মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১০

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ১০

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

    

আমিঃ না মানে বিয়ের আগে একটু প্রেম করতে চাচ্ছিলাম আরকি।

চাদনিঃ সমস্যা নেই বিয়ের পর করবো।

আমিঃ আরে আমি তো এখন বিয়ে করবো না। আগের পড়াশুনো শেষ করি।

 চাদনিঃ আর অপেক্ষা করতে পারবো না আমি।

আমিঃ ওকে তাহলে আমিও বিয়ে করতে পারবো না

চাদনিঃ মানে কি বলছেন।

আমিঃ আগে প্রেম করবো তার পর বিয়ে। আর এখন আমি কোনো জবও করি না। পড়ালেখা শেষ করে বিয়ে করবো।

চাদনিঃ ওকে তাহলে তাই হবে। এখন তাহলে কি করবো। 

আমিঃ এই তো কি আর করবো আমার ক্ষিদা লাগছে তাই খাবার খাবো।

চাদনিঃ এই প্রপোজ করবে কে শুনি।

আমিঃ আমি এসব পারবো না। 

চাদনিঃ ওকে তাহলে আমিও খাবারের প্লেট দিবো না।

(আমার সামনে থেকে খাবারের প্লেট নিয়ে নিলো)

আমিঃ এই না আমি প্রপোজ করতেছি।

চাদনিঃ হুমমম তাড়াতাড়ি করেন। 

আমিঃ তবে একটা শর্ত আছে।

চাদনিঃ কি শর্ত বলেন।

আমিঃ আমাকে তুমি করে বলতে হবে।

চাদনিঃ পারবো না। তবে আপনি বলতে পারেন।

আমিঃ শর্ত না মানলে নাই। খাবার আমিও রান্না করে খাইতে পারি।😏😏😏

চাদনিঃ ওকে ওকে আমি আপনার সরিইইই তোমার শর্তে রাজি।

আমিঃওকে।

চাদনিঃ প্রপোজ করো সময় দিলাম ২ মিনিট। 

আমিঃ হুমমম

 

 

"তুমি কি হবে আমার আধার রাতের পথ চলার সঙ্গী"

"হবে কি জোছনা মাখা চাঁদনী রাতে চাদ দেখার সঙ্গী "

"সুখে দুঃখে পথ চলার সেই সঙ্গী কী যে আমার হাত শক্ত করে ধরে বলবে,চিন্তা করো না আমি

আছি তো,

 

হাটু গেড়ে বসে এই কথা গুলো বললাম আমি। উপড়ে চাদনীর দিকে তাকানোর সাহস হচ্ছে না। জানি না চাঁদনী এখন কি বলবে। আমি হাতে থাকা খাবারের প্লেট একটা ডিম নিয়ে এগিয়ে দিলাম চাদনির দিকে।

আমাকে অবাক করে করে দিয়ে সে আমার হাত থেকে ডিম টা নিয়ে মুখে পুরে দিলো

বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই এমন খাদক আমি জিবনেও দেখি নাই।🙃🙃🙃🙃🙃🙃🙃🙃🙃🙃

আমিঃ এটা কি হলো। ডিমটা তো আমার ভাগের ছিলো।

চাদনিঃ এই বা*** প্রপোজ করার সময় মনে ছিলো না এটা তোর ডিম। 😡😡😡😡।

আমিঃ তাই বলে আমার টা খেতে হবে😓😓😓😓।

চাদনিঃএহহহহ আসছে আমার ডিম পছন্দ না তাও যে খেলাম এটাই ওনার ভাগ্য। আবার বেশি কথা বলে।

আমিঃ হুমমম।যাই হোক প্রপোজাল তো এক্সেপ্ট করছেন এটাই বেশি।

চাদনিঃ আপনি আপনি করছো কেন। এখন আমার গফ, বফ।

আমিঃহুমমম।ওহহ গো শুনছো।

চাদনিঃ হুমম শুনছি গো বলো।

আমিঃ না মানে আমার ওটা লাগবে।

চাদনিঃ এই শুরু না করতেই চাওয়া শুরু করছো।

আমিঃ দিবা কি না।

চাদনিঃ না দিবো না লুচু কন কার।😏😏😏😏

আমিঃ ওই ভাব নিয়ে লাভ নাই। আমিতো তো শুধু তোমার ভাগের ডিম টা চাইছি🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄।

চাদনিঃ কিহহহহ 

আমিঃ হুমমমমম।

চাদনিঃ ওহহহ আমি তো অন্য কিছু ভাবছিলাম।

আমিঃ 😡😡😡😡😡😡।

চাদনিঃ এই নাও আমার ডিম টা।

(তার প্লেট থেকে ডিমটা আমাকে দিলো)

আমিঃহাহাহাহাহাহাহাহাহ

চাদনিঃ হাসতেছো কেন😓😓😓😓।

আমিঃ তোমার ডিম মনে কি।তুমি পারছো না ডিম টা🙈🙈🙈🙈🙈।

চাদনিঃ নীল বেশি হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। বা*** তুই খা সব।

(আমার দিকে তার প্লেট টা এগিয়ে দিয়ে বলল)

আমিঃ ওই সোনা বউ আমার রাগ করো কেন মজা করলাম😊😊😊😊

চাদনিঃ তোর মজা তুই নিয়ে থাক আমি গেলাম।

আমিঃ এই নাহহহ সরিইইই।আসো আমিই খাইয়ে দেই।

চাদনিঃ লাগবে না আমি চলে যাচ্ছি।

আমিঃ আরে চাদনি বউ চুপ করো আর একটা কথাও না। 

চাদনিকে আর কোনো কথা বলতে না দিয়ে আমি ওকে আমার সাইডেই বসিয়ে একটু ভাত মেখে তার মুখে দিতেই হামকা কামর বসিয়ে দিলো।

আমি হালকা রাগি মুখে ওর দিকে তাকালাম।

  

এইভাবে ১০-১২ দিন কেটে গেলো। ভার্সিটিতে বসে আছি এমন সময় রাকিব ফোন দিলো,,,,,,,,,,,,,,,, 

আমিঃ হুমমম রাকিব বল।

রাকিবঃকিরে কেমন আছিস।

আমিঃ হুমমম রে আছি রে।তুই কেমন আছিস।আর চাচা - চাচিরা কেমন আছেন।

রাকিবঃহুমম সবাই ভালো আছি।আর কাজটা হয়ে গেছে।

আমিঃ গুড এখন তাহলে নিয়ে চলে আয় আমার কাছে।

রাকিবঃ কবে আসবো বলে দে।

আমিঃ কালকেই চলে আয় আর আমি তোকে পড়ে ঠিকানা পাঠাই দিচ্ছি। 

রাকিবঃঠিক আছে।আর ভালো থাকিস।জান্নাত কে দেখে রাখিস 

আমিঃ হুমমম।

 

ফোনটা রেখে দিলাম। যাক তাহলে শিকারীকে আজকে শিকার করতে পারলাম।যে এতদিন যখন অন্যকে শিকার করছে আজকে তাকেই শিকার করলাম।

ভার্সিটি থেকে বাসায় আসলাম।এখন আমি আর চাদনি একসাথেই চলাচল করি। আর জান্নাতও আমাদের সাথেই থাকে। মহুয়া আন্টি আমাদের বিয়ের ব্যপারে চাচা- চাচির সাথে কথা বলবে বলেছে। আসলে এখন আমার আর জান্নাতের অভিভাবক। 

বাসায় আসার সময় জান্নাতকেও নিয়ে আসলাম। 

বাসায় এসেই,,,,,,,

চাদনিঃ এই শুনো একটা কাজ আছে তোমার। 

আমিঃ 🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄।

চাদনিঃ কি হলো এই রকম করো কেন।

আমিঃ এই জন্যই আমি প্রেম করতে চাই না😏😏😏।

চাদনিঃ এই ভাব দেখান বাদ দে শালা।তুই তো বিয়ের আগে প্রেম করতে চাইছিলি।

আমিঃ ওই চুপ করো। এখন বলো কি কাজ আছে।

চাদনিঃ বিকেলে আমি, জান্নাত, আর তুমি এক স্থানে যাব রেডি থেকো।

আমিঃ কোথায় যাবা গো🤪🤪🤪🤪🤪।

চাদনিঃ সেটা বিকেলেই দেখতে পাবা গো।😡😡😡😡😡।

আমিঃ রাগ করো কেন 😓😓😓😓।

চাদনিঃ শালা ঢং করা বাদ দিয়ে এখান থেকে সর।আর গিয়ে ফ্রেশ হ।

আমিঃ এই যাচ্ছি তো।

চাদনিঃ তারাতারি যাও।আর ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি এসো ক্ষুদা banner push topper লাগছে।

  

ফ্রেশ হয়ে চলে আসলাম চাদনিদের ফ্লাটে। গিয়ে দেখি জান্নাত, চাদনি আর আন্টি বসে আছে।

আমাকে দেখেই চাদনি বলে উঠল,,,,,,,,,

চাদনিঃ এত ক্ষন আসতে।😠😠😠😠😠

আমিঃ আমার সাথে এমন করোওওও কেন 😓😓😓😓। 

চাদনিঃ চুপচাপ খাইতে বসো।

আন্টিঃএই চাদনি নীলের সাথে এমন করছিস কেন।(হালকা হেসে হেসে বলল😁😁😁😁)

আমিঃ আন্টি আমার সাথে সব সময় এমনই করে। আর ভার্সিটিতে গিয়েও বকা দেয়। আর আজকে তো একটা থাপ্পড়ওওও মারছে।।(কেমন লাগলো আমাকে বকা এখন লও ঠেলা)

আন্টিঃ এই চাঁদনী কি শুনছি এগুলা। নীল না তোর বড়। ওর সাথে এমন করিস কেন।আর আজকে মারছিস কেন।

চাদনিঃ মা এটা কি হলো। আর আমি ওকে কখন মারলাম।

জান্নাতঃ আন্টি কখন আপু ভাইয়াকে মারলো।

আমিঃ এই জান্নাত তুই চুপ থাক।

আন্টিঃ এই চাদনি এসব যেন আর না শুনি। আর এখন সবাই চুপ চাপ খেয়ে নেও।

চাদনিঃ একটু পর তোকে দেখাচ্ছি।

(আমার দিকে তাকিয়ে ইশারা দিয়ে বুঝালো)

 

খাওয়া শেষ করে নিজের রুমে এসে সুইতেই চাদনি এসে দরজা বন্ধ করে দিলো। আর তারপর আমার কাছে এসেই দিলো,,,,,,,,,,,,

 । 

চলবে,,,,,,,,,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !