মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ৯

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ৯

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

    

সকাল ১০ টার সময় সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম বাস কাউন্টারে। আসার সময় চাচা টাকা দিলো। আমিও না করি নি। কারন এখন টাকার খুবই প্রয়োজন। সাথে ছোট বোন টাও আছে। আর ব্যাংকে আমার চলার মতো যথেষ্ট টাকা রাখা আছে।


বিকেলে এসে ঢাকায় পৌছাইলাম। স্টান্ড থেকে একটা রিকশা নিয়ে চলে আসলাম বাসায়। কলিং বেল টা বাজাতেই দরজা খুলে দিলো।দেখলাম ড্রয়িং রুমে বসে জান্নাত আর চাদনি টিভিতে কাটুন দেখতেছে। আমাকে আসা দেখে চাদনি কেমন যেন রাগি মুড নিয়ে আমার দিকে তাকালো। আমি সেদিকে বেশি গুরুত্ব না দিয়ে না দিয়ে নিজের রুমে চলে আসলাম। 

ব্যাগ থেকে কাপর আর চাচার দেওয়া টাকা গুলো ওয়ারড্রব এর রেখে যেই ওয়াস রুমে যাব ফ্রেস হতে ঠিক তখনিই চাদনি রুমে আসলো। এসে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

চাদনিঃ কোথায় গেছিলেন। (রাগি মিড নিয়ে)

আমিঃএকটু বাড়িতে গেছিলাম।

চাদনিঃ কাউকে বলে গিয়েছিলেন।

আমিঃ হুমমমম জান্নাত আর আন্টিকে তো বলেই গেছি।

চাদনিঃ আমাকে বলে গেছিলেন। (রেগে)

আমিঃ নাহহহ তো😓😓😓😓😓।

চাদনিঃ হুমম আমাকে বলে যাবেন কেন। আমি আপনার কে।

আমিঃ (বুঝলাম মেয়েটা রাগ করেছে।) আপনি আমার বউ। 

কথাটা বলতেই দেখলাম চাদনি কেমন যেন লজ্জা, লজ্জা ভাব ধরলো।

চাদনিঃ হুমম বউ হলে ঠিকিই বলে যাইতেন। 

আমিঃআরে জরুরি কাজ ছিলো তাই গেছিলাম।

চাদনিঃওইই আমাকে বিয়ে করবেন🙈🙈🙈🙈।

আমিঃ কিহহ বললেন আবার বলেন।🤔🤔🤔🤔🤔🤔

চাদনিঃ আমাকে বিয়ে করবেন।🙈🙈🙈🙈

আমিঃ (ভাইরে সবাই বলে আমাকে ভালো বাসেন। আর এ বলতেছে আমাকে বিয়ে করবেন।এটা কেমন কথা)

আমিঃ এই আপনি এখন

বের হন তো আমার রুম থেকে।

চাদনিঃ কেন বের হবো এটা আমাদের বাসা।

আমিঃ আরে এত ক্ষন রুমে থাকলে জান্নাত অন্য কিছু ভাববে।

চাদনিঃ এই কি ভাববে।আর ওকে আমি আমাদের ফ্লাটে পাঠাইছি।

আমিঃ মানে কি এসবের। কেন ওকে পাঠাইছেন।

চাদনিঃ আম্মুকে বলতে যে আপনি এসেছেন। খাবার দিতে।

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে।

চাদনিঃ কবে বিয়ে করবেন।

আমিঃ ওই এখনও কি আমার বিয়ের বয়স হইছে।

চাদনিঃ ওহহহ এখনো বিয়ে দিলে ১২ টা বাচ্ছার বাপ হবে আর বিয়ের বসয় হয়নি। আর সেদিন যে ইয়ে করলেন ওটাতে বসয় লাগেনি।

আমিঃ এত কিছু বুঝি না। এখন যদি রুম থেকে না বের হন তাহলে কিন্তু ভালো হবে না।

চাদনিঃ রুম থেকে বের হবো না।কি করবি তুই কর দেখি।

আমিঃ এই আমি আপনার বড় তুই তুই করছেন কেনও।

চাদনিঃ তুই কি করবি ১০০ বার বালবো তুই তুই তুই ত******

 আর বলতে পারলো না। কারন আমি বলার জায়গা রাখি নি। কারন আবার ঠাসসস করে দিলাম।

 

আরে ভাই চর দেই নাই।চার ঠোট এক করে দিছি। 

চাদনিও কেমন যেন রেসপন্স দিচ্ছে😍😍😍😍😍😍

হঠাৎ করে জান্নাত বলে উলে উঠল,,,,,,,

জান্নাতঃ এই এখানে কি হচ্ছে 🙈🙈🙈🙈।

আমি আর চাদনি লজ্জা পেলাম।আমি তো সোজা চলে গেলাম ফ্রেশ হতে। কি লজ্জার ব্যাপার রে ভাই।

  

ওদিকে চাদনি,,,,,,,

জান্নাতঃ তা কত দিন ধরে চলছে এসব হুমমম।

চাদনিঃ কত দিন ধরে চলছে মানে🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄।

জান্নাতঃ এই আমার সামনে সাধু সাজতে আসবে না বলে দিলাম😠😠😠😠।

চাদনিঃআরে দুররর। 

জান্নাতঃকিস করার সময় তো দুরর দুরর করো নি।

চাদনিঃএই তোমার লজ্জা করতেছে না বড়দের সামনে এসব বলতে 😡😡😡😡😡

জান্নাতঃ না করছে না।আমি কি বাহিরের কাউকে বলতেছি নাকি। আমি আমার ভাবিকে বলতেছি😍😍😍😍

চাদনিঃকিহহহহহ আমি তোমার ভাবি🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰

জান্নাতঃ হওয়ার ইচ্ছা নাই নাকি🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔

চাদনিঃ আরে আছে তো অনেক😁😁😁😁😁।

জান্নাতঃ যাই হোক এখন বেশি কথা না বলে ভাইয়ার কাছে যাও আর তাড়াতাড়ি খাইতে আসো আন্টি ডাকতেছে😁😁😁😁😁

চাদনিঃ হুমমমমম।

জান্নাতঃ আবার গিয়ে শুরু করো😍😍😍😍।

চাদনিঃ জাজান্নানানাততত🙈🙈🙈🙈🙈।

বলেই জান্নাত চলে গেলো। আর চাদনি তো সোজা আমার রুমে চলে আসলো।

  

পুরা ২০ মিনিট ধরে ফ্রেশ হলাম। এখন কেমনে যাব নিজের বোনের সামনে। এত লজ্জা কই রাখবো।

 

এই আপনার কি কোনো কি কোনো কান্ডজ্ঞান নেই। যখন তখন ইয়ে করেন😡😡😡😡😡😡

দরজার কাছে থেকে কথাটা বলতে বলতে রুমের ভিতরে আসলো চাঁদনি। 

আমিঃ এই দেখেন সব দোষ আপনার।আপনি কেন আমাকে তুই তুই করতেছিলেন। আপনার জন্য আমি আমার বোনের কাছে ছোট ছোট হয়ে গেলাম।

চাদনিঃ এখানে ছোট হওয়ার কি আছে।

আমিঃ এই বেশি কথা বললে কিন্তু আবার ইয়ে করবো।

চাদনিঃ এবার করলে ওই সুন্দর ঠোঠ দুটো কাচা খেয়ে ফেলবো।

আমিঃ যাই হোক তাও ইয়ে পাবো তো।

চাদনিঃ বেশি প্যাচাল না পেড়ে খেতে চলেন। 

আমিঃ হুমমম চলেন।

 

তারপর দুজনে মিলে চলে আসলাম চাদনিদের ফ্লাটে। 

আমি গিয়ে সোজা চাদনির রুমে চলে গেলাম। 

চাদনির রুমে চলে যাওয়াতে আন্টি, চাদনি,জান্নাত সবাই আবাক হয়ে গেলো।

আমার পিছু পিছু চাদনিও চলে আসলো,,,,,,,,,,,

চাদনিঃ এই আপনার তো সাহস কম না আমার রুমে আসছেন কেন।

আমিঃ ওহহহ আমি যে আমার রুমে যান সেই সময় কি হয়।

চাদনিঃ যাই হো,আমার রুমে banner push topper কেন। 

আমিঃ আমি এখানে আছি আমার খাবার নিয়ে আসেন যান।

চাদনিঃ এমন ভাবে বলছেন যেন আমি আপনার বউ।

আমিঃ মানে কি ইয়ে করলাম তাতে বুঝেন নি আপনি আমার কি😠😠😠😠।

চাদনিঃ(হুমম বুঝেছি তো গো। তুমিও আমাকে ভালোবাসো) না কি বুঝব।

আমিঃ এত বুঝা লাগবে না খাবার অানেন তো ক্ষিদা লাগছে।

চাদনিঃ হুমমম যাচ্ছি😬😬😬😬😬

বলেই চাদনি চলে গেলো খাবার অনতে। আর আমি ফোনটা বের করে রাকিব কে ফোন দিলাম,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

আমিঃ কিরে কি বলছিলাম মনে আছে। 

রাকিবঃ হালা একদিনেই কি সব হয় নাকি। সময় আর সুযোগ বুঝে সব কাজ হয়ে যাবে বুঝলি।

আমিঃ হুমমম তাড়াতাড়ি করতে হবে কাজটা। 

রাকিবঃ আরে চিন্তা করিস না সব হবে।

আমিঃ আচ্ছা রাখছি।

রাকিবঃওকে। 

  

আমার চাদনি বউ খাবার নিয়ে রুমে প্রবেশ করতেই আন্টির কথা কাকে আসলো।

আন্টিঃ বুঝলে জান্নাত বিয়ের আগেই শশুর বাড়িতে থাকার ভাগ্য কয়জনের হয়।

জান্নাতঃ হুমমম আন্টি বিয়ে দিয়ে দেই।কি বলেন। 

আর কিছু শুনলাম না।কারন চাদনি দরজা টা লাগাই দিলো। দরজা খুলে রাখার কারনেই কথা গুলো শুনতে পেলাম।

চাদনিঃ শুনেন বিয়ের পরে কিন্তু আমি,আপনি,জান্নাত আর মা এরকম একসাথেই থাকবো।

আমিঃ +আবাক হয়ে চাদনির দিকে তাকালাম।)

চাদনিঃ এভাবে তাকানোর কিছুই নেই। আমাকে কবে বিয়ে করবেন বলেন।

আমিঃ না মানে বিয়ের আগে একটু প্রেম করতে চাচ্ছিলাম আরকি।

চাদনিঃ সমস্যা নেই বিয়ের পর করবো।

আমিঃ আরে আমি তো এখন বিয়ে করবো না। আগের পড়াশুনো শেষ করি।

 চাদনিঃ আরর,,,,,,,,,,

 

চলবে,,,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !