মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১১

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ১১

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

 

জান্নাতঃ আন্টি কখন আপু ভাইয়াকে মারলো।

আমিঃ এই জান্নাত তুই চুপ থাক।

আন্টিঃ এই চাদনি এসব যেন আর না শুনি। আর এখন সবাই চুপ চাপ খেয়ে নেও।

চাদনিঃ একটু পর তোকে দেখাচ্ছি।

(আমার দিকে তাকিয়ে ইশারা দিয়ে বুঝালো)

 

খাওয়া শেষ করে নিজের রুমে এসে সুইতেই চাদনি এসে দরজা বন্ধ করে দিলো। আর তারপর আমার কাছে এসেই দিলো একটা চিমটি। তারপর বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

চাদনিঃ কি রে এখন তোকে কে বাচাবে আমার হাত থেকে।

আমিঃ আমি আবার কি করলাম।

চাদনিঃ এই দেখ এমন ন্যাকামো করবি না বুঝলি।একবারে ঠ্যাং ভেঙ্গে দিবো।

আমিঃ

কেন। 

চাদনিঃ ভাব দেখানো বাদ দে। 

আমিঃ হুমমমম।

চাদনিঃ আচ্ছা যাই হোক তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও একটা জায়গায় যাব মনে আছে।

আমিঃ কোথায় যাব সেটা জানি না। কিন্তু রেডি থাকতে বলেছিলে।

চাদনিঃ হুম তাড়াতাড়ি রেডি হও।

আমিঃ হুমমমম।

চাদনিঃ আর সাথে টাকা নিবা। 

আমিঃকত টাকা। 

চাদনিঃ২ লাখ।

আমিঃ এই আমার কাছে এতগুলো টাকা নাই।

চাদনিঃ না থাকলেও নিতে হবে।কাজ আছে তাড়াতাড়ি নিয়ে নিচে আসো।

আমিঃ আরে আমার কাছে সত্যিই এতটাকা নাই।

চাদনিঃ দেখ ভালোই ভালোই বললাম শুনলি না। কয়েকদিন আগে যে টাকা গুলা নিয়ে এসে ওয়ারড্রপ এ রাখলি সেগুলা কই থে আসলো।

আমিঃ এই তুমি দেখলা কেমনে।

চাদনিঃ এখন বেশি কথা বাদ দিয়ে যেটা বলছি সেটাই কর।

আমিঃ এই হুমকি দিচ্ছো কেন।

চাদনিঃ বা* বেশি বকবক না করে নিচে আয়। আমি আর জান্নাত অপেক্ষা করছি রেডি হয়ে।

বলেই চাদনি চলে গেলো। আমি ভাবতে লাগলাম হঠাৎ করে চাদনির কি হয়ে গেলো।এতোগুলা টাকা দিয়ে কি করবে। আমি জান্নাতকে ডাক দিলাম,,,,,,,,,,

আমিঃ এই জান্নাততততততত।

জান্নাতঃহুমমম বলো ভাইয়া কি হইছে।(পাশের রুম থেকে)

আমিঃ আমার রুমে আয় তো তাড়াতাড়ি।

জান্নাতঃহুমমম আসছি বলো।(রুমে ঢুকতে ঢুকতে) 

আমিঃ আচ্ছা চাদনি কই যাবে কিছু জানিস তুই।

জান্নাতঃ নাহহ তো। আমাকে শুধু বলে গেলো যে রেডি হতে। কোথায় যানি যাবে।

আমিঃ ওহহহ আচ্ছা যা রেডি হয়ে নে।

জান্নাতঃ হুমমম।

 

বসে আছি একটা বাইকের শো-রুমে। বুঝলাম না এইখানে আসার কি আছে। চুপ করে একটা চেয়ারে বসে আছি। জান্নাত আর চাদনি বাইক দেখতেছে।

আমাকে বসে থাকতে দেখে চাদনি বলে উঠল,,,,,,,,,,,,,,,

চাদনিঃ এই তুমি বসে আছো কেন।

আমিঃ তো কি করবো।

চাদনিঃ কোন বাইক নিবা সেটা দেখো।

আমিঃ মানে কি।

চাদনিঃ মানে কিছুই না। তাড়াতাড়ি একটা বাইক পছন্দ করে নাও। আর একটা কথাও না।

আমিঃ আরে শুনো তো আমাররর।(পুরোটা বলতে দিলো না)

চাদনিঃ এই চুপ করে যেটা বলেছি সেটা করো। আী বেশি কথা কিন্তু আমি পছন্দ করি না।

আমিঃ হুমমম।

আর বেশি কথা বাড়ালাম না। চাদনির পিছে পিছে গিয়ে একটা বাইক পছন্দ করলাম।(আপনার হয়ত জানেন কি বাইক) (R15 v3)

 

চাদনিঃ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম।তুমি ১ লাখ ৮০ হাজার দাও।

আমিঃ আর গুলো কে দিবে।

চাদনিঃ দিতে বলেছি দাও।

আমিঃ হুমম। ( একটা বান্ডিল থেকে ২০ টা হাজার টাকার নোট রেখে ২ টা বান্ডিল চাদনির হাতে দিয়ে দিলাম।)

চাদনিঃ এখন গিয়ে বাইকটা নিয়ে আসো। আর চালাইতে পারো তো।

আমিঃ নাহহ পাড়ি না একটু চালানো শিখাবা।

চাদনিঃ আবার ঢং করে।যও বাইক নিয়ে আসো।(দাতে দাত চেপে বলল)

আমি গেলাম বাইকটা অনতে। এত ক্ষনে বুঝে গিয়েছি যে আমার অর্ধেক আর সে অর্ধেক টাকা দিয়েই বাইকটা কিনে দিবে।

  

বাসায় চলে আসলাম। দেখি অান্টি নিচে এসে দাঁড়িয়ে আছে। আমি নেমে গিয়ে তার কাছে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করলাম,,,,,,,

আমিঃ আন্টি তো আপনার মেয়ে আমার থেকে অর্ধেক টাকা নিয়ে বাইক কিনেছে।

চাদনিঃ এই এটা তোমার জন্য কিনেছি। আর ভাব নিয়ে লাভ নাই। banner push topper আমার ভার্সিটিতে তে যাইতে প্রতিদিন সমস্যা হয় তাই কিনে দিলাম।

আমিঃ কিহহহহ। তার মানে এটা তুমি ইচ্ছে করে কিনো নি।

চাদনিঃ নাহহহ।

আমিঃ ওহহহহ।

বলেই উপরে চলে আসলাম। তারপর দরজা লাগিয়ে দিয়ে ফোন টা হাতে নিয়ে রাকিব কে একটা মেসেজ দিলাম।

রাতের বেলায় খেয়ে রুমে চলে আসলাম।

 

রাত ১ টা বাজে। এমন সময় রাকিব ফোন দিলোওওওও

আমিঃ হুমম বল।

রাকিবঃআমরা চলে আসছি কই তুই।

আমিঃ ওকে দেখ ওইখানে দরজার সামনে যে ফুলের টব টা আছে তার নিচে একটা চাবি আছে ওইটা দিয়ে দরজা খুলে ভিতরে যা।আমি আসতেছি।

 

ফোনটা রেখে বেরিয়ে পরলাম। 

আসলে রাকিবদের যে বাসাটায় যাইতে বলছি ওটা একটা একতলা বাড়ি।মাএ ৪ টা রুম আছে। ওটা আমাদের বাসা। কিন্তু আমরা থাকি না। 

চাদনিদের বাসায় থেকে ও-ই বাসায় যায়তে সময় লাগে মাএ ১৫-২০ মিনিট।তাও হেটে যেতে। 

বাসায় এসে কলিং বেজটা বাজাতেই দরজার কাছে রাকিব এসে দরজাটা খুলে দিলো।

আমিঃ কিরে আসতে কোনো সমস্যা হয় নি তো।

রাকিবঃআরে না। 

আমিঃ কে কে আসছে তোর।

রাকিবঃআমি,রাহুল,বাবু,আর রাসেল।

আমিঃ যাই হোক কিছু খাইছিস।

রাকিবঃ আরে নারে।আসার সময় শুধু একটু খাইছিলাম।

আমিঃ শালা এখন তোদের আমি কি খাইতে দিবো বল।

রাকিবঃ তুই এখন খাবার ব্যবস্থা করবি। আমি কিছু জানি না।

আমিঃ এই লাত্থি না খাইতে চাইলে চুপচাপ ভিতরে যা।

রাকিবঃ তোর কাজ শেষ এখন আমাদের তো চিনবিই না।

আমিঃ এই চুপ থাক। দেখতেছি কি করা যায়।

রাকিবঃতাড়াতাড়ি দেখ কি কি করতপ পারিস।

আর কথা না বাড়িয়ে বাসার বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে দেখি যে একটা ফুসকা ওয়ালা যাইতেছে।

তারপর কি আর করার ফুসকা আর ঝালমুড়ি নিয়ে ওদের খাইতে দিলাম। 

 

এর চলে আসলাম শিকারের কাছে। আসলে রাকিবের একজন কে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছে। সে আর কেউ না। সে হলো,,,,,,,,

চলবে,,,,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !