গল্প ভাবির বোনের মিথ্যা অপবাদ পর্ব ৩৯



 #গল্প_ভাবির_বোনের_মিথ্যা_অপবাদ

আরিয়ান তোমার নিজের দিকে তাকিয়ে আমায় ক্ষমা করো প্লিজ আমি যে আর পারছিনা
তুই যাবি না হলে তকে সত্যি তালাক দিয়ে দেব
আদিলা তখন ব্যর্থ হয়ে রাসেলের কথা অনুযায়ী নিলিমার মাধ্যম গ্রহন করার জন্য তার রুমে যায়
এখানে কি জন্য আসছেন আপনি,?? আপনাকে ভাইয়া মেনে নিবে না সে তো বার বারই বলছে তারপরও কেন এখানে পড়ে আছেন অন্য কাউকে নিয়ে নতুন করে শুরু করেন দেশে কি ছেলের অভাব নাকি ??
আর আপনি তো বলছেন আপনি বিয়ে করতে চাইলে হাজার ছেলেদের লাইন লাগবে
তো সেখান থেকে একটা বেঁছে নিয়ে সংসার শুরু করেন
নিলিমা বোন আমি তোমার কাছে হাত জুর করে ক্ষমা চাচ্ছি আমি ভুল বুঝে ঐ সব কথা বলেছি তার জন্য প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও
আমি না বুঝে তোমাদের কষ্ট দিয়েছি , আর জিবনে কখনো তোমাদের কষ্ট দিবো না তবুও তোমরা আমাকে এভাবে একা করে দিওনা , আমি যে আর তোমাদের ছাড়া থাকতে পারছি না ভীষন কষ্ট হচ্ছে আমাকে ক্ষমা করে দাও
আমি আগে কখনো জানতাম না কষ্ট কি জিনিস আব্বু আমাকে কখনো কোন কষ্টে দেয়নি বা কখনো কষ্টে রাখেনি যখন যা চেয়েছি সাথে সাথে তা পেয়েছি , আমার কষ্ট হবে বলে আমার আম্মু মারা যাওয়ার পর আব্বু আর বিয়ে করেনি যদি সে এসে কষ্ট দেয় তাই কষ্ট নামক জিনিস টা কি তা কখনো অনুধাবন করিনি
নিলিমা বোন আমি যে এখন আর পারিনা কষ্ট সহ্য করতে
তোমরা এই মা মরা মেয়েটাকে আর কষ্ট দিওনা প্লিজ
নিলিমা প্লিজ তুমি একটু তোমার ভাইয়া কে বলো না সে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয় আমাকে আবারো বুকে টেনে নেয়
আমার কষ্ট গুলি যেন সে তার ভালোবাসার চাদরে ঢেকে নেয় আমি কথা দিচ্ছি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন তোমার ভাইকে আর বিন্দু পরিমান ও কষ্ট দিবো না সারা জিবন তাকে ভালোবেসে যাবো সে যা বলবে আমি তাই মানবো তাই করবো
এই বলে সে নিলিমার সামনে বসে পরে অতপর আবারো বলে নিলিমা আমি তোমার পা ধরি প্লিজ একটু বলো না তোমার ভাইকে
নিলিমা সাথে সাথে সরে গিয়ে বলে উঠে এই পাগল হয়ে গেছেন নাকি কি করছেন এসব
আর কি বললেন আপনি আমরা আপনাকে কষ্ট দিচ্ছি ?? আপনাকে কষ্ট দিচ্ছে কে ? আপনি তো নিজেই কষ্ট পাচ্ছেন আপনি ভাইয়ার কাছে ডিভোর্স চাইছেন তাই আপনার চাওয়া টা ভাইয়া পুরন করতেছে যাতে আপনি খুশি থাকেন
আপনি তো চাইছেন ভাইয়ার সাথে কোন সম্পর্ক রাখবেন না
তো এখন দোষ আমাদের উপর চাপাচ্ছেন কেন ?
আপনি নিজেই তো আপনার জিবনে কষ্ট টেনে আনছেন
ভাইয়া তো ইচ্ছা করে আপনাকে তাড়িয়ে দেয়নি আপনি নিজে তাড়িয়ে দিয়েছেন বলেই ভাইয়া চলে আসছে
ভাইয়া সর্বদা আপনাকে খুশি রাখার চেষ্টা করতো কেননা আপনার মা নাই সেই অভাব যেন আপনাকে কুঁড়ে কুঁড়ে না খায় তাই চেষ্টা করতো
আর আজ আপনি বলছে মা মরা মেয়ে টাকে যেন কষ্ট না দেয় ভাইয়া আপনাকে কোন কষ্ট দিচ্ছে না যা আপনি চেয়েছেন তা পরিপুর্ন আদায় করছে
এখন যদি আপনি কষ্ট পান তাহলে দোষ কার আপনার না ভাইয়ার ?? আপনি তো নিজেই নিজের পায়ে কুড়াল মেরে জিবনে কষ্ট টেনে এনেছেন
আপনি কি জানেন না যে ছেলে বিয়ের আগে ভিন্ন ভিন্ন শরীর খুঁজে সে কখনো বিয়ের পর ১নারীতে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না
ভাইতো আপনার মাঝেই সিমাবদ্ধ ছিলো
আপনি তো অনেক মেধাবী আপনি কেন অন্যের কথা শুনে ভুয়া তথ্য দেখে ভাইয়া কে কষ্ট দিয়েছেন
আমি বুঝতে পারিনি আমাকে ক্ষমা করে দাও
দেখেন আমি ক্ষমা করার কেউ না যার সাথে অন্যায় করেছেন যাকে কষ্ট দিয়েছেন তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চান সে ক্ষমা করলেই হবে
সে তো কাছেই যেতে দিচ্ছে না ক্ষমা নিবো কি করে ??
আপনি কাছে যেতে দিয়েছিলেন ?? যেতে দেননি তো আর কাছে যাওয়ার পরে আপনি তো গায়ে হাত তুলছেন আর ভাইয়া তো যাস্ট কথার মাধ্যমে তাড়িয়ে দিয়েছে আপনার গায়ে তো হাত তুলে নি
আপনি যেমন ভাইয়াকে কাছে যেতে দেন নি
তেমনি ভাইয়া এখন আপনাকে কি করে কাছে যেতে দিবে
ভাইয়াকে যেমন আপনি তাড়িয়ে দেওয়াতে ভাইয়া আপনার জিবন থেকে সরে গেছে আপনিও সরে যান এটাই তো ভালো
আমি পারবো না তোমার ভাইয়ার জিবন থেকে সরে যেতে
তোমার ভাইয়াকে ছাড়া আমি বাঁচবো না
নিলিমা প্লিজ তুমি একটু বলো না তোমার ভাইয়াকে সে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়
আমি খাল কেটে কুমির নিয়ে আসতে পারবো না আমি কখনো আপনার বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবো না কেননা আপনি আমার ভাইকে কষ্ট দিয়েছেন তার চোখের অশ্রু ঝরিয়েছেন
আপনি ভুল করছেন আপনি ক্ষমা নিবেন মাঝে দয়া করে আমাকে টানবেন না
কেননা আমি যদি সুপারিশ করি ভাইয়া হয়তো আপনাকে আমার সামনে মেনে নেওয়ার ভান ধরবে কিন্তু আমার আঁড়ালে আপনাকে আর বহু গুন বেশী কষ্ট দিবে
আর সেটা আপনার জন্য বেশি যন্ত্রনাদায়ক মনে হবে
তাহলে একটা বুদ্ধি তো দাও কি করে তোমার ভাইয়া কে ক্ষমা নিতে পারবো
আপনাকে ভাইয়ার কাছে যেতে হবে বার বার তাকে বিরক্ত করতে হবে তাহলে পারবেন
একটু কথা বললে তালাক দেওয়ার ভয় দেখায় যদি যদি বার বার বিরক্ত করি তাহলে তো তালাক দিয়ে দেবে
আপনার কি মনে হয় ভাইয়া আপনাকে ডিভোর্স দিবে ??
সেটা কখনো না কেননা যদি ডিভোর্স দেওয়ার হতো তাহলে সেদিনই ডিভোর্স দিয়ে চলে আসতো হুজুরী ফায়সালার নাটক করতো না কেননা ভাইয়া আপনাকে কখনো ডিভোর্স দিবে না
কেন ??
সেটা জানিনা
যদি রাগ করে গায়ে হাত তুলে ?
তো সহ্য করবেন ,কেন পারবেন না ??
আদিলা চুপ করে থাকে
আপনিও তো গায়ে হাত তুলছেন পিছন থেকে জড়িয়ে ধরার কারনে
অথচ প্রতি রাতে এভাবে জড়িয়ে না ধরলে ভাইয়া কে বকা দিতেন ভাইয়াকে আনরোমান্টিক বলতেন অভিমান করলে জড়িয়ে না ধরলে কথা বলতেন না তো সেদিন কেন গায়ে হাত তুলেছিলেন
কি হলো চুপ করে আছেন কেন কথা বলেন ?
ভয় নেয় ভাইয়া কখনো আপনার গায়ে হাত তুলবে না কেননা ভাইয়ার আদদে নেই মেয়েদের গায়ে হাত তুলা
ওহ কিন্তু তার কাছে যাবো কি করে সে তো রাতে দরজা লাগিয়ে দেয় যাতে করে আমি যেতে না পারি আর সারা দিন তো বাসায় থাকে না
এই নেন চাবি সেটা দিয়ে রাতে ঢুকবেন
বাট যখন আমরা রাতে ডিনার করে আমি ভাইয়ার রুম থেকে চলে আসবো তার পর থেকে দেখবেন ভাইয়া রুমের লাইট কখন বন্ধ করছে
বন্ধ করার পর থেকে ৩০ মিনিট পরে দরঝা খুলে আপনার যত আবেগ যত ভুলের অনুশোচনা করা দরকার করবেন
একদম নির্ভয়ে কেননা কোন ভয় নেই সিক্রেট দুইটা বিষয় বলে দিয়েছি
আর হ্যা আরেক কা কথা নিজের শরীরের যন্ত নিবেন খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করবেন কেননা যতদিন আপনি ভাইয়ার থেকে ক্ষমা নিতে না পারবেন ততদিন না খেয়ে যদি আপনি মারাও যান কেউ আপনাকে জিজ্ঞেস ও করবে না তাই বলছি খানা খাওয়ার জন্য যখন আমি ভাইয়ার রুমে যাবো তখন আপনি আমার রুমে এসে খেয়ে নিবেন
আর সব চেয়ে বড় কথা হলো কোন পুরুষ মানুষ কে দুর্বল করার জন্য মেয়েদের লাবন্য ময় চেহারায় আর কি কি তা আপনি ভালো করেই জানেন যেগুলো দ্বারা যে কোন পুরুষ কে গায়েল করা যায়
আপনি নিজের শরীরের প্রতি একটু যত্ন নিন
কেননা আপনার চেহারা এখন অনেক টাই নষ্ট হয়ে গেছে নিজে আগে সাভাবিক হন তার পরে নিজেকে আকর্ষিত করে ভাইয়ার সামনে উপস্থাপন করেন দেখবেন ভাইয়া লোভ সামলাতে না পেরে ঠিকই আপনাকে কাছে নিবে কেননা এটা ছেলেদের দুর্বলতা
আর আপনি সেটা ভালো করেই জানেন ভাইয়া আপনার কোন জিনিসের প্রতি সব চেয়ে বেশি আসক্ত সেটা আপনি তার সামনে আকর্ষিত করে উপস্থাপন করুন দেখবেন ভাইয়া সেই জিনিস টা পাওয়ার জন্য আপনাকে কাছে টেনে নিবে
আর হ্যা আরেক টি কথা আপনি চেস্টা করতে থাকেন যদি কখনো আমার মনে হয় আপনি সত্যি নিজের ভুল বুঝতে পারছেন তাহলে ভাইয়াকে বলবো আপনাকে মেনে নিতে
ধন্যবাদ নিলিমা
একটা রিকুয়েষ্ট করবো ,রাখবে??
করেন দেখি রাখার হলে রাখবো
একবার আপু বলে ডাকবে প্লিজ ??
সরি পারবো না সেই যোগ্যতা হারিয়ে ফেলছেন বহু আগে
তাই যেদিন সেটা আবার ফিরিয়ে আনতে পারবেন সেদিন রিকুয়েস্ট করা লাগবে না এমনিতেই ডাকবো
এখন আপাতত রুম থেকে যান আমি ঘুমাবো আর দেখেন ভাইয়া কি করছে
আচ্ছা থাকো তাহলে
হুম যান
অতপর নিলিমা রুম থেকে বের হয়ে আরিয়ানের রুমের সামনে আসে
আর তাতেই দেখতে পায় আরিয়ান দরঝা লাগিয়ে লাইট অফ করে হয়তো ঘুমিয়ে গেছে
তাই সে দরঝা খুলে আস্তে করে ভিতরে ঢুকে আরিয়ানের পা ঝড়িয়ে ধরে বলতে থাকে আর কতদিন কষ্ট দিবে আরিয়ান আমি যে আর পারছিনা আমাকে মেনে নাও আমাকে ক্ষমা করে দাও এই মা মরা মেয়ে টাকে আর কষ্ট দিওনা প্লিজ
আরিয়ান তোমাকে ছাড়া যে আমি থাকতে পারছিনা খুব কষ্ট হচ্ছে আমার আমাকে তুমি বুকে টেনে নাও প্লিজ
আরিয়ান প্লিজ আর অভিমান করে থেকো না একটু রহম করো আমার উপর
আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি আর কখনো এমন ভুল করবো না আরিয়ান আমায় ক্ষমা করে দাও
তুই রুমে আসলি কি করে আর তর সাহসই বা কি করে হলো আমাকে স্পর্শ করার যা বের হ এখনই
তর মত ভালো মেয়েকে ক্ষমা করার কোন দরকার নেই আমার ,আমি একা আছি ভালো আছি তাই বলছি তুই বের হয়ে যা
আদিলা তখন আরিয়ানের কথা শুনে
পা ছেড়ে দিয়ে বুকের উপর শুয়ে তার গলা শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে
এভাবে বলো না আরিয়ান তোমাকে ছাঁড়া আমি বাঁচতে পারবো না আমাকে আর অবহেলা করিওনা
দেখ আমার রাগ হচ্ছে কিন্তু তুই ছাড় আমাকে তর স্পর্শ আমার ঘৃনা লাগে ছাড় বলছি ছাড়
কিন্তু আদিলা তাকে ছাড়েনা
অতপর আদিলা তার মাথা তুলে নিজের গালকে আরিয়ানের মুখের উপর রাখে
যাতে আরিয়ান আর কথা বলতে না পারে
এদিকে আদিলার চোখের গরম জল গুলা আরিয়ানের গালে পরতে থাকে
এতে আরিয়ান অনেক টাই বিরক্ত হয়
অতপর আরিয়ান চেষ্টা করে আদিলার থেকে নিজেকে ছাড়াতে
কিন্তু সে যেন আজ ব্যর্থ ,আদিলার থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারেনা যত বারই চেষ্টা করে ততবারই যেন আরো শক্ত করে ধরে পারছেনা শুধু নিজের বুকের ভিতরে আরিয়ান কে আবদ্ধ করে রাখতে
বুঝতে পারছি সুজা আঙুলে ঘি উঠবে না আঙুব বাঁকা করতে হবে এই বলে আরিয়ান হাত তুলে আদিলার মাথার চুল ধরে টানতে থাকে
তবুও আদিলা তাকে ছেঁড়ে দেয়না এক রকম কান্না করেই যাচ্ছে আর বার বার ক্ষমা চেয়েই যাচ্ছে
অবশেষে আরিয়ান নিরাশ হয়ে ফোন দেয় নিলিমার কাছে
আর তখনই নিলিমা এসে যা বলে ,,
Tags

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !