মাফিয়ার শহরে
#পাঠঃ১৬
#লেখকঃ নীল মেহেরাজ
[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]
আমিঃ আজকে থেকে বোরকা পরে বাসার বাহিরে যাবা ওকে।
চাদনিঃ হুমম কিন্তু আমার তো বোরকা নাই।
আমিঃ সমস্যা নাই আজলে বিকেলে কিনে দিবো।
চাদনিঃ জান্নাত এর জন্য নিবা না।
আমিঃ হুমমম আগে ওর জন্য নিবো।তারপর তোমার জন্য।
চাদনিঃ ওকে।
এদিকে
রাকিব রিজভী সাহেবের থেকে সকল কথা বের করে নিয়েছে। তারপর আমার কথা মতো রিজভী কে মেরে ফেলেছে।
কেটে গেলো ১ মাস প্রায়। রাকিবেরা চলে গেছে।
জানতে পেরেছি কে মেরেছে আমার বাবা-মা কে।
এখন শুধু প্রতিশোধ আর জানার বাকি আছে। কেন মারলো আমার বাবা মা কে। কি দোষ করেছিলো আমার বাবা মা।
বিছানায় শুয়ে শুয়ে এসব ভাবছি এমন সময় জান্নাত চলে আসলো,,,,,,,,,
জান্নাতঃ ভাইয়া একটা কথা বলবো।
আমিঃ হুমমম বল এতে অনুমতি নেওয়ার কি আছে।
জান্নাতঃ না আসলে অনেক দিন হলো চাচা,চাচি রিয়াআপুদের সাথে দেখা হয় না। তাদের দেখতে মন চাইতেছে।
আমিঃওহহ এই কথা আচ্ছা কয়দিন পর যাবনি বাসায়।
জান্নাতঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
আমিঃ অনেক রাত হয়েছে এবার গিয়ে ঘুমা আর কোনো সমস্যা হলে আমাকে বলিস।
জান্নাতঃ আচ্ছা ঠিক আছে।
আমিঃ হুমমম।
ভাবতেই আবাক লাগে মানুষ কিভাবে এতটা বেইমান হতে পারে। কিভাবে পারে সব কিছু ভুলে যেতে।
এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি নিজেও জানি না।
ফজরের সময় উঠে নামাজ পরে নিলাম।
আজকে কাউকে না জানিয়ে বগুড়া চলে যাব। কারন আজকে আমি আমার বাবা-মায়ের মৃত্যুর প্রতিশোধ নিবো।
নামাজ পরে এসে বাইকটা নিয়ে বাসায় থেকে বের হলাম। আজকে অনেক সকালেই বের হলাম। তেমন কেউ এখনো ঘুম থেকে উঠে নি।
বগুড়ায় পৌঁছাতে আমার ৪-৫ ঘন্টা সময় লাগে।
এখন বাইক নিয়ে যাওয়ার জন্য কম সময় লাগবে।
১০ টার দিকে বগুড়ায় নিজের বাড়িতে পৌঁছে গেলাম। আসার আগে রাকিব সহ সবাইকে ফোন করে বলেছি যে আজকে আমি বগুড়ায় আসতেছি। বাসায় এসে দেখি চাচা আমাদের পারিবারিক উকিল সাহেবের সাথে কথা বলতেছে।
যতটুকু বুঝলাম প্রায় সব জায়গা জমি, টাকা পয়সা তার নিজের নামে করে নিচ্ছে। আমাকে ড্রয়িং রুমের গেটের সামনে দেখে কেমন যেন হকচকিয়ে গেলো। আর উকিলকে বলতে লাগলো,,,,,,
চাচাঃ রহমান তুমি এখন যাও পড়ে তোমাকে আমি ডেকে নিবো।(রহমান হলো উকিল সাহেবের নাম)
উকিলঃআচ্ছা ভাই ঠিক আছে
।
উকিল সাহেব চলে গেলো।
এদিকে চাচা আমাকে বলতে লাগলো,,,,,,,
চাচাঃআরে নীল যে, কি খবর বাবা।
আমিঃ এইতো banner push topper চাচা খবর তো ভালো। কিন্তু অবহাওয়া তো বেশ একটা ভালো না।
চাচাঃ মানে বুঝলাম না তো বাবা।
আমিঃ বুঝবেন চাচা বুঝবেন। সময় হলেই ঠিকই বুঝবেন।
চাচাঃ কি বুঝবো। (কেমন যেন হয়ে গেলো)
আমিঃ আরে চাচা শীতকাল তাই ঠান্ডা অবহাওয়া তাই বললাম শীত লাগলে বুঝবেন মজা।
চাচাঃওহহহহহ হাহাহাহাহাহা। তাহহহ কেমন আছো।আর জান্নাত কই।
আমিঃ জ্বী চাচা আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন। আর জান্নাত পরে আসবে।
চাচাঃ এইতো ভালো আছি।
আমিঃজ্বী রাতের ভালো থাকা বের হবে।
চাচাঃ কেন রাতে আবার কি হবে।
আমিঃ আরে ঠান্ডায় জমে যাবেন।এখন নাকি খুব ঠান্ডা লাগবে।
চাচাঃ ওহহহ।
আমিঃ তা চাচি আর রিয়া কই।
চাচাঃ ওরা তো একটু বাহিরে গেলো। এখুন গেলো।
আমিঃ ওহহহ।
চাচাঃতুমি রুমে যাও। আমি বুয়াকে বলতেছি খাবার রেডি করতে।
আমিঃওকে চাচা।
তারপর সোজা নিজের সেই রুমে চলে আসলাম।
এসে ফ্রেশ হয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি চাদনি আর জান্নাত ফোন দিয়েছিলো।(সাইলেন্ট রাখার জন্য বুঝতে পারি নি)। আমি জান্নাতের কাছের ফোন করে বললাম যে একটা কাজে বাহিরে এসেছি আগামি কাল ফিরবো।
এরপর নিচে চলে আসলাম। এসে দেখি বুয়া আমার জন্য টেবিলের উপর খাবার রেডি করতেছে।
যদিও ক্ষুধা লাগে নি। কারন আসার সময় রেস্টুরেন্টে খেয়ে এসেছি,,,,,,,,,,
চলবে,,
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।