ক্ষেত ছেলে vs বড় লোকের অহংকারি মেয়ে পর্ব ১০



ক্ষেত ছেলে vs বড় লোকের অহংকারি মেয়ে 

পর্ব ১০

আরিয়ান আহমেদ শুভ 


আদিলা বাসায় এসে বালিশে মুখ গুজে কান্না করতে থাকে 

কেন আমাকে এভাবে ধোকা দিলি তর কাছে কি বেশি কিছু চেয়েছিলাম 

চেয়েছিলাম তো তর সামান্য একটু ভালোবাসা 

কেন এমন করলি আমার সাথে কি অপরাধ আমি করেছিলাম 

এসব বলে সে কান্না করতে থাকে হঠাৎ তার দরঝায় কে যেন খটখট শব্দ করে 


আদিলা তারাতারি করে চখ মুছে দরঝা খুলে দেয় 

আদিলা একটা লোক এসে এটা তোমাকে দিতে বলল একটা বাক্স হাতে দিয়ে ((কাজের বুয়া))

আদিলা // কি এর মধ্যে আন্টি 
 বুয়া// জানিনা আদিলা তোমাকে দিতে বলছে তাই দিলাম 

আদিলা // আচ্ছা আন্টি 

অতপর আদিলা সেটি নিয়ে দরঝা লাগিয়ে দিয়ে ভাবতে থাকে কি এর মধ্যে 
আর এটা দিলই বা কে 
শুভ দিলো নাতো ?? 

ধুর কি ভাবছি আগে দেখি কি আছে এর মধ্যে 

অতপর আদিলা বক্সটি খুলে দেখতে পাই তার মধ্যে একটা মোবাইল আর একটা চিঠি 
 

আদিলা তা দেখে আবার ভাবতে শুরু করে নিশ্চয় এটা শুভ পাঠিয়েছে 
হয়তো সে সরি বলছে আমাকে এতদিন এড়িয়ে চলার জন্য যাই হক আগে মোবাইল টা দেখি তার মধ্যে কি আছে 

আদিলা মোবাইল টা অপেন করতেই তার মধ্যে একটা ভিডিও চালু হয়ে যাই 
আর তা দেখেই আদিলার হাত থেকে মোবাইল টা পড়ে যাই 

কারন ভিডিওটাতে দেখা যাচ্ছিলো শুভ একটা মেয়ের সাথে অর্ধ নগ্ন অবস্থায় শুয়ে একে অপর কে জড়িয়ে ধরে আছে এবং সেটি মোবাইল দিয়ে রেকড করা যাতে আদিলার মনে পুর্ন বিশ্বাস হয় এটা সত্য 

অতপর আদিলা মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে যাকে এত ভালো বাসলাম সে কিনা ছিহহহ্ 

যাক আল্লাহ আমাকে ঐ রকম একটা চরিত্রহীন মানুষের থেকে বাচাইছে 
আমি ঐ চরিত্রহীন ছোট লোকের জন্য আর কাদবো না তার জন্য নিজেকে আর কষ্ট দিবো না 

অতপর আদিলা কৌতুহল বষত চিঠিটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকে 

জানিনা আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা এই লোকটার এই মেয়ের সাথে অনেক দিন ধরে রিলেশন ছিল আমি কয়েক বার এদের একসাথে হোটেলে ঢুকতে দেখেছি 

আমি সেদিন আপনাকে তার সাথে ঘুরতে দেখিছি তাই গত কালের একটা রোমডেট করার ভিডিও আপনাকে প্রমান হিসেবে দিলাম যা আমি নিজে তাদের কু কর্মের ভিডিও করেছি

এখনো সময় আছে ঐ চরিত্রহীন লম্পটের থেকে নিজেকে সরিয়ে আনেন 

................ইতি,,,,,,,,
    অচিনা মেয়ে ,,,,,

চিঠি পড়া শেষ করতেই আদিলার মোবাইল টা বেজে উঠে 

আদিলা স্কিনে তাকিয়ে দেখে শুভর নাম টা ভাসতেছে আদিলা ফোন রিসিব করেই এই কুত্তার বাচ্চা চরিত্রহীন লম্পট তুই আর আমাকে ফোন দিয়ে ডিস্টাব করবিনা যদি তুই ভালো ঘরে জন্ম নিয়ে থাকিস 

শুভ // আগে আমার কথাটা শুনো তারপর যা গালাগালি করতে পারো প্লিজ একটু কথা শুনো 

আদিলা // তর মত চরিত্রহীনের সাথে কথা বলে আমার সময় নস্ট করার কোন প্রয়োজন নাই ফোন রাখ কুত্তার বা,,,,


অতপর আদিলা ফোন কেটে শুভর নাম্বার ব্লাক লিস্টে রেখে দিয়ে নাচের পেক্টিসে মন দেয়  

শুভ মন খারাপ করে বাসায় এসে পড়ে 
তখনই নীল কিরে কি হয়ছে মন খারাপ নাকি তর 

শুভ // চুপ😷😷😷😷

নীল // আচ্ছা সরি দোস্ত জানিনা তর কি হয়ছে তকে এভাবে আমার ফেলে চলে যেতে হচ্ছে 

শুভ // কোথায় যাবি 

নীল // বাড়িতে অনেক সমস্যা আম্মু অনেক অসুস্থ তাই হয়তো আর পড়ালেখা করা হবে না গ্রামে গিয়ে কোন একটা কাজ করে আম্মুর দেখা শুনা করবো 

শুভ// এখানে চাকরি করবি তুই 

নীল // আমাকে চাকরী কে দিবে আরে মামা এখন চাকরী করতে গেলে মানি লাগে মানী 

শুভ // তুই করবি কি না সেটা বল 

নীল // চাকরি পাইলে তো করবোই আর আমাকে চাকরি দিবে কে 

শুভ // আচ্ছা ,,,,,,,, এই ঠিকানাই চলে যা 
আর সেখানে গিয়ে আমাকে ম্যানেজারের সাথে কথা বলাবি 

নীল // তুই যে ভাবে বলছিস মনে হচ্ছে তুই ঐ কম্পানির মালিক আর এখন তো বিকাল হয়ে গেছে 

শুভ // তর মা না অসুস্থ এত কথা বলিস কেন তকে যা করতে বলছি কর না হলে এখান থেকে সর যেখানে মন চাই যা তুই 😠😠😠

নীল // আচ্ছা বাবা যাচ্ছি এত রাগ করিস কেন 

অতপর নীল শুভর দেওয়া ঠিকানাই চলে যাই 

সেখানে ম্যানেজারের সাথে কথা বলে শুভকে ফোন দেয় 

শুভ ম্যানেজার কে কি যেন বলে দেয় 

ম্যানেজার /// আচ্ছা নিল সাহেব এই নেন আপনার একমাসের অগ্রীম বেতন আর আপনার যখন খুশি কাজে জয়েন করতে পারবেন 

নীল // এটা কি হল 🙄🙄🙄 কিছুই বুঝতে পারে না 

আচ্ছা শুভ কি বলল যে আমাকে আপনি চাকরি দিলেন 

মেনেজার // আমি দেইনি যে পাঠাইছে আপনাকে সেই চাকরি দিছে আমি শুধু তার কথা মন একটু কাজ করলাম 

নীল /// কিহহহ কে ও এই অফিসের 

   ম্যানেজার// আপনি তার কি হন 

নীল // বন্ধু 

ম্যানেজার // তাহলে আপনি তাকেই জিজ্ঞেস করেন আমি তার বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না সরি 

অতপর নীল সেখান থেকে এসে শুভকে জিজ্ঞেস করে অফিসের বিষয়ে 

শুভ // আগে বাড়ি যা তর মা কে আগে হাসপালাতে নিয়ে চিকিৎ সা কর তারপর কোন এক সময় তকে বলবো নি 

নীল // আচ্ছা এই বলে সে বাসার দিকে রউনা হয় 



অতপর শুভ বার বার আদিলার সাথে যোগাযোগ করার চেস্টা করেও ব্যর্থ হয় 


দেখতে দেখতে অনুষ্ঠানের দিন চলে আসে 
ভার্সিটিতে সকলেই সুন্দর সুন্দর জামা পড়ে তারা তাদের সিট নিয়ে বসে পরে তখন কেউ একজন মাইক দিয়ে বলে উঠে অল্প কিছুখনের মধ্যেই আমাদের অনুষ্ঠান শুরু হবে আমাদের সম্মানিত অতিথি বিন্দ সবাই এসে পরেছে কিছু সময়ের মধ্যে তারাও মঞ্চে আসবেন সকল কে নিজ আসনে বসার অনুরুদ করা হচ্ছে 


এদিকে শুভ আদিলা খুজতে থাকে হঠাৎ দেখতে পাই আদিলার মত কে যেন একটা রুমের দিকে যাই তেছে 

শুভ মেয়েটির পিছন পিছন যেতে থাকে 

এদিকে আদিলার মোবাইলে একটা মেসেজ আসার শব্দ হয় 

আদিলা মেসেজ অপেন করে পড়তে শুরু করে 

আজ শুভকে দেখলাম একটা মেয়ে কে জুর করে ,,,,,, ঐ খানে নিয়ে যাচ্ছে জানিনা কি করবে আমি একটা মেয়ে হয়ে তাকে বাধা দিতে চাইলে আমাকে খুন করার হুমকি দেয় আর কাউকে এগুলো বলতে না করে 

আদিলা মেসেজ পড়ে তা দেখার জন্য কয়েক জন ছেলেকে নিয়ে দৌড়ে আসে 


এদিকে শুভ মেয়েটির পিছন পিছন রুমের মধ্যে ঢুকে যাই আর আদিলা বলে ডাকতে থাকে 

তখনই মেয়েটি শুভর দিকে ফিরে 
শুভ // সামিয়া তুমি !! কেমন আছো আর কিছুদিন তুমি কোথায় ছিলে 


