বাড়ি টা একটা রাজ প্রাসাদের মত করে সাজিয়েছে দেশের টপ বিজন্যাসম্যান আমজাদ খান তার এক মাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা
এমনিতেই তাদের বাড়ি একটা রাজপ্রাসাদের চেয়ে কম না পাচ তলা বাসা আর বাড়ির চতুর দিকে লাল নীল বাতি গুলো আলো দিচ্ছে কতই না অপুর্ব সেই দৃশ্য অনেক মানুষ তা দেখতে আসছে
এদিকে আদিলার বান্ধবীরা সুন্দর করে তাকে থাকে সাজিয়ে
আর অন্য পাশে বেলকনিতে দাড়িয়ে থেকে একটি ছেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে চখের পানি ফেলছে আর তার অতিত নিয়ে ভাবতেছে
ছেলেটি আর কেউ না এই গল্পের নাইক ((আরিয়ান আহমেদ শুভ)))
এই ছেলে এভাবে গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছো কেন যাও তোমার কাজে যাও
অনেক ক্ষন ধরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে লোকটি বলল
ছেলেটি/// দৌড়ে এসে লোকটির পা জড়িয়ে ধরে সার আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি অনের বড় লোক মানুষ আমাকে একটি কাজ দিবেন আজ দুই ধরে কিছু খাইনি
লোকটি // পা ছেড়ে উঠো
অতপর ছেলেটি উঠে দাড়াই
লোকটি // আসো তোমাকে আগে কিছু খাওয়ায় তার পরে দিব কাজ
লোকটি// চল আমার সাথে
অতপর ছেলেটি লোকটির সাথে চলতে থাকে
কিছুখন পর লোকটি তাকে ভালো একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাই
লোকটি // তোমার যা ইচ্ছা তা খাও
তারপর ছেলেটি তার পছন্দের খাবার খায়
লোকটি// এখন বলো তোমার নাম কি
ছেলেটি// আরিয়ান আহমেদ শুভ
লোকটি// তোমার বাসা কোথাই তোমার বাবা মা কি করে
শুভ// আমার বাসা কোথাই আমি জানি না
আমি এতদিন একটা এতিমখানায় থাকতাম সেখান কার দাদু আমাকে বলেছে আমার বাবা মা নাকি একসিডেন্ট
করে মারা গেছে তখন গ্রামের লোক ঐ খানে রেখেগেছে
আমি এতদিন সেখানেই ছিলাম আজ দুইদিন ধরে সেখান থেকে এসে পরেছি
লোকটি// কেন আসছো ??
শুভ// সেখানে আগে যে দাদু ছিল সে আমাকে অনেক আদর করতো কিন্তু দাদু মারা যাওয়ার পর আরেক টা আসছে সে আমাকে অনেক কষ্ট দিত মারতো তাই সেগুলো সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে আসছি
লোকটি// আচ্ছা চল তাহলে আমার সাথে আমার বাড়িতে তোমাকে কাজ দেব
পরে লোকটি তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাই
অতপর শুভকে দেখা মাত্রই আদিলা বলে উঠে বাবা এই টুকাই কে কই থেকে নিয়ে আসলে যাক ভালোই করছো আমার জুতা কালি করে দিতে পারবে বাগানে পানি দিতে পারবে মোট কথা কাজের লোক হয়ে থাকতে পারবে
লোকটি তথা আদিলার বাবা আমজাদ খান ধমক দিয়ে
তোমার সবে মাত্র ৮ বছর আর এই বয়সেই এত অহংকারি হয়ে গেছো জানিনা বড় হলে কি হবে
আর শুন আজ থেকে একে তোমার ভাই মনে করবে
আদিলা/// ওয়াক থু এই টুকাই কে আমি ভাই উয়া😤😤
এই বলে আদিলা সেখান থেকে চলে যাই
আমজাদ// তুমি কিছু মনে করো না
মায়ের সাথে থাকতে থাকতে এমন হয়ে গেছে
আজ থেকে তুমি এখানেই থাকবে আমার ছেলের মত হয়ে
তোমার কোন কাজ নাই তুমি লেখা পড়া করবে অনেক বড় হবে
শুভ// আচ্ছা আংকেল
আমজাদ/// তুমি কি লেখা পড়া করেছে
শুভ// আমি class four পর্যন্ত পড়েছি
আমজাদ// তাহলে কাল তোমাকে আদিলার স্কুলে ভর্তি করে দেব সেখানে লেখাপরা করবে
শুভ// আচ্ছা আংকেল
এরপর থেকে শুভ আদিলাদের বাড়িতে থাকা শুরু করে
দিন যত যেতে থাকে তত আদিলা ও তার মা নানা প্রকার অত্যাচার করতে থাকে
শুভ// সেগুলো সব সহ্য করে তাদের মাঝেই বড় হয়ে উঠে
এর মাঝেই যখন থেকে শুভ ভালোবাসা বুঝতে পারে তখন থেকেই শুভ আদিলাকে ভালোবাসতে শুরু করে
আদিলা যতই তাকে কষ্ট দিত সে গুলো সে ভালোবাসা হিসেবেই নিত
((আদিলা শুভর সাথে কেমন ব্যবহার করতো পরে তুলে ধরা হবে )))
আজ তার বিয়ে সেগুলো ভাবতেই তার চখের কোনাই পানি চলে আসে যে আজ থেকে আদিলাকে আর সে দেখতে পারবে না
কাউকে সে বলতেও পারবেনা যে সে আদিলাকে ভালোবাসে
কি ভাবেই বা বলবে যে আদিলাকে আমি ভালো বাসি কিছুই তো তার নেই সে যে এক অসাহায় গরিব
এসব ভাবছে আর চখের পানি ফেলছে
তখনই পিছন থেকে কে যেন তার গাড়ে হাত দেই
শুভ তখন পিছনে তাকিয়েয় চমকে উঠে ,,,,,,,, ,,,
চলবে,
অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস
সুচনা পর্ব
আরিয়ান আহমেদ শুভ
আজ পর্বটা ছোট করে দিলাম সারা পেলে পরের পর্ব দিবো
আশা করি আগের গল্পের থেকে এটি বেশি ভালো লাগবে
পর্ব টি কেমন হয়েছে জানাবেন
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।