#মাফিয়ার শহরে
#পাঠঃ৬
#লেখকঃ নীল মেহেরাজ
[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]
.
চাদনি চলে গেলো। বুঝলাম না কি বেশি বলল না।নাকি এক্সিডেন্ট করেছি বলে সেটার কথা বললো।
এদিকে আমি ক্লাসটা শেষ করে ক্যাম্পাসে বসে আছি জয়ের সাথে। বসে বসে গল্প করছি।
এমন সময় ভার্সিটিতে ৩ টা গাড়ি প্রবেশ করলো।
এর মধ্যে একটা গাড়ি দেখেই চিনে ফেললাম।
সকালে সেই গাড়িটা যেটার সাথে আজকে এক্সিডেন্টে করেছি। হঠাৎ করে সকালের মেয়েটা আমার সামনে চলে আসলো।তারপর বলতে লাগলো,,,,,,,
মেয়েটাঃএই সকালে তুই আমাকে মেরেছিলি না।
আমিঃ হুমমম তো কি হয়েছে।
মেয়েটাঃতুই এই তিথুকে(নিজেকে দেখিয়ে) কে মেরেছিস আবার বলছিস কি হয়েছে।আমাকে মারার ফল এখন তোকে দেখাবো দাড়া।
আমিঃ দেখুন মিস তিথু আসলে তখন আপনার দোষ ছিলো আর আপনি যদি রিক্সা ওয়ালা মামার সাথে খারাপ ব্যবহার না করতেন তাহলে হয়ত আপনাকে চরটা মারতে হত না।
তিথুঃ কুত্তার বাচ্চা তুই জানিস আমি কে।
আমিঃ আপনি আগে আপনার মুখের ভাষা টা ঠিক করেন। তারপর নাহয় আমাকে বলবেন আপনি কে।
তিথুঃ আমি হলাম এই এলাকার মেয়র এর মেয়ে।আর তুই আমাকে মেরেছিস। আজ পযুন্ত আমার বাবা ছাড়া আমাকে কেউ মারেনি। আর তুই আমাকে মেরেছিস।
হঠাৎ করে তিথুর সাথে আসা একটা মেয়ে বলে উঠল,,,,,,,
মেয়েটাঃ এই তিথু ওর সাথে এত কথা না বলে হাত পায়ে কয়েকটা দিয়ে চলতো।
তিথুঃসেটাই তো। তুই ঠিকি বলছিস নিশি।
আমিঃ আচ্ছা মিস তিথু যা হয়েছে তার জন্য আমি দুঃখীত।আসলে তখন রেগে ছিলাম তো তাই ওমনটা করেছিলাম।
তিথুঃ সরিইই বললে তো আর কাম হবে না।আমাকে মারার ফল তো এখন তো ভোগ করতেই হবে।
আমিঃ (আর কোনো কথা না বলে পকেট থেকে ফোনটা বের করে দিলাম আসাদ আঙ্কেলের কাছে ফোন)(আসাদ আঙ্কেল হলো তিথুর বাপ।আমার বাবার সাথে তার ভালো সম্পর্ক যার ফলে আমাকে তিনি চিনেন)
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল,কেমন আছেন।
আঙ্কেলঃ অলাইকুম আসসালাম ভালো আছি বাবা।তুমি কেমন আছো।
আমিঃ আঙ্কেল ভালো ছিলাম। কিন্তু একটা সমস্যা হয়েছে।
আঙ্কেলঃকি হয়েছে বলো তো দেখি।
আমিঃ আসলে আপনার মেয়ে আমাকে মারতে এসেছে।
আঙ্কেলঃকিহহহ। আচ্ছা দাড়াও তো আমি এখুনি ওকে ফোন দিচ্ছি।
আমিঃ আচ্ছা।
তিথুঃ এই তুই কাকে ফোন দিলি। আজকে কেও তোকে আমার হাত দেখে বাচাতে পারবে না।
আমিঃ সেটা সময়ই বলে দেবে।আর আপনার ফোনে ফোন আসছে।
তিথুঃ দাড়া কথা বলা শেষ হলেই আজকে তোর হাত পা ভাংবো।
আমিঃ ওকে।
এদিকে তিথু বলছে,,,,,,,,,
তিথুঃ হুমমম আব্বু বলো কি জন্য ফোন দিছো।
আসাদ আঙ্কেলঃতুই এখন কোথায় আছিস।
তিথুঃ প্রাইম
ভার্সিটিতে।কেন কি হয়েছে।আসাদ আঙ্কেলঃ তুই নাকি নীল কে মারতে গেছিস।
তিথুঃহুমমম।তা তুমি জানলে কি করে।
আসাদ আঙ্কেলঃওটা তোর ফরিদ আঙ্কেলের ছেলে।(আমার বাবার নাম ফরিদুজ্জামান ফরিদ)
তিথুঃ আমি জানি এটা ফরিদ আঙ্কেলের ছেলে। তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আমি এমনি মজা করছি।
আসাদ আঙ্কেলঃ হুমমম। যা হয়েছে ভুলে যা।
তিথুঃ আচ্ছা রাখছি বাই।
বলেই তিথু ফোনটা রেখে আমার কাছে আসলো,,,,,,,,,,,,
তিথুঃ শালা তুই আমাকে আগেই বলতি শুধু শুধু বাবাকে ফোন দিলি কেন।(যদিও জানে।)
আমিঃ এই ভাষা ঠিক করেন😠😠😠😠
তিথুঃ যাই হোক চলেন কেন্টিনে বসি।
আমিঃ আচ্ছা চলেন।
(আপনারা ভাবছেন কেন তার সাথে এত ভালো ব্যবহার করছি। আরে আমিতো ভালো ছেলে তাই ভালো ব্যবহার করছি😁😁)
।
আমিঃ তো আমাকে মারবেন না।
তিথুঃ আপনি তো ঠিক আপনার বাবার মতোই হয়েছেন।
আমিঃ হয়তো। আচ্ছা আমাকে বাসায় যেতে হবে।
তিথুঃ চলেন আমি নামিয়ে দিয়ে আসি। আপনার তোর আবার ব্যাথ্যা লেগেছে।
আমিঃ আচ্ছা চলেন।
তারপর ওর গাড়ির কাছে চলে আসলাম।
শুধু তিথু রয়েছে। তার সাথে থাকা লোকগুলো চলে গিয়েছে।
আমিঃ আচ্ছা আপনার মা -বাবা কেমন আছে।
তিথুঃ হুমমম ভালো আছে।আর বাবার কাছে আপনার বাবা-মায়ের বিষয়ে শুনে খারাপ লেগেছে।
আমিঃ বাদ দিন এসব কথা।
তিথুঃ হুমমম। তা আগে তো আপনাকে দেখি নি এই এলাকায়।
আমিঃ আসলে সব সময় বাসায়ই থাকি তো তাই আরকি।
তিথুঃ ওহহহ গুড বয়।
আমিঃ হয়তো।আর আপনার বাবার মতো হওয়ার চেষ্টা করবেন।আপনার জন্য আপনার বাবার মান সন্মান চলে যেতে পারে।
তিথুঃ আসলে আপনার মতো ভালো কোনো বন্ধু নাই তো তাই আরকি।
আমিঃ আমি আবার আপনার বন্ধু হলাম কবে।
তিথুঃ এখন থেকেই। আচ্ছা আজকে থেকে আমাকে ভালো করে গড়ে তোলার দায়িত্ব আপনার।
আমিঃ চেষ্টা করবো। আর বাসায় চলে এসেছি।
তিথুঃ জান্নাত কই।
আমিঃ বাসায় আছে।
তিথুঃ আমি কি দেখা করতে পারবো তার সাথে।
আমিঃ চাইলে পাড়েন।
তিথুঃ ওকে চলেন ভিতরে।
ভিতরে আসতেই দেখি জান্নাত আর চাদনি বসে বসে টিভি দেখছে। আমি ভিতরে ঢুকলাম। চাদনি একবার তাকিয়ে আবার টিভির দিকে তাকালো।
বুঝিনা এই চাদনি সারা দিন আমার ফ্লাটে কি করে।
আমিঃ এইযে ভিতরে আসেন।(তিথুকে বললাম)
তিথুঃ হুমমম আসতেছি।
বলেই সে ভেতরে আসলো।জান্নাত তিথুকে দেখেই দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরলো। আর চাদনি আমার দিকে একবার আর তিথুর দিকে একবার তাকাচ্ছে।
তিথুঃ কেমন আছো আপু।
জান্নাতঃহুমমম ভালো আছি আপু তুমি কেমন আছো।
তিথুঃ হুমমম ভালো আছি।
তিথু আর জান্নাত কথা বলছে। এমন সময় চাদনি আমাকে বলল,,,,,
চাদনিঃআমার সাথে আসুন কথা আছে।
আমিঃ আচ্ছা চলুন।
(তারপর আমি চাদনির পিছু পিছু তাদের ফ্লাটে চলে গেলাম)
আমিঃ কি হয়েছে বলুন।
চাদনিঃ মেয়েটা কে হয়।(হালকা রাগ নিয়ে বলল)
আমিঃ আমার বাবার বন্ধুর মেয়ে।
চাদনিঃওহহহহ। তা চলে যাবে কখন
আমিঃ মানে কি আজকে প্রথম আসলো আর না খেয়েই চলে যাবে।
চাদনিঃতাহলে কি তাকে এখন বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াতে হবে।
আমিঃ না। কিন্তু হালকা banner push topper নাস্তা করাতে হবে তো তাই না।
চাদনিঃ হুমমম জানি তো। আপনারাই তো খান অন্যের ঘরে। এখন কি আমাদেরই তাকে নাস্তা করাতে হবে নাকি।
আমিঃ (কথাটা যেন আমার কাছে কেমন লাগলো।
মনে হল সে আমাকে আপমান করতেই কথাটা বলল)
আমিঃ আচ্ছা যাই।
আর কোনো কথা না বলে চলে আসলাম আমার ফ্লাটে।
জান্নাত আর তিথু গল্প করছে। আমি আমার ফ্লাটের কিচেনে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম যে চার - পাচ টা ডিম রাখা আছে। মনে হয় আগে থেকেই ছিলো।
ডিম গুলো শুধু লবন দিয়ে ভেজে একটা পিরিচ এ করে নিয়ে আসলাম ড্রয়িং রুমে। তারপর আমি তিথুকে ডিম ভাজি এগিয়ে দিয়ে বললাম,,,,,,,,,,,,,,,
আমিঃ আসলে বাজার করি নাই তো তাই আরকি।
তিথুঃ প্রবলেম নাই আবার আসবো তখন ভালো ভাবে খাওয়ালেই হবে।
জান্নাতঃ ভাইয়া চাদনি আপুকে বললেই*******
আমিঃ জান্নাত চুপ করে থাক। পরে কথা হবে।
তারপর তিথু খেয়ে চলে গেলো। আর আমি জান্নাত কে বললাম,,,,,,,,
আমিঃ জান্নাত আজকে থেকে আমরা নিজেরাই রান্না করে খাব।
জান্নাতঃ কেন ভাইয়া কি হয়েছে।
আমিঃ এত কিছু তোর জানতে হবে না।
জান্নাতঃওকে।
আমিঃ রেডি হয়ে নে আমরা দুপুরে রেস্টুরেন্টে থেকে খেয়ে আসি।
জান্নাতঃ আচ্ছা।
জান্নাত চলে গেলো।আমি ভাবতে লাগলাম কি কারনে চাদনি আমার সাথে এত খারাপ ব্যবহার করলো।
চলবে,,,,,,,,,,,
।
(আগেই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারন আমি এত দিন গল্প দেই নি। এতদিন আবেগের বসে পড়েই গল্প দেওয়া হয় নি। এখন আর সেই আবেগটা নাই। অনেকেই ম্যাসেজ এ বলেছেন আমি নাকি আগের নীল মেহেরাজ না। তাই আবার ফিরে আসব আপনাদের আগের নীল মেহেরাজ হয়ে।)
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।