অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস । শেষ পর্ব

 


অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস 


শেষ পর্ব 


আরিয়ান আহমেদ শুভ


©©©©©©. Abdul motin©©©©©©


 শুভ ,, তাবাস্সুম মেয়েটি কে ছিল 

তাবাস্সুম // কোন মেয়েটি শুভ??


শুভ/// তুমি বুঝতে পারছোনা আমি কোন মেয়েটির কথা বলছি নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছো 

তাবাস্সুম // আমি সত্যি বুঝতে পারছিনা 


শুভ// আমি যাকে নিজ হাতে মাটি দিয়েছি সেই মেয়েটির কথা বলছি আদিলা তুমি কি ভাবছো তুমি চেহারা পরিবর্তন করলে আমি তোমাকে চিনতে পারবো না 


তুমি যেদিন ১ম দিন অফিসে এসেছিলে সে দিনই তোমার উপর আমার সন্দেহ হয়েছিল তোমার এই চেহারা ছাড়া তোমার শরীরের সমস্ত অঙ্গ আমার আদিলার মতই ছিল তোমার কথা বলা হাটা চলা সব কিছুই আদিলার মতই ছিল 


কিন্তু আমি সেই দিন তোমাকে নিয়ে তেমন ভাবেনি তাই পরিপূর্ন চিনতে পারিনি 


কিন্তু তুমি যখন আমার গালে কিস করে ছিলে তখন তোমার প্রতি আমার ধারনা প্রবল ছিল যে তুমি আমার আদিলা কেন যানো কোন আজনবি অপরিচিত মেয়ে কোন কাজের কারনে কাউকে চুমু দেইনা আদিলা 


তারপরে তুমি আস্তে আস্তে আমার কাছে আসতেছিলে আদনান কে আব্বু বলে ডাকতে ছিলে তখনও সন্দেহ হয়েছিল 


পরে যেদিন তোমাকে আমি ২য় বার আবার বিয়ে করতে রাজি হলাম তখন তুমি খুশী হয়ে একটা ভুল করেছিল 


কি করে ছিলে জানো তুমি কাজির রেজিষ্টার খাতায় তোমার নাম লিখেছিল 


আদিলা তাবাস্সুম বর্ষা 


যা তুমি ১ম বার লিখেছিলে 

পরে বিয়ের ২য় দিন সকালেও তুমি নিজেই তোমার পরিচয় টা অপেন করেছিলে আমি বুঝেও না বুঝার ভান করে ছিলাম কেন জানো আমি চাইনি তোমার আসল পরিচয় অপেন করতে 

আমি দেখতে চেয়েছিলাম যে তুমি কখনো আমাকে সত্যি টা বলো কিনা 

কিন্তু আমি পারলাম না পরিচয় টা গুপন রাখতে তোমার সাথে মিশতে গেলেই বার বার আমার সেই মেয়েটির কথায় মনে পরে বলো আদিলা কে ছিল সেই মেয়েটি আর কেনই বা এমন একটা নাটক করলে 


আদিলা/// সাথে সাথে শুভর পা জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতে থাকে শুভ তুমি আমাকে মাফ করে দাও আমাকে ছেড়ে যেওনা আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না তুমি যদি এবার আমাকে ছেড়ে দাও তাহলে সত্যি এবার মরে যাবো কোন নাটক করবো না 


শুভ// কেন এভাবে একসিডেন্টের নাটক করে আমাকে কষ্ট দিলে কেনই বা চেহারা পরিবর্তন করলে 


আদিলা/// আমি চাইনি এভাবে তোমাকে কষ্ট দিতে তোমাকে আপন করে পেতে এছাড়া আমার কোন রাস্তা ছিলনা তোমার কাছে বার বার আমার করা অপরাধের ক্ষমা চাওয়া সত্যেও যখন তুমি আমাকে ক্ষমা করছিলেনা বরং তখন তুমি আমার সামনে অন্য মেয়েকে নিয়ে ভালোবাসার অভিনয় করতে 


আমি তখন তোমাকে এতই ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে তোমাকে অন্য কোন মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারতাম না তাই কয়েক বার আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বাবা আমাকে বাধা দিত 

প্রায় সময় বাবা আমাকে বলতো কয়েক টা দিন কষ্ট সহ্য কর পরে তকে শুভ এমনিই মেনে নিবে 


তুইও তো তাকে কম কষ্ট দেস নি


 পরে যখন তুমি আমাকে মেনে নিচ্ছিলেই না তখন বাবা আমাকে এই নাটক টা করতে বলে সেদিন কোন একসিডেন্ট হয়নি বরং তোমাকে হাসপাতাল মিথ্যা বলে আনা হয়ে ছিল কারন সেই হাসপাতালে বাবা আগেই ডাক্তার কে টাকা দিয়ে একটা মৃত লাস কে প্লাস্টিক সার্জারি করে আমার চেহারা করেছিল ছিল যেন তুমি তাকে দেখে আমাকে মনে করো আমি মরে গেছি ভাবো আবার আমি যেন তোমার সাথে নতুন করে শুরু করতে পারি

সেদিন তুমি যখন অফিস থেকে বের হয়েছিলে তার কিছুখন পরেই বাবা আমাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দিয়েছিল আমার চেহারা পরবির্তন করার জন্য 

পরে আমি চেহারা পরিবর্তন করে বাবার বন্ধুর বাসায় চলে আসি এবং তাদের কে তোমার বিষয়ে সব কিছু বলি তোমার থেকে পরিচয় গুপন করার জন্য তাদের সন্তান হওয়ার অভিনয় করি তাদের বাবা মা বলে ডাকি 


প্লিজ শুভ তুমি আমাকে ছেড়ে দিওনা আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না আমাকে ক্ষমা করে দাও আমাকে আর অবহেলা করোনা আমি তোমার দেওয়া অবহেলা সহ্য করতে পারিনা আদনানের দিকে তাকিয়ে হলেও আমাকে মাফ করে দাও আর জিবনেও কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না শুধু তোমার বুকে এই মাথা টা রাখার সুযোগ দাও সারা জিবন তোমাকে ভালোবেসে যাবো একটি বার শুধু আমাকে মাফ করে দাও 


শুভ // আচ্ছা এবার শেষ বারের মত ক্ষমা করে দিলাম আবার ভবিষ্যতে কখনো যদি উল্টা পাল্টা কোন কাজ করো তাহলে চলে যাবো আর কখনো ফিরবো না আমি এই বলে আদিলাকে বুকে জড়িয়ে নেই 


আদিলা// শক্ত করে শুভকে বুকের জড়িয়ে ধরে সত্যা বলছো তো আমাকে এখন আর কষ্ট দিবেনা আমীকে মেনে নিবে তো


শুভ// হুম আজ থেকে আমার সোনা বউ টাকে আর কষ্ট দিবো না আর গুপন করে থাকতে হবেনা এখন থেকে অনেক আদর করবো অনেক ভালোবাসবো 

কিন্তু একটা প্রশ্ন আদিলা? তুমি সত্যি যদি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে সেদিন কেন আমার সব সম্পত্তি লিখে নিলে 


তাবাস্সুম // ওটা কোন দলিল ছিলনা ওটা ছিল একটা গল্পের কাগজ যা দলিলের কাগজের মত ছিল আর তুমি সেগুলো না পরেই সাইন করেছিলে আর আমাকে তুমি অফিসের বসের চেয়ার দিয়ে দিয়েছিল তুমি তো একটা গাধা লন্ডনে গিয়ে এত বড় লোক কি ভাবে হলে 😁

জানো শুভ আমি অফিসের দায়িত্ব নিতাম না কিন্তু তোমার দুষ্ট পাঠক গুলা তোমাকে নানা রকমের কথা শুনাতো তাই আমি চাইনাই আমার প্রান প্রিয় স্বামীটাকে কেউ কোন কথা শুনাক 


তবে সব কিছুই বুঝলাম কিন্তু কিসের গল্পের কাগজ ছিলো সেটা যা তুমি আমাকে দলিল সরুপ দেখিয়ে ছিলে 

আদিলা// বলবো সেটা কি তুমি একাই শুনবে তোমার পাঠক পাঠিকা শুনবে না 

শুভ// হুম তারাও তো শুনবে


আদিলা// তাহলে আজ আর বলবো না কাল থেকে তোমাকে আর তোমার পাঠক দের শুনাবো 


শুভ// এখন কি করবে 


আদিলা// এখন আমার জামাইটাকে মন ভরে আদর করবো এই বলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে শুভর দুই ঠোট তার দখলে নিয়ে নেই 


কিছুখন পর ছেড়ে দিয়ে আদিলা হাফাতে হাফাতে বলে শুভ তোমার কাছে একটা জিনিসের আবদার করবো দিবে 


শুভ// বলো 

আদিলা/// আমার আরেক টা বাচ্চা লাগবে এই বলে শুভর বুকে মাথা রাখে 


শুভ// আচ্ছা তোমার আবদার পুরন করবো বাতি অফ 


এখনো বসে আছেন হা করে লুচু কোথা কার যান যান তাদের একটু সময় দেন 🙈🙈🙈😇😇😇🙄🙄🙄 💝💝💝💝💝💝💝💝সমাপ্ত💝💝💝💝💝💝


জানি গল্পটা শেষের দিকে ভালো হয়নি তবুও আপনাদের থেকে ভালো মতামতের আশা করছি আপনাদের একটি ভালো মতামত আমার নতুন গল্প লেখার উৎসাহ জাগায়


গল্পটি কেমন হয়েছে জানাবেন 

আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন





Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !