গল্প , জিবন কেন এত অসহায়
পর্ব ০৩
আরিয়ান আহমেদ শুভ
আরিয়ান খাবারের কথা মনে করে কোন মতে পরিষ্কার করে রুমে নিয়ে যেতে একটা গ্লাস ফেলে দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে
তখনই রিয়ার মা দৌড়ে এসেই এই হারামির বাচ্চা এটা তুই কি করলি
এত দামি গ্লাস টি কি করে ভাঙ্গলি এটা কি তর বাবাই কিনে দিছে এত্ত গুলা করে যখন ভাত খাস তখন তো পরেনা সামান্য একটু কাজ করতে দিছি একটা গ্লাস ফেলে দিয়ে ভেঙ্গে ফেললি এই বলে আরিয়ান কে মারতে থাকে আরিয়ান মাইরের আঘাত সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করতে থাকে
আরিয়ানের চিৎকারের কারনে রিয়ার বাবা বের হয়ে আসে কি হইছে রিয়ার মা ছেলেটাকে এভাবে মারছো কেন
রিয়ার মা /// দেখনা সামান্য একটু কাজ করতে দিছি তাই আমাদের দামি গ্লাস টা ভেঙ্গে ফেলেছে তাই একটু আদর করতেছি যাতে সামনে এরকম না করে
রিয়ার বাবা // কি বললা দামি গ্লাসটা ভাঙ্গছে দাড়াও আমি দেখাচ্ছিএই বলে আরিয়ানের গালে শক্তি দিয়ে দুইটা চড় মারে
আরিয়ান রিয়ার বাবার থাপ্পর খেয়ে সেখানেই পড়ে গিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাই
যখন তার জ্ঞান ফিরে তখন সে নিজেকে সেখানেই দেখতে যে খানে সে সেন্সলেস হয়েছিল
কারো মনে একটুও মায়া হয়নি আরিয়ানের সেন্সলেস হওয়া দেখে
আরিয়ান সেখান থেকে উঠে কষ্ট করে তার রুমের দিকে যেতে থাকে কিন্তু খুধার কারনে হাটতে যেন তার কষ্ট হচ্ছে তবুও লে কষ্ট করে তার রুমের দিকে যেতে থাকে তখনই সে দেখতে পাই রিয়ার পরিবার সকলেই আবার খেতে বসেছে
অতপর আরিয়ার সেখানে গিয়ে তাদের কাছে খাবার চাই
রিয়ার মা /// ওহ তুই বেচে আছিস ভাবছিলাম তুই মরে গেছিস তাই তর জন্য কোন রান্না করা হয়নি যা এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পর সকালে উঠে সমস্ত কাজ করার পর খানা পাবি
আরিয়ান তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে তার রুমের দিকে যেতে ধরে
তখনই রিয়া এই আরিয়ান এই দিকে আই
আমার জুঠা খাবার খেয়ে নে সারাদিন তো না খেয়ে আছিস আমার মা বাবার তর প্রতি দয়া না থাকলেও আমার তো আছে
এগুলো খেয়ে নি এই বলে প্লেট এগিয়ে দেয়
আরিয়ান খুধার কারনে রিয়ার জুঠা খাবার খেতে শুরু করতেই ঝালের কারনে আরিয়ান পানি পানি বলে চিৎকার করে উঠে কারন তার মুখ সকালে থাপ্পরের কারনে ফেটে গিয়ে ছিল
আরিয়ান অল্প কিছু খেয়ে নিজের রুমে গিয়ে তার মায়ের ছবি বুকে নিয়ে কান্না করতে থাকে আর বলতে থাকে
ওমা তোমরা কেন আমাকে ছেড়ে চলে গেলে
মা দেখনা তোমার ছেলে আজ বড্ড অসহায় কেউ আমাকে আদর করে বাবা বলে ডাকে না আমাকে আদর করে খাওয়ায় দেই না মা তোমার মত
আমাকে কেউ আদর করে মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেইনা
তোমরা কাদের কাছে আমাকে রেখে গেলে যার নিষ্ঠুর পাষানের মত আমার উপর অত্যাচার করে
দেখনা মা তারা আমার প্রতি কিভাবে অত্যাচার করে আমাকে কি ভাবে মেরেছে
মা আমি যে তাদের দেওয়া আঘাত সহ্য করতে পারছিনা তোমরা আমাকে তোমাদের কাছে নিয়ে চলো মা
কেন আমাকে একা ফেলে স্বার্থপরের মত চলে গেলে আমাকে নিয়ে চলো কতদিন তোমাকে দেখিনা কত দিন মা তোমার কুলে ঘুমাই না মা তোমার কথা আজ বড্ড মনে পরছে একটি বার এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দাও না ,মাগো তুমি কি আর আমার কাছে ফিরে আসবে না আমাকে আদর করে বাবা বলে ডাকবে না মাগো তুমি কি তোমার খোকার কথা শুনো না আমাকে এভাবে আর কতদিন কষ্ট করতে হবে বলো মা এসব বলে আরিয়ান কান্না করতে থাকে
কান্না করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে যাই বলতেই পারেনা
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে আরিয়ান বাসার প্রায় সব কাজ করে
খাবার খেতে চাই
রিয়ার মা আরিয়ানের সামনে সামান্য কিছু খাবার
আরিয়ান সেগুলো খেয়ে স্কুলে চলে যাই
অতপর সমস্ত ক্লাস করে বাসায় ফিরে আবার কাজে লেগে যাই
এভাবেই চলে যাই আরো দুইটা বছর
একদিন আরিয়ান স্কুল থেকে ফিরতে সময়
রিয়াকে দেখতে পাই একটা ছেলের হাত ধরে ঘুরতেছে
আরিয়ান তা দেখে বাসায় চলে আসে
অতপর রিয়া বাসায় আসলে আরিয়ান ছেলেটির কথা জিজ্ঞেস করার জন্য.তার রুমে যাই
আরিয়ান // ছেলেটি কে ছিল _??
রিয়া // তুই এত্ত বড় হয়ে গেছিস জানিস ওটা আমার কে ছিল ওটা আমার জান ছিল ওকে আমি আমার জিবন থেকে বেশি ভালোবাসি বুঝলি
আরিয়ান /// হুম বুঝেছি তবে তুমি যদি আমার সাথে আর কোন দিন খারাপ ব্যবহার করো তাহলে কিন্তু চাচ্চু কে বলে দিবো তুমি পড়ালেখা করো না কলেজে গিয়ে ছেলেদের সাথে আড্ডা দাও
রিয়া // তুই আমাকে ব্লাকমেইল করছিস তকে তো আমি দেখে নেবো তকে এমনি আমি দেখতে পারিনা আর আজ তুই আসছিস আমার সাথে পাঙ্গা নিতে আমার বয়ফ্রেন্ড সম্পর্কে উকালতি করতে তকে তো আমি বাড়ি ছাড়া করবো যাহ তুই রুম থেকে বের হো
অতপর আরিয়ান সেখান থেকে হেসে বের হয়ে অাসে কারন আরিয়ান ভালো করেই জানতো রিয়ার বাবা কখনো তাদের সম্পর্ক মেনে নিবে না
এদিকে রিয়া ভাবতে থাকে কি ভাবে এই আপদ টাকে বাড়ি ছাড়া করা যাই
তাকে বাড়ি ছাড়া করলেই আমি শান্তি তে থাকতে পারবো কেউ তখন আমাদের ভালোবাসার কাটা হবে না
রিয়া অনেক্ষন ভাবার পরেও কোন আইডিয়া পাইনা দেখে তার বয়ফ্রেন্ড রাজুর কাছে ফোন দিয়ে আইডিয়া চাই
রাজু /// ,,,,,,,,,,,, তাকে আইডিয়া দেয়
রিয়া /// গুড আইডিয়া কিন্তু কি ভাবে
রাজু /// তোমার মা বাবা কে ২ , ৩ ঘন্টার জন্য কোথাও পাঠিয়ে দিবা তাহলে আমরা আমাদের প্লানে সাকসেস হবো
রিয়া // আচ্ছা ,,, বাই জানু
রাজু // বাই
১ সপ্তাহ পর তাদের সেই কাঙ্খিত সময় আসে রিয়ার বাবা মা একটা কাজের জন্য.রিয়াকে আর আরিয়ান কে বাসায় রেখে বের হয়
রিয়া তখন ফোন করে রাজুকে বাসায় নিয়ে আসে
অতপর তারা তাদের প্লান মত কাজ করতে থাকে
হঠাৎ আরিয়ান তার রুম থেকে বের হতেই
চলবে ,,,,
পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন
আপনাদের সাড়া পেলেই পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবো ইনশা আল্লাহ
আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।