সামিয়া // ভালো , তুমি 
শুভ ,, // ভালো , তো এখানে কেন আসছো 
সামিয়া ,, একটা কাজে আর তুমি 
শুভ // আমি তো তোমাকে আদিলা মনে করে তোমার পিছনে আসছি 

সামিয়া // আচ্ছা তুমি বস আমি আসতেছি এই বলে সামিয়া সেখান থেকে এসে দরঝা লাগিয়ে দেয় 


শুভ /// কি করছো তুমি দরঝা লাগালে কেন মানুষ তো খারাপ ভাববে 

সামিয়া // আরে কিছু হবেনা এই বলে শুভর কাছে এসে নিজের শরীরের কাপড় নিজেই ছিড়ে চিৎকার করে বাচাও বাচাও বলতে তাকে আর বেঞ্চ মাটিতে ফেলতে থাকে 

শুভ এখন কি হবে সেটা নিয়েই ভাবতে থাকে শুভ বুঝে উঠেই পারছেনা কেন সামিয়া এমন করছে 

শুভ // কি চাও তুমি কেন এমন অপবাদ দিচ্ছো আমাকে 

সামিয়া // তোমাকে আদিলার চখে খারাব বানাবো সে আমাকে তোমার চোখে খারাপ বানিয়ে তোমার সাথে প্রেম করবে মজা মাস্তি করবে তা আমি হতে দিবো না 

আমি ১ম দিন তোমার সাথে যা কিছু করেছি তা আমি নিজ থেকে কিছুই করেনি বা বলিনি আমার সেদিন টাকার প্রয়োজন ছিল আমি আদিলার কাছে কিছু টাকা ধার চাইলে সে আমাকে তোমার সাথে ঐ কথা গুলো বলতে বলছিল 

আমি তোমাকে ১ম দেখায় ভালোবেসে ফেলেছিলাম সেটা আদিলা জানতো তাই সে আমার দ্বারাই ঐ কথা গুলি তোমাকে বলাতে বাধ্য করেছে যাতে তোমার চখে আমি খারাপ হয় আর তুমি আমাকে ভালো না বাসো
সে তোমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উতলা হয়ে উঠে ছিলো সে তখন চাইতো না কোন মেয়ে তাকে ভালোবাসোক 
হঠাৎ সামিয়া পায়ের আওয়াজ পাই তাতে আবার চিৎকার করে বলতে থাকে বাচাও বাচাও আমার জিবন টা নস্ট করে দিল 

এরই মধ্যে আদিলা কয়েক জন কে নিয়ে গন্তব্যস্থলে এসে পরে 

আদিলা // দরঝা খুলো তোমার কিছু হবে না আমরা এসে গেছি এই বলে দরঝা ধাক্কাতে থাকে

কিন্তু দরঝা খুলার নামই নাই তাই আদিলা 
তাদের কে দরঝা ভাঙ্গার হুকুম করে তারা দরঝা ভেঙ্গে ভিতরে যাই তখনই সামিয়া দৌড়ে এসে আদিলার পিছনে লোকাই 
সামিয়া /// তুই আজ না আসলে তর এই চরিত্রীন প্রেমিক আমার জিবন টা নষ্ট করে দিত তকে আমি সেই ভিডিও টা পাঠিয়ে ছিলাম এটা কি ভাবে যেন সে জানতে পেরে আজ আমাকে নষ্ট করতে চাইছে আমি কেন সেটা তকে দিছি এই কারনে কান্নার ভান ধরে 

সামিযার কথা শুনে ছেলে গুলো শুভকে মারার জন্য যেতেই আদিলা এই তোমরা তাকে মেরে হাত নষ্ট করো না এই চরিত্রহীন কে আমি বুঝাবো এই বলে আদিলা শুভর দিকে যেতে থাকে 

শুভ // বিশ্বাস করো আদিলা আমি কিছুই করি,,,

তার আগেই আদিলা তার জুতা খুলে শুভর গালে ঠাসসসস ঠাসসসস করে ২টা বাড়ি দেয় 

তুই এতটা খারাপ আমার জানা ছিলনা তকে আমার জিবনের চেয়ে বেশি ভালোবেসে ছিলাম আর তুই কি না ছিহহহহ 

জানিনা // তুই আমার মত কত জন মেয়ের সরল মন গুলা এভাবে নস্ট করছিস ছিহহহ তর চেহারা দেখতেও আমার ঘৃন্যা লাগছে যাহহহ তুই এখান থেকে আজকের পর থেকে যেন তকে আমি এই শহরে না দেখি ,যদি দেখি তুই এই শহরে কোথাও থাকিস তাহলে তকে আমি জুতার মালা গলাই দিয়ে শহরে অলিতে গলিতে ঘুরাবো 


তখনই শুভ 


চলবে ///
































Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !