মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১৭ শেষ ।

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ১৭/শেষ

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]


 এরপর নিচে চলে আসলাম। এসে দেখি বুয়া আমার জন্য টেবিলের উপর খাবার রেডি করতেছে।

যদিও ক্ষুধা লাগে নি। কারন আসার সময় রেস্টুরেন্টে খেয়ে এসেছি।

 

খাবার টেবিলে বসতেই চাচি আর রিয়া আসলো। আমাকে দেখে রিয়া দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। তারপর,,,,,,,,,,,

রিয়াঃ ভাইয়া জান্নাত কই।

আমিঃ ঢাকায় আছে। ওর নাকি ক্লাস আছে। তাই আসেনি।

চাচিঃতা কেমন আছিস বাবা।

আমিঃ হুমম ভালো আছি চাচি।তোমরা কেমন আছো।

চাচিঃ হুমমম

আমরাও ভালো আছি।।

চাচাঃ পরে কথা হবে খেয়ে নেও আগে।

আমিঃ হুমমম।

 

সারাদিন খুব ভালোভাবেই কেটে গেলো।

রাকিবকে বলেছি রাতে আমাদের বাড়িতে আসতে। আর আরো কয়েকজনকে নিয়ে আসতে।কারনটা হয়তো আপনারা বুঝতেই পারছেন।


হুমম ঠিকই ধরেছেন। আমার চাচাই আমার বাবা,মাকে খুন করেছে। রিজভী সব বলেছে। আর আজকে বগুড়াতে আসার প্রধান কারন হলো এটাই।

 

রাতে সবাই মিলে একসাথে খেয়ে নিলাম। অনেক মজা করেই খাবার খেয়েছি। চাচাকে তো অনেক হাসিয়েছি।কারন পরে আর কোনো দিন সে এই ভাবে হাসতে পারবে না।

আর চাচি আর রিয়াকে এক রুমে থাকতে বলেছি। কারন আজকে চাচার জীবনে শেষ রাত।

রাত ১২ টার সময় রাকিব আর কয়েকজন চলে আসলো। আমি তাদের বাড়িস ভিতরে নিয়ে আসার জন্য গেটের কাছে গিয়ে তাদের নিয়ে বাসার ভিতরে চলে আসলাম। 

আমাদের বাড়িটা দুইতলা। চাচি আর রিয়া উপড়ে ঘুমাইছে। আর চাচা নিচে। আমি চাচার রুমের সামনে গিয়ে দরজায় একটা ঠোকা দিতেই সে দরজা খুলে দিলো। এতে করে আমি আবাক হয়ে যাই। কারন রাত ১২ টার সময়ে কেউ একটা ঠোকাতে দরজা খুলবে এটা অবিশ্বাস যোগ্য ব্যাপার।

তারপর আমি চাচাকে বলতে লাগলাম,,,,,,

আমিঃচাচা একটু বাহিরে ড্রয়িং রুমে আসেন তো কাজ আছে।

চাচাঃ এত রাতে কি কাজ আছে। আর ঘুমাও নি।

আমিঃ একটা জরুরী কাজ আছে। আর কাজটাতে শেষ করেই ঘুমাবো।

চাচাঃ আচ্ছা ঠিক আছে আমি আসতেছি।

আমিঃ জি তাড়াতাড়ি আসেন।

 

মিনিট ৫ পর চাচা নিচে ড্রয়িং রুমে চলে আসলো। আমি আর রাকিব বসে বসে গল্প করছিলাম। চাচা আমাদের কাছে এসে বলতে লাগলো,,,,,,,,,

চাচাঃ নীল কিসের জন্য ডেকেছো বলো। 

আমিঃ চাচা আমার রুমে আসেন একটা সারপ্রাইজ আছে আপনার জন্য। 

চাচাঃ হাহাহা তাই নাকি। তা কি সারপ্রাইজ শুনি।

আমিঃ রুমের ভিতরে চলেন দেখাচ্ছি। 

চাচাঃ ওকে চলো।

 

তারপর আমি,চাচা,রাকিব মিলে আগে থেকে রেডি করা একটা রুমে গেলাম।সেই রুমটা অন্ধকার করা ছিলো। রুমে ঢুকে চাচা বলল,,,,,

চাচাঃ নীল রুমটা অন্ধকার কেন।

আমিঃ আরে চাচা সারপ্রাইজ দিবো তো তাই।

রাকিবঃ নীল লাইট অন করবো নাকি।

আমিঃ চাচা আপনি কি রেডি সারপ্রাইজের জন্য। 

চাচাঃ হুমম আর তর সাইছে না নীল। তারাতাড়ি দেখাও।

আমিঃ আচ্ছা তাহলে রাকিব লাইটটা অন কর।

 

রুমের লাইটটা অন করার সাথে সাথেই চাচার চোখ যেন চরখগাছে উঠে গেলো। চাচা আমার আর রাকিবের দিকে তাকালো। ভয়ে চাচার চোখ গুলো বড় বড় হয়ে গেলো এটা আমি ঠিকই বুঝতে পারছি। 

 চাচাঃ নীল এসব কি। এরা তো এখানকার টপ গুন্ডা। 

আমিঃ হুমমম চাচা এরাই আপনার সারপ্রাইজ। 

চাচাঃ মানে কি আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।

আমিঃ হাহাহা। সেদিন আমার বাবা- মাও কিছুই বুঝতে পারে নি।

চাচাঃ মানে কি।

আমিঃ কুকুরের বাচ্ছা তুই কেন আমার বাবা মা কে মেরেছিস বল।

চাচাঃ এই নীল কি বলছো তুমি। 

আমিঃ চুপ একদম চুপ তোর ওই মুখে আমার নাম নিবি না।

চাচাঃ নীল আমাকে যেতে দাও। 

আমিঃ আগে বল আমার বাবা মাকে কেন মেরেছিস।

চাচাঃ আমি কেন তাদের মারতে যাব।আমি তাদের মারি নি।

আমিঃ ওহহহ।

 বলেই একটা রড দিয়ে দিলাম চাচার ডান হাতের মগড়াতে একটা বাড়ি।সাথে সাথে সে চিৎকার করতে যাব এমন সময় রাকিব আাচার মুখে কাপড় গুজে দেয়। তাই আর চিল্লাতে পারেনি।আর চাচা,রিয়া দের খাবারে ঘুমের ঔষধ দিয়েছি তাই তারাও শুনতে পারবে না কিছু। 

আমি তারপর আরো কয়েকটা বাড়ি দিলাম হাতে আর পায়ে।

 

চাচাঃ আমাকে আর মেরো না। আমি সব সত্যি কথা বলছি।

আমিঃ এইতো লাইনে আসছিস। তাড়াতাড়ি বল।

চাচাঃ আমাদের সকল জায়গাজমি আমার নিজের নামে করার জন্য, আর এমপি হওয়ার জন্যই তোমার মা বাবাকে মেরেছি।

আমিঃ গুড বাই।

 বলেই চাচার মাথাটা কেটে আলাদা করে দিলাম।


banner push topper পরের দিন সকাল বেলা আমার বাবা,মায়ের লাশের মতো চাচার লাশও পড়ে থাকতে দেখা যায়। কেই জানে না কে মেরেছে।

এখন আমি চাদনিকে বিয়ে করেছি দু- বছর হলো। কয়দিন আগে রিয়ার বিয়ে হয়ে গেছো। আর চাচা আমাদের সাথেই থাকে। আমি,জান্নাত,চাদনি,মহুয়া আন্টি আর চাচিকে নিয়ে আমাদের পরিবার।

 সমাপ্ত

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !