা সুন্দর করে সেজে গুজে বসে আছে 

শুভ কোন কথা না বলে খাটে গিয়ে শুয়ে পরে 

আদিলা /// কি হলো শুয়ে পড়লা কেন খাবে না আমি তোমার জন্য না খেয়ে অপেক্ষা করছি 

আদিলার কথায় শুভর থেকে কোন আওয়াজ আসেনা 

অতপর আদিলাও না খেয়ে শুভর পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ে 

আদিলা /// কি হয়ছে শুভ আজ কথা বলছো না যে আমাকে একদিনের জন্য ভাড়া নিলে এখন আমার সাথে কথাও বলছো না 

শুভ /// কিছুখন চুপচাপ থাকার পর আদিলাকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু দেয় 

শুভর হাতের ছোয়া পেয়ে  আদিলা কেপে উঠে শক্ত করে শুভকে জড়িয়ে ধরে 

কিছুখন এভাবেই থাকার পর আদিলা শুভর আর কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে  শুভর মুখের দিকে তাকায় 

আদিলা শুভর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই শুভ ঘুমিয়ে গেছে 

আদিলা তখন মনে মনে ভাবতে থাকে বেশি করে ফেললাম না তো যে মানুষ সবসময় কাছে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকতো সব সময় কথা বলার জন্য বাহানা খুজতো আজ সে আমার সাথে কথায় বলছে না এত কাছে থাকা সত্বেও 

কি হয়ছে শুভর কেন কথা বলছে না 

শুভর চুপ হওয়া আদিলা সহ্য করতেও পারছেনা 

শুভর চুপ হওয়ার কারন টা কি তাও জিজ্ঞেস করতে পারছেনা কারন সে ঘুমিয়ে গেছে 

হঠাৎ আদিলা শুভর চুপ হওয়া মেনে নিতে পারছেনা কেন  যেন তার অস্থির অস্থির লাগছে 

আদিলা এই ভেবে মন কে শান্তনা দেয় সকালে সে শুভকে জিজ্ঞেস করবে তার চুপ থাকার কারন কি কেন তার সাথে কথা বলছেনা 

অতপর আদিলা শুভর ঠোটে একটা চুমু দিয়ে শুভর বুকের উপর ঘুমিয়ে যাই 

পরের দিন আদিলা ঘুম থেকে উঠে চমকে উঠে কারন শুভ পাশে নাই 

আদিলা তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে শুভকে খুজতে থাকে হঠাৎ আদিলার চোখ ঘড়ির দিকে যাই এতেই সে অবাক হয়ে যাই কারন ঘড়িতে প্রায় ১০. ৩০ বেজে গেছে 

অতপর সে ভাবতে লাগলো আজ আমি এতটা সময় কি করে ঘুমালাম নিশ্চয় শুভ না খেয়ে অফিসে চলে গেছে 

অতপর তারাতারি করে শুভর জন্য রান্না করে অফিসে খাবার নিয়ে যাই আদিলা 

আদিলা /// তোমার জন্য খাবার নিয়ে আসছি খেয়ে নাও 

শুভ // রেখে দাও পরে খেয়ে নেব আর যাও তুমি তোমার কাজ করো 

আদিলা বুঝতে পারে শুভ তাকে এডিয়ে চলতে চাইছে কেন চাইছে সে বুঝতে পারেনা 

শুভ /// কি হলো এখানে দাড়িয়ে আছো কেন যাও তোমার কাজে যাও 

অতপর আদিলা বের হয়ে তার ক্যাবিনে বসে ভাবতে থাকে কেন শুভ এমন করছে 

কিন্তু কিছুতেই মিলাতে পারছেনা 

লান্সের সময় 

আদিলা শুভর ক্যাবিনে  শুভর জন্য খাবার রেডি করে 

এই শুভ খাবার খেয়ে নাও সকালেও তো খাওনি  

শুভ কোন কথা না বলে খাবারের সামনে বসে 

আদিলা তখন নিজ হাতে শুভর মুখে  এক লোকমা তুলে দেয় 

শুভও আদিলার মুখে খাবার তুলে দেয় কিন্ত আদিলা খায়না অল্প খাবার নিয়ে আসছে বলে 

তার জন্য  কিছুটা খাবার খেয়ে আদিলার পাশে বসে 

আমি জানি আদিলা তুমি আমার উপর অনেক বিরক্ত হও কি করবো বলো তোমাকে যে অনেক ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া আমি বাচতে পারবো না তার জন্য বারবার তোমাকে বিরক্ত করি 

আজ থেকে তোমাকে আর কখনো বিরক্ত করবো না আমি আর কখনো তোমার বিরক্তির কারন হবো না 

আদিলা আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি পারলে তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিও 

আদিলা তোমার কাছে শেষ একটা আবদার করবো রাখবে 

আদিলা /// কি 

শুভ // তোমার থেকে যে  সময় টুকু আমি নিয়েছি তা হয়তো আর কিছু সময় বাকি আছে  এর পর তুমি তো আর এই খারাপ মানুষের কাছে থাকবেনা তাই যে   সময় টুকু  আছে তোমার কুলে আমার মাথাটা রাখতে দিবে প্লিজ না করো না 

আদিলা শুভর বলা কথার মানে খুজে পাচ্ছেনা কি যেন একটা হারানোর ভয় কাজ করে তার মনে 

এদিকে শুভ আদিলার কুলে মাথা রেখে বলতে থাকে বড্ড ভালোবাসি তোমায় 

আমাকে ক্ষমা করে দিও আমাকে ক্ষমা করে দিও এই বলে শুভ তার চখ বন্ধ করে নেই 

কিছুখন পর আদিলা দেখতে পাই শুভর মুখ থেকে  সাদা সাদা ফেনা বের হতে থাকে তা দেখে আদিলা চিৎকার করে উঠে ,,,,,

গল্পটি স্যাড দিলে ভালো হবে তাইনা 😁😁😁

চলবে ,,,,

আগামি পর্বে শেষ করে দিবো 

শুভ