গল্প , জিবন কেন এত অসহায়
পর্ব ০২
আরিয়ান আহমেদ শুভ
আমি বলেছি তুই আমাকে একা পেয়ে ধর্ষন করতে চাইছিস রিমিকেও একা পেলে তুই ধর্ষন করবি তুই বল আমি ভালো কথা বলছিনা জানিস সেদিনের ঘটনার পর থেকে তকে সামনে দেখলে কষ্ট লাগে আমার মন চাই তকে মেরে ফেললে আমি একটু শান্তি পাবো কিন্তু কি করবো বল তুই আমার ছোট ভাই তাই তর প্রতি একটু মায়া লাগে এই জন্য একবারে মারতেও পারিনা কিন্তু তুই বেচে থাকলে যে আমি শান্তিতে বাচতে পারবো না তুই আমার সামনে পরলেই আমার মাথা নিচু হয়ে যাই তর সামনে আমি মাথা উচু করে থাকতে পারিনা যেমন আমার বাবা মা তাদের স্বার্থ অর্জন করার জন্য তকে বাড়ি ছাড়া করেছে তেমনি আমি আমার স্বার্থ অর্জন করার উদ্দেশ্যে তর জিবন টাকে এভাবেই আমি শেষ করে তকে দুনিয়া ছাড়া করবো আমি সেই দিন পর্যন্ত তর পিছনে লেগে থাকবো যত দিন না তুই নিজে আত্মহত্যা করবি ততদিন তকে কখনো আমি শান্তিতে বাচঁতে দিবো না তুই যেখানেই যাবি আমি তর পথের কাটা হয়ে দাড়াবো বাই ভালো থাকিস
এই বলে পিচাসের মত একটা হাসি দিয়ে চলে যেতে লাগে তখনই
আরিয়ান /// দাড়া রিয়া তর কি ক্ষতি আমি করেছি বল যে এভাবে আমাকে কষ্ট দিচ্ছিস সেই ছোট্ট থাকতেই বাবা মায়ের থেকে পৃথক করে দিয়েছিস তারপর ৫ টা বছর গাধার মত কাজ করিয়ে নিছিস
আর প্রত্যেক দিন তো মাইর দিয়েছিস
এখন একটু শান্তিতে বাচতে চাইছি সেটাও তুই দিচ্ছিস না আমি তদের কি ক্ষতি করছি
তদের যা দরকার ছিলো তা তো তদের দিয়ে আসছি তাহলে কেন আবার আমার পিছনে লাগছিস
তুই বল সেদিনের করা ঘটানার জন্য কি আমি দায়ি তুই ভুল করেছিস সেটি ভুল বসত আমার চখে পড়ে গেছে এতে আমি দেখে ফেলেছি কিন্তু আমি তো কাউকে বলিনাই আর কাউকে বলবো না সেদিন তর করা দোষ আমার গাড়ে চাপিয়ে দিয়ে বাসা থেকে বের করে দিলে
তবুও তর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নাই কারন তুই আমার আপন চাচার মেয়ে
তুই একটা জিনিস নিজেও বুজতেছিস না তুই ও একদিন আমার মত হবি তুই সত্যিটা যেদিন জানতে পারবি সেদিন তুই আফসুস করতে করতে মরবি
আমি তকে কোন কিছু বলতে চাইনা শুধু তদের থেকে একটু মুক্তি চাই একটু শান্তিতে বাচতে চাই তুই এভাবে আমার জিবন টা নষ্ট করে দিস না প্লিজ আমি তর পা ধরে বলছি একটু শান্তি তে বাকি টা জিবন বাচতে দে
রিয়া /// আচ্ছা যাহহহ আজকের পর থেকে তকে আর কিছু বলবো না তকে অপমান ও করবো না তুই যদি বেচে থাকতে পারিস থাক তবে একটা শর্তে
তুই কখনো আমাদের কে তর এই মুখটা দেখাবিনা আর হ্যা কি বলবি আমি কিছু বুঝতাছি না আমি আফসুস করবো সেই দিন কখনো আসবে না এখন তুই সামনে থেকে সর
অারিয়ান /// আচ্ছা আমি আর কখনো তদের কে আমার মুখ দেখাবো না এই বলে সেখান থেকে বের হয়ে আসে
অচিনা পথ ধরে হাটতে থাকে কোথায় যাবে কি করবে কিছুই তার জানা নেই
অচিনা পথ ধরে চলতে চলতে সে ক্লান্ত হয়ে একটি ছায়াদার গাছের নিচে বসে
তখনই হঠাৎ অতিতের কথা মনে পরে যাই আর তাতেই আরিয়ান হারিয়ে যাই
পুরাতন সেই স্মৃতির পাতায়
এই দুষ্ট আব্বু তাড়া তাড়ি এখানে আসো
সারাদিন শুধু খেলা আর দুষ্টামি নিয়ে বসে থাকো স্কুলে যেতে হবে না ((আরিয়ানের মা ))
আরিয়ান /// আম্মু আজ স্কুলে যাবো না এই বলে সেখান থেকে দৌড়ে পালায়
আরিয়ানের মা আর বাবা তখন আরিয়ান কে খুজে বের করে স্কুলে নিয়ে যেত থাকে
আরিয়ানের বাবা মা তাদের অফিসেই চাকরি করে
(((এভাবে প্রায় প্রত্যেক দিন আরিয়ান স্কুলে যাওয়ার কথা শুনলে পালাতো আর তার মা বাবা খুজে তাকে স্কুলে নিয়ে যেতো
আরিয়ানের মা বাবা তাকে অনেক ভালোবাসতো কারন একটি মাত্র সন্তান তাদের
কিন্তু কে জানতো সেই দিনটাই আরিয়ানের মা বাবার সাথে কাটানো শেষ দিন তারা আর ফিরে আসবে না )))
আরিয়ান কে স্কুলে দিয়ে তারা তাদের কাজে যেতে থাকে হঠাৎ পিছন থেকে একটা ট্রাক এসে তাদের কে এক্সিডেন্ট করে চলে যাই
এদিকে অারিয়ান ক্লাশ শেষ করে বাসায় দেখতে পাই অনেক মানুষের ভিড়
আরিয়ান ছোট মানুষ কিছুতেই বুঝতে পারছেনা কেন এত মানুষ অতপর সে ভীড় ঠেলে ভিতরে গিয়ে উঠানে তার বাবা মায়ের লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরে আরিয়ান
আরিয়ান তার মা বাবা কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতে থাকে আম্মু কথা বলো এখানে কেন ঘুমাইছো উঠনা আম্মু দেখ আমাদের বাড়িতে কত মানুষ জন এসেছে
তারা খারাপ মনে করবে ওবাবা তুমিও আম্মুর মত মাটিতে ঘুমাইছো বাবা উঠনা
এই বলে আরিয়ান কান্না করছে আর তাদের ধাক্কা দিচ্ছে কিন্তু কেউ তাদের কথা শুনেনা
অতপর রিয়ার বাবা আরিয়ান কে রুমে নিয়ে যাই বাবা আরিয়ান তোমার মা বাবা আর কখনো তোমার কথা শুনবে না তারা তোমাকে রেখে না ফিরার দেশে চলে গেছে
অতপর তার মা বাবা জানাযা দিয়ে কবর দিয়ে আসে
পিচ্চি আরিয়ান বেশ কিছুদিন ঘরে সবসময় তার মা বাবার ছবি নিয়ে কান্না করতে থাকে
২ বছর রিয়ার বাবা মা তাকে অনেক অাদর যত্ন করে তাদের স্বার্থ পুরন হওয়ার জন্য এতে আরিয়ান তার মা বাবা কে কিছুটা ভুলে একটু সাভাবিক হতে লাগে তখনই শুরু হয় তার উপর নির্মম অত্যাচার কারন তাদের স্বার্থ পুরন হয়ে গেছে
(((কিসের স্বার্থ সেটি পরে বলবো নো চিন্তা)))
একদিন সবাই এক সাথে খেতে বসে তখন আরিয়ান কাকি মা আমাকে একটু ভালো খাবার দেন আপনাদের সবার প্লেটেই তো ভালো খাবার আমাকে দিয়েছেন পান্তা ভাত আর কাচা মরিচ রিয়ার মা তখন আরিয়ানের কথায় রেগে গিয়ে এই কুত্তার বাচ্চা গরুর মত এত গুলি যে খাবার খাস সেগুলো কি তর বাবাই আমাদের টাকা পয়সা দেই
হারামজাদা একটা কাজ করে না আবার ভালো ভালো খাবার চাই যা দিছি তা চুপ করে খেয়ে নি বেশি কথা বললে সেগুলোও পাবিনা
আরিয়ান // আজ যদি আমি আপনার সন্তান হতাম তাহলে কি আপনি আমার সাথে এমন করতে পারতেন
রিয়ার মা /// চুপ কর হারামজাদা ছোট মুখে বড় কথা তুই কোন দুঃখে আমার ছেলে হতে যাবি তর মত গরু আমার পেট থেকে কখনই হবে না
আপদ গুলা মরছে তো মরছেই অারেক টাকে ফেলে রেখে চলে গেছে
এটা যে কোন দিন বিদায় হবে ??
এই কুত্তারবাচ্চা শোন আজ থেকে ঘরের সমস্ত কাজ তুই করবি যদি না করিস তাহলে যা খাবার দিতাম তা আর দিবো না
এখন চুপচাপ খেয়ে নে
আর আমাদের খাওয়া শেষ হলেই থালা বাসন সবকিছু পরিষ্কার করে নিয়ে আসবি
অতপর আরিয়ান কিছু খেয়ে নিয়ে ঘরে বসে কান্না করতে থাকে
কছুখন পর রিয়ার মা এই উঠ যা গিয়ে কাজ কর আমাদের খাওয়া শেষ চুলের মুঠি ধরে
রিয়ার মা ধাক্কা দিয়ে দিয়ে আরিয়ান কে কাজ করতে পাঠাই
আরিয়ান কখনো এই কাজ করেনি আরিয়ান কি ভাবে কি করবে কিছুতেই বুঝতে পারছে না
খাবার খেতে হলে তার সেই কাজ করতে হবে সেই কথা মনে করে কোন মতে পরিষ্কার করে রুমে নিয়ে যেতে একটা গ্লাস ফেলে দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে
তখনই রিয়ার মা দৌড়ে এসেই ,,,,,,,,
গল্পের সমস্ত কথা আস্তে আস্তে ক্লিয়ার করা হবে
গল্পটি যাদের কাছে ভালো না লাগবে তারা ইগোনর করেন অথবা আমাকে ব্লক দিয়ে রাখেন
সবার রুচিবোধ একনা যে একটা জিনিস সবার কাছেই ভালো লাগবে
কারো কাছে ভালো লাগবে আবার কারো কাছে ভালো লাগবে না এটাই সাভাবিক
যদি আপনাদের কারো কাছে একান্ত ভালো নাই লাগে আমার প্রতি বিরক্ত হন
তাহলে কস্ট করে ইনবক্সে একটু মেসেজ দিয়ে বলবেন যে আপনার গল্প আমার ভালো লাগছেনা তাহলে আমি চেষ্টা করবো আমি আপনার বিরক্তির কারন না হতে
ভাবছি গল্পের কাহিনি টা লম্বা করবো তাই গল্প শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ দয়া করে ভালো খারাপের মন্তব্য করবেন না
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।