গল্প Ex বর যখন অফিসের বস । পর্ব ০৮




 গল্প  Ex  বর যখন অফিসের বস 


পর্ব ০৮


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


 ©a©b©d©u©l©m©o© t©i©n© ©j©a©m©a©l©p©u©r©i🥴


নিত্য দিনের ন্যায় আদিলা বাসায় এসে সমস্ত কাজ শেষ করে রাতে তারাতারি ডিনার করে শুয়ে পড়ে 


হঠাৎ দরঝা খটখটানোর শব্দে আদিলার ঘুম ভেঙ্গে যাই 


অতপর আদিলা দরঝা খুলে দিয়ে আপনি আবার আমার বাসায় আসছেন আপনার কি একটুও লজ্জা সরম নাই সব লজ্জা কি পানি দিয়ে ধুয়ে খেয়ে ফেলছেন 

আপনি আসার পর থেকেই দেখতে পাচ্ছেন আমি আপনার সাথে খারাপ ব্যবহার করছি অপমান  করছি আপনাকে আমি সহ্য করতে পারিনা  তবুও কোন সরমে এখানে  বার বার আসেন


শুভ /// আদিলা তুমি কেন এমন করছো আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে আমার সাথে আমার বাসা চলো না তোমাকে রানীর মত করে রাখবো 


আদিলা /// কোন পতিতা মেয়ে ভালা মানুষের রানী হতে পারেনা আপনি এখান থেকে যান 


শুভ তখন আদিলার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে


আদিলা // কি হলো দাড়িয়ে আছেন কেন আপনি এখান থেকে যাবেন নাকি চিৎকার করবো 


শুভ /// আচ্ছা যাচ্ছি কিন্তু আগামি কাল আবার আসবো আমি দেখবো তুমি আমার উপর কতদিন রাগ করে থাকতে পারো কত দিন অভিমান করে থাকো 


আদিলা /// আচ্ছা কাল থেকে আমি আর দরঝায় খুলবো না দেখি আপনি কি করে আসেন 

আর একটা কথা আমি আপনাকে ক্ষমা করে দিয়েছি ঠিকই কিন্তু আপনাকে কখনো আমি মেনে নেব না যদিও হাজার বার মরেও আবার জিবিত হয়ে আমার কাছে ফিরে আসেন 


শুভ// দেখা যাবে আর এই নাও আমার আম্মুর ব্যাগ 

তখন রাগ করে এটা আমার কাছেই ফেলে রেখে চলে এসেছিলে 


আদিলা // আপনার মায়ের ব্যাগ আপনার মা কে দিবেন এখানে কেন ??


আর আমার মেয়েকে কখনো নিজের মেয়ে বা মা  মনে করবেন না 


সাবা আমার মেয়ে আর তার কোন সহযোগিতা আপনার করতে হবেনা অামি স্পষ্টই দেখতে পাচ্ছি এটা আমার মেয়ের ব্যাগ নই আমার মেয়ের ব্যাগ নতুন ছিলনা সেটি পুরাতন ছিল আপনি ঐরকমই একটি ব্যাগ নিয়ে এসে বলছেন এটা সাবার ব্যাগ 

আপনি আগের মত এখনো আমাকে বোকা ভাবছেন যে কিছুই বুঝিনা আমি তখনো সব কিছুই বুঝতাম কিন্তু আপনার একটু ভালোবাসা পাওয়ার জন্য না বুঝার ভান করতাম  আমি ভালোবাসা পাইনি ঠিকই কিন্তু পতিতা হওয়ার উপাধিটা ঠিকই পেয়েছি আমি অাপনার দেওয়া সেই উপাধিতেই আমি আমার মেয়ের খরচ চালাতে পারবো 

আমি এখনো বৃদ্ধা হইনি যে কেউ আসবেনা তার খরচ আমি চালাতে পারবো না  আমি সব পারবো আপনি এখান থেকে যান আর যদি টাকা নিয়ে আসেন তো ভিতরে ঢুকেন 


আদিলা // তুমি কেন বারবার অতিতের কথা মনে করে আমাকে কষ্ট দিচ্ছো আমি তার জন্য তো তোমার কাছে ক্ষমা চাইছি আমি কি করলে তুমি আমাকে  মন থেকে ক্ষমা করে দিবে বলো আমি সেটিই করবো 


আদিলা /// যদি আপনি আমার জিবন থেকে চিরজিবনের জন্য চলে যান তাহলেই আমি আপনাকে ক্ষমা করবো 


শুভ /// আচ্ছা আমি তোমার আশায় আমি পুরন করবো কালকে তুমি শুনতে পাবে তোমার পাগল টা আর দুনিয়াতে  নেই সে তোমাকে খুশি করার জন্য চলে গেছে চিরজিবনের জন্য তোমার জিবন থেকে 


শুভর কথা শুনে আদিলার বুক কেপে উঠে আদিলা ভাবনার জগতে চলে যাই 


শুভ /// কি ভাবছো আদিলা আমি চলে যেতে পারবো না তুমি দেখে নিও আমি ঠিকই পারবো 


শুধু আমার শেষ ইচ্ছাটা পুরন করো এই ব্যাগটা আমার আম্মু সাবাকে দিও 


এই বলে ব্যাগটি আদিলার হাতে দিয়ে চলে আসে 


অতপর আদিলা দরঝা বন্ধ করে শুয়ে পরে 


এদিকে শুভ কানে ইয়ারফোন দিয়ে কি যেন শুনছে আর চিৎকার করে বলছে আমি চলে যাচ্ছি আদিলা আমি আর কখনো তোমাকে জ্বালাবো না তোমাকে আর বিরক্ত করবো না

এই বলে শুভ মাঝরাস্তায় হাটতে থাকে হঠাৎই একটা ট্রাক এসে শুভকে মাটির সাথে পিসিয়ে চলে যাই 


আদিলা তখনই চিৎকার করে উঠে এটি আমি কি দেখলাম সত্যিকি শুভ মরে যাবে আমার জন্য আমার কাছে কি আর আসবে না আমাকে আর জালাবে না আমার মেয়েটা কে আর আম্মু বলবে না সারা জিবন কি তার ছবি বুকে নিয়েই কান্না করতে হবে সে  কি মনে করে সত্যি আমি তাকে ভুলে গেছি  আমি কি করে ভুলবো তাকে সে  যে আমার ১ম এবং শেষ ভালোবাসা তাকে আমি শুধু একটু বুঝাতে চাচ্ছি ভালোবাসার মানুষের থেকে কষ্ট বুকে কতটা যন্ত্রনা দেয়


অতপর বালিশের নিচ থেকে একটা ফটো বের করে তার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে যদি আমি তোমাকে   কষ্ট না দিয়ে মেনে নেই তাহলে তুমি আমাকে  সহজ সরল মেয়ে মনে করে কষ্ট দিবে তাই তোমাকে কষ্ট দিচ্ছি প্লিজ তুমি যা করার কর কিন্তু আমাকে ছেড়ে কোথাও যেওনা এই বলে  ফটোতে একটা চুমু দিয়ে বালিশের নিচে রেখে ঘুমিয়ে যাই 


পরেরদিন আদিলা ঘুম থেকে উঠে রান্না করতে চলে 

আর তখনই সাবা আদিলার বালিশের নিচ থেকে ছবিটি বের শুভর পিক দেখা মাত্রই বলে উঠে তাহলে আব্বু মিথ্যা কথা বলেনি আমাকে ধোকা দেয়নি 

আম্মু কেন আমাকে ধোকা দিছে তোমরা দুইজন জগড়া করবা আর আমার আদর থেকে বঞ্চিত  দাড়াও আমি তোমাকে দেখাচ্ছি মজা তুমি এতদিন আমাকে মিথ্যা বলছো না যে আব্বু মরে গেছে এই বলে মনে মনে কিছু একটা ভেবে নেই 


আরেক টা কথা যারা আমাকে রিকুয়েস্ট দেন আমাকে মেসেজ দিয়ে জানাবেন নইতো ঝুলে লম্বা হতে থাকবে কিন্তু কোন কাজ হবেনা 

আর মেসেজ হায় হেল ছাড়া বলবেন আমার এতে এলার্জি আছে 


পাঠকদের কি আর বলবো তারা কমেন্ট বক্সে তো NC next লিখে ইদানিং ইনবক্সেও কিছু লোক NC next লিখছে 


ভাই আপনাদের এগুলা ছাড়া কি কোন গঠন মুলক মন্তব্য করা যাইনা 


অতপর আদিলা সমস্ত কাজ শেষ করে সাবাকে স্কুলে রেখে অফিসে  চলে যাই 


সেখানে গিয়ে দেখতে পাই শুভ অফিসে আসেনি 


এতে আদিলা ভয় পেয়ে যাই আর মনে মনে চিন্তা করতে থাকে সত্যি কি পাগল টা আমাকে ছেড়ে চলে গেল ,  না এ হতে পারেনা 

আমাকে ছেড়ে কোথাও সে যেতে পারেনা 

এই বলে পেরেশান হয়ে বসে থাকে শুভ আসার অপেক্ষা করতে থাকে 

কিন্তু শুভ আর আসে না 

দেখতে দেখতে সেই দিনটি কেটে যাই

রাতে আদিলা বিছানায় শুয়ে বালিশের নিচ থেকে শুভর ছবি বের করতে যাবে কিন্তু সেখানে কোন ছবি পাইনা অতপর আদিলা পাগলের মত শুভর ছবি খুজতে থাকে কিন্তু কোথাও ছবি গুলো পাইনা 

আদিলার পেরেশানি হওয়া দেখে সাবা মিটিমিটি হাসতে থাকে এখন কেমন লাগে আমাকে এতদিন মিথ্যা কথা কেন বলছো 

আজ বুঝো কেমন লাগে 


সাবা // আম্মু কি খুজতেছো 

আদিলা /// কিছুনা তুমি ঘুমাও 

সাবা // আচ্ছা ঘুমাচ্ছি কিন্তু আম্মু আমি জানি তুমি কি খুজতেছো তুমি আব্বুর ছবি খুজতেছো তাইনা মা 

এই নাও মা আব্বুর ফটো 


অতপর আদিলা সাবার হাত থেকে ফটো নেই 


এভাবে কিছুদিন চলে  যাই

হঠাৎ একদিন রাতে আদিলা শুভর ছবি বুকে নিয়ে কান্না করতে থাকে তখনই হঠাৎ দরজায় খটখটানোর শব্দ হয় 


আদিলা // আজ আমি দরঝা খুলবো না কুত্তা আমাকে তর কষ্ট দিতে অনেক মজা লাগে তাইনা তুই চলে এখান থেকে মনে মনে বলতে থাকে 


কিছুখন পর আর আওয়াজ আসেনা 


তখন আদিলা মনে করে শুভ চলে গেছে 

অতপর সে দরঝা খুলে দেখতে পাই দুইটা লোক চলে যাচ্ছে তাদের দেখা মাত্রই আদিলা দৌড়ে গিয়ে পা জড়িয়ে ধরে 


চলবে ,,,,,,


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন 


আপনাদের সাড়া পেলেই পরের পর্ব নিয়ে হাজির হবো ইনশা আল্লাহ 


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !