মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ৮

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ৮

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

  

বুঝলাম না কেন দুজনেই চলে গেলো। 

আর চাদনি আমাকে ভালোবাসে এটা তো আমি আগে থেকেই জানি। 

একটু পর জান্নাত এসে তার প্লেটটা টেবিলে রেখে চলে গেলো

মানে কি তাহলে