ক্ষেত ছেলে vs বড় লোকের অহংকারি মেয়ে । পর্ব ১১



ক্ষেত ছেলে vs বড় লোকের অহংকারি মেয়ে 

পর্ব ১১

আরিয়ান আহমেদ শুভ 

 ©©©©©©©©©©abdul motin©©®®®©©©©©

তুই আমার মত কত জন মেয়ের সরল মন গুলা এভাবে নস্ট করছিস ছিহহহ তর চেহারা দেখতেও আমার ঘৃন্যা লাগছে যাহহহ তুই এখান থেকে আজকের পর থেকে যেন তকে আমি এই শহরে না দেখি ,যদি দেখি তুই এই শহরে কোথাও থাকিস তাহলে তকে আমি জুতার মালা গলাই দিয়ে শহরে অলিতে গলিতে ঘুরাবো 

তখনই শুভ মেডাম আপনি আমার জন্য অনেক কিছু করে ফেলেছেন আর আমাকে জুতার মালা গলাই দিয়ে কষ্ট করে ঘুরাতে হবেনা আমি আজই শহর ছেড়ে চলে যাবো 
তার আগে আপনাকে কিছু কথা বলে যাই

তখন আপনি বললেন আমাকে আপনি আপনার জিবন থেকেও বেশি ভালোবাসেন কিন্তু আপনি আমাকে কখনো মন থেকে ভালোবাসতে পারেন নাই আর তো জিবন সেটা বহু দুর কেন পারেন নাই সেটা আপনি ভালো করেই জানেন আমি এখানে বলে আপনার মান সম্মানে আঘাত করতে চাই না 
যদি আমার কথা না বুঝে থাকেন তাহলে আপনার মেসেজ চেক করেন 

অতপর আদিলা মেসেজ চেক করে পড়তে থাকে 

আপনি হয়তো আমাকে ভালোবাসতেন বাট কখনো মন থেকে না যদি আমাকে মন থেকেই ভাবতেন তাহলে কখনো এমন ভিহেব করার আগে চিন্তা ভাবনা করতেন যে ছেলে তার গার্লফ্রেন্ড রাজি থাকা সত্বেও তাকে কিছুই করেনি বরং চো তাকে জ্ঞান দিয়েছে যাতে জিবনে এমন ভুল না করে আর সেই. ছেলে কি করে একটা মেয়েকে ধর্ষন করবে সেটা আপনার বিবেকের কাছেই প্রশ্ন করুন 

আপনি যদি আমাকে মন থেকে ভালোবাসতেন তাহলে আমার সাথে কোন কাজ করার আগে নিম্নে ৫ বার ভাবতেন 
কিন্তু আপনি ১ বারো,,,,
কখনো সত্যি টা কি তা জানার ইচ্ছা না করে দোষি বানিয়ে দিলেন বাহ আপনার ভালোবাসা 

শুভ আবার বলতে শুরু করে আপনি আজ যে ভুলটা করেছেন একদিন তা বুঝতে পেরে সেই ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য সেই মানুষটাকে পাগলের মত খুজবেন কিন্তু তাকে আর এই জিবনে পাবেন না যদি কখনো মন থেকে ভালোবেসে থাকেন তো

((কথা শেষ করতে না করতেই একটা ছেলে এসে শুভর হাতে কি যেন দিয়ে যাই )))

শুভ আমি কখনো কারো ঋন বাকি রাখিনা নেন এটা 

এখানে আমার পিছনে এতদিন যা খরচ করেছেন তার সম্পুর্ন হিসাব করে টাকা দেওয়া আছে 

ভেবেছিলাম আপনাকে জিবন সঙ্গি বানিয়ে তার দিগুন পরিশোধ করে দিবো কিন্তু সেটি তো আর হবার নই বাই দবে এই ধর্ষক কে ক্ষমা করে দিবেন এই বলে সেখান থেকে চলে যেতে লাগে তখনই সামিয়াকে উদ্দেশ্য করে 

আর হ্যা সামিয়া তোমাকে অনেক ধন্যবাদ 
এরকম একটা মহৎ গুনের মেয়েকে আমার জিবন থেকে সরিয়ে দিয়ে আমার অনেক অপকার করলে আমি তার ভিতরে না দেখে রুপ দেখে অন্ধের মত ভালোবেসে ছিলাম 
এই নাও আমার পক্ষ থেকে তোমাকে ছোট্ট একটা উপহার এই বলে 

পকেট থেকে একটা I phone বের করে সামিয়ার হাতে দিয়ে শুভ চলে যাই  

শুভ চলে যাওয়ার কিছুখন পরে আদিলা সামিয়াকে কিছু কথা বলে বাসার দিকে চলে যেতে থাকে আর ভাবতে থাকে 

  আমি কিছু ভুল করলাম নাতো সে তো গরিব ছিল তাহলে i phone সে কোথায় পেল আর হঠাৎ করে তার পিছনে খরচ করার এত টাকা সে কোথায় পেল যা আমাকে এই বক্সের মধ্যে দিয়ে গেল আমি তো কোন দিন তার কাছে i phone দেখিনি সবসময় তো তার কাছে ভাঙ্গা একটা বাটন ফোন দেখেছিলাম ধুর কি ভাবছি হয়তো কোথাও থেকে চুরি করেছে নইতো এত তারাতারি এত কিছু কি ভাবে আসলো তার কাছে ধুর কিছুই ভালো লাগছেনা 
অতপর সে বাসায় এসে বিছানাই শুয়ে পরে 

এদিকে আদিলাকে মঞ্চে নাচার জন্য মাইকে তার নাম ঘোষনা করছে কিন্তু আদিলার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে নাচ গানের অনুষ্ঠান শেষ করে অতিথিদের কথা বলার জন্য দেয় 

অতপর একে একে প্রায় সমস্ত অতিথি কথা বলা শেষ করে সর্ব শেষ লন্ডনের নাম করা বিজন্যাসম্যান আরমান চৌদ্দরী কথা বলতে শুরু করে 

আপনাদের এখানে এসে অনেক ভালো লাগছে দোয়া করি আপনারা সামনে আরো ভালো করতে পারবেন পড়ালেখার উন্নতি করতে পারবেন অতপর আরো কিছু উপদেশ দেয় 

সর্বশেষ যে কথাটা আপনাদের বলতে চাচ্ছি তা হলো এই ভার্সিটিতে আমার ছেলেও পড়ে যে কিনা ছোট্ট বয়সে তিনটা বড় বড় কম্পানির মালিক সে আমার থেকেও অনেক চতুর চালাক তাই সে ছোট্ট বয়সে অনেক এগিয়ে গেছে 

আরমান চৌদ্দরির কথা শুনে সকলেই তার দিকে অবাক চখে তাকিয়ে থাকে এমন কি পিন্সিপাল নিজেও 

অতপর সকলেই আবদার করে তার ছেলের পরিচয় অপেন করার জন্য 

আরমান সাহেব বলতে যাবে তার আগেই তার মোবাইল টা বেজে উঠে 

আরমান সাহেব ফোন হাতে নিয়ে দেখতে পাই তার ছেলে ফোন করেছে তাও একটা পার্সনাল নাম্বারে যা কিনা তাদের কাছে বিপদ সংকেত 

অতপর আরমান সাহেব ফোন রিসিব করে কিছুখন চুপ থেকে ফোন পকেটে রেখে দেয় 

সরি ফ্রেন্ডস আমি আপনাদের কাছে তার পরিচয় টা অপেন করতে পারছিনা সে বলতে নিষেধ করেছে 

তখন সকলের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়ে যাই কে সেই ছেলে যে কিনা এত বড হয়েও পরিচয় অপেন করছেনা 

অতপর অনুষ্ঠান শেষ করে আরমান চৌদ্দরী তার ছেলেকে নিয়ে লন্ডনে চলে যাই 

এদিকে সামিয়া ভাবতেছে আমি আদিলার উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে শুভর এত বড় একটা অপবাধ দিলাম সে কিনা আমাকে তার I phone গিফট করলো কি আছে এর মধ্যে কেন সে আমাকে এটা দিল 

অতপর মোবাইল টা অপেন করেই দেখতে পাই রুমের ভিতরে যা কিছু সে শুভর সাথে করেছিল সব কিছুর ভিডিও রেকড 

অতপর ফোন কিছু সময় ঘাটাঘাটির পর একটা ফোল্ডারে গিয়ে চমকে উঠে 
সেখানে সে একটি লেখা দেখতে পাই 

চলুন শুনে আসি কি কথা ছিল তার মধ্যে 

সামিয়া তুমি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আজ ধর্ষিতা হওয়ার ভান করতেছো নিজের ইজ্জত তুমি নিজেই শেস করতেছো একটা মেয়ের কাছে তার ইজ্জত টাই সব চেয়ে বড় আর দামি যা তুমি সহজেই মানুষের মাঝে তা বিলীন করছো 

আমি চাইলে তখন এই ভিডিও টা তাদের কে দেখিয়ে আমি নির্দোষ হতে পারতাম বাট তোমার চরিত্রের উপর একটা অভিযোগ লেগে থাকতো 
কিন্তু আমি তা চাইনাই যে কোন মেয়ে চরিত্র আমার কোন কাজের কারনে প্রকাশ পায় 

কারন আমারো একটা ছোট্ট আদরের বোন আছে 

তোমাকে আমার আর কিছু বলার নেই তবে শুধু একটা কথা মনে রেখো কারো উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এমন আচরন করোনা যে নিজের ইজ্জত নষ্ট হয় 
বাই ভালো থেকো আর এগুলো সমস্ত কিছু ভুলে গিয়ে সুন্দর ভাবে পড়া লেখা করো 

মেসেজ টি পড়ে সামিয়া শুভর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য যাই কিন্তু সেখানে গিয়ে শুনতে পারে শুভ শহর ছেড়ে চলে গেছে 
 সামিয়া আফসুস করতে করতে বাসায় ফিরে আসে 

এদিকে রাতে আদিলা শুয়ে ঘুমানোর জন্য চেস্টা করে কিন্তু ঘুম তার চখে আসে না বার বার কেন যেন শুভর বলা কথা গুলি তার মনে পরে যাই কিছুতেই ভাবতে পারছেনা কেন এমন হচ্ছে তার 

হঠাৎ আদিলার শুভর দেওয়া বক্সের দিকে নজর যাই আদিলা সেটি খুলে দেখার ইচ্ছা করে কি আছে তার মধ্যে 

অতপর যেই ভাবা সেই কাজ 
অাদিলা বক্স টি খুলেই চমকে উঠে একি এত গুলো ,,,,,,,,

চলবে ?????

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !