গল্প Ex বর যখন অফিসের বস
পর্ব ০৪
আরিয়ান আহমেদ শুভ
©a©b©d©u©l©m©o© t©i©n© ©j©a©m©a©l©p©u©r©i©
এটা তর একরাতের ভাড়া তর সাথে রাতে যা কিছু হয়েছে আমার কিছু মনে নাই তর সাথে আমি জুর করে কিছু করেছি ,নাকি আমি নেশা করেছি এটার সুযোগ তুই নিয়েছিস ,তা আমি জানিনা যদি আমি জুর করে তর সাথে কিছু করে থাকি, তাহলে এই টাকা নিয়ে সবকিছু তুই ভুলে যা
আমি যদি কোন পতিতালয়ে যেতাম তাহলে হয়তো পাচ হাজার টাকা দিয়ে সারারাত মজা মাস্তি করতে পারতাম তাও হুসের সাথে
তর সাথে কিছু করেছি কিনা সেটাই আমি জানিনা মনে হয় তুই আমাকে ফাসানোর জন্য আমার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য এরকম জগন্য একটা নাটক করছিস
তাই তকে এই পাচ লক্ষ্য টাকা দিলাম মনে কর তুই প্লানে সাকসেস হয়ছিস এবং তার বিনিময়ে এই পাচ লক্ষ্য টাকা পাইছিস
আর যদি সত্যি তর সতিত্য আমি নষ্ট করেই থাকি বা এতে মনে করিস তর পেটে বাচ্চা আসবে তাহলে এখনই ডাক্তার কে দেখিয়ে আসিস সেটারো বীল নিয়ে নিস আমার থেকে এই বলে সে ফ্রেস হতে চলে যাই
শুভর বলা কথায় মুহুর্তের মধ্যে আদিলার হাসিমাখা মুখটা আমাবস্যার রাতের ন্যায় অন্ধকারে ছেয়ে যাই
এতদিন তাকে পতিতাদের সাথে তুলনা করছে আর আজ তাকে পতিতাই বানিয়ে দিছে শুভ
আদিলা শুভর কথা গুলো শুনে ধপ করে বসে পরে
কিছুখন পর শুভ ফ্রেস হয়ে আসে
অতপর সকালের নাস্তা করে অফিসের দিকে যেতে থাকে কিছুদুর যাওয়ার পরেই
মাঝপথে ট্রাফিকজেমে আটকা পরে শুভ
আর তখনই একটা আওয়াজ কানে আসে
শফিক তুমি যে আমাকে সেই ছোট্ট থেকেই অবহেলা করে আসছো তবুও আমি তোমাকে ভালোবেসে যাচ্ছি
একটি বারো কি তোমার মনে হয়না তুমি যদি আমার জায়গায় হতে আর আমি তোমার মতন তোমাকে অত্যাচার করতাম
কেমন লাগতো তোমার তুমি তো জানো শফিক আমরা মেয়েরা দুর্বল তো কেন তুমি সবল হয়ে আমার উপর এত অত্যাচার করো আমাকে কি তোমার আপন করে নিতে মন চাইনা একটু ভালোবাসা দিতে মন চাইনা কি নেই আমার আমাকে এভাবে তিলে তিলে না মেরে একে বারে মেরে ফেললেও তো পারো ((একটি মেয়ে ))
শফিক // আরে বাবা এগুলো কি এখানে বলার কোন মানে হলো আমি না হয় তোমার উপর অত্যাচার করি তার জন্য তুমি এভাবে সবার সামনে আমাকে অপমান করবে এটাই তোমার ভালোবাসা
আমি তোমাকে অনেক কষ্ট দিয়েছি তা এখন নিজের উপরই খারাপ লাগছে তাইতো আজ তোমাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য মটরসাইকেলের পিছনে তোমাকে বসার সুযোগ দিলাম তোমাকে নিয়ে আজ বহু জায়গায় ঘুরতে যাবো তোমাকে আজ সারা জিবনের জন্য আপন করে নেব ভেবে তোমাকে পিছনে নিয়ে আসলাম
কিন্তু তুমি আমার মানসম্মানের ১২টা বাজিয়ে দিলে
মেয়েটি // সরি বাবু আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও
আমি এগুলো এখানে বলতে চাইনি তুমি বাসায় কখনো আমার কথা শুনতে না আমার সাথে কথা বলতে না তাই ভাবছিলাম তোমাকে কিছু বলার একটা সুযোগ পাইছি তাই বলে ফেলছি প্লিজ ক্ষমা করে দাও
শফিক // আচ্ছা বাবা ক্ষমা করেছি এবার শক্ত করে জড়িয়ে ধর
জ্যাম ছেড়েছে এই বলে তারা চলে যাই
এদিকে শুভর মনে বিরাট এক ধাক্কা লাগে শুভ মনে মনে ভাবতে থাকে আমিও তো আদিলার সাথে অনেক অন্যাই অত্যাচার করছি আজ থেকে আদিলার সাথে আর খারাপ ব্যবহার করবো না তাকে আজকে সমস্ত মান অভিমান ভেঙ্গে আদিলাকে আপন করে নেব আর কখনো কষ্ট দিবোনা তাকে
অতপর অফিসে এসে সমস্ত কাজ ফেলে রেখে আদিলাকে নিয়ে ভাবতে থাকে
আজ যখন অফিস থেকে বাসায় যাবো তার জন্য কিছু গিফট আর একটা ফুল নিয়ে তার সামনে হাটুগেড়ে প্রপোজ করবো আদিলা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আমি এতদিন তোমাকে কষ্ট দিছি তোমার ভালোবাসা আমি বুঝতে পারিনাই আজ থেকে আর কোন কষ্ট আমি তোমাকে দিবোনা তোমাকে অনেক ভালোবাসবো তুমি আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে তোমাকে ভালোবাসার সুযোগ দাও
যখন আমি এই কথা আদিলাকে বলবো সে কতনা খুশি হয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলবে শুভ আমি এই দিনটার অপেক্ষাতেই ছিলাম যে তুমি আমাকে বলবে আমি তোমাকে ভালোবাসি আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও
আমিও তোমাকে অনেক ভালোবাসি শুভ আর কখনো আমাকে এভাবে কষ্ট দিওনা
তাহলে আমি মরে যাবো
এসব মনে মনে ভাবতে থাকে
এভাবেই সেইদিনটি শুভ আদিলাকে ভেবেই কাটিয়ে দেয়
অতপর বিকালে অফিস ছুটি হলে শুভ মার্কেটে গিয়ে আদিলার জন্য কিছু শাড়ি আর কিছু প্রয়োজনিয় জিনিস পত্র কিনে
অতপর কিছু টকটকে লাল গোলাপ কিনে খুশি মনে বাড়ির দিকে যেতে থাকে শুভ
কিছুখন পর বাড়ি ফিরে আসলে বাড়ির অবস্থা দেখলে চমকে উঠে
কারন বাড়িটা একদম নিস্তব্ধ হয়ে আছে যেন ঘরে কোন মানুষই নাই
অতপর শুভ তার মা বাবাকে পেরেশান অবস্থায় মেজে পড়ে থাকতে দেখে
শুভ // কি হয়ছে মা তোমরা এভাবে ফ্লোরে বসে আছো কেন ??
শুভর মা /// তর তো কিছুই হবেনা তুই আজ থেকে অনেক খুশি থাকতে পারবি তর আপদ টা চলে গেছে
শুভর মায়ের কথা শুনে শুভর পায়ের নিচ থেকে যেন মাটি সরে যাই শুভর হাতে থাকা আদিলার জন্য.সমস্ত কিনা জিনিস পত্র মাটিতে পরে যাই
কি বলছো মা আদিলা কোথায় গেছে আর কখন গেছে
শুভর মা // সকালে তরা অফিসে যাওয়ার কিছুখন পর আদিলা ঘর থেকে বের হয়ে যেতে থাকে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কোথায় যাবে সে শুধু বলেছে একটু বাহিরে যাচ্ছি মা কিছুখনের মধ্যেই এসে যাবো কিন্তু কিছুখন পর সে আর আসেনি আসছে শুধু এই ডিবস পেপার আর একটা চিঠি
অতপর শুভ তার মায়ের হাত থেকে চিঠিটা নিয়ে পড়তে শুরু করে
মা তোমরা আমাকে ছোট থেকে অনেক আদর যত্ন দিয়ে লালন পালন করেছো তোমাদের ঋন আমি কখনো পরিশোধ করতে পারবো না
মাগো আমি তোমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও আমি তোমাদের সেবা যত্ন করতে পারলাম না পারলাম না তোমার ছেলের সাথে সংসার করতে মা
জানো মা আজ তোমার ছেলে আমাকে পতিতা বানিয়ে দিছে বলো মা স্বামির সাথে রাত কাটানো বা কোন কিছু করা কি পাপ আমি তার বলা কথা গুলো সহ্য করতে পারলাম না মা সবসময় আমার কানে বাজে আমি নাকি পতিতা
মা তাই চিরজিবনের জন্য চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে তোমরা আমাকে ক্ষমা করে দিও
আর যদি তোমরা আমাকে সন্তান ভেবে থাকো তাহলে আমার সন্ধান আর করবে না আমি বেচে থেকে তো কারো কোন উপকার করতে পারিনাই আমি মরে গেলে আমার লাশ টা কোন ক্ষুদার্থ জীব জন্তুরা খেয়ে উপকৃত হবে
শুভ চিঠির লেখা পড়া শেষ করে গাড়ি নিয়ে বের হয় আদিলাকে খুজার জন্য কিন্তু কোথাও আর আদিলাকে খুজে পাইনা শুভ
দিন যত যেতে থাকে তত শুভ আদিলার জন্য ভেঙ্গে পরতে থাকে আস্তে আস্তে ৬টি বছর কেটে যাই আর শুভও ঘরে একাকি বন্ধি হয়ে যাই
এদিকে শুভর বাবা মা তার ছেলেকে এভাবে দেখতে পারছেনা তাই তারা পরষ্পরে চিন্তা করতে লাগলো শুভকে যদি কোন কাজের মধ্যে রাখা হয় তাহলে হয়তো কিছু সময়
আদিলাকে ভুলে থাকতে পারবে তার কষ্ট টাও কম হবে
অতপর শুভর বাবা তার জন্য ঢাকা শহরে একটা নতুন কম্পানি কিনে নেই
আর শুভর মা তাকে কাজে যাওয়ার জন্য বুঝাতে থাকে কিন্ত সে কিছুতেই যেতে রাজি হয়না পরে বহু কষ্ট করে তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়
এর পর কি হয়ছে তা আপনারা জানেন
শুভ চেয়ারে বসে অতিত নিয়ে ভাবতেছিলো তখনই আবার রুমে আদিলা এসে শুভর টেবিলে একটা কাগজ দেয়
শুভ কাগজ টি দেখেয় ,,,,,,, ,
চলবে
আগামি পর্ব গুলিতে চেস্টা করবো সব চেয়ে বেশি কি ভাবে স্যাড পর্ব দেওয়া যাই
গল্পটি কেমন হয়েছে জানাবেন
আপনাদের সাড়া পেলেই পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবো ইনশা আল্লাহ
আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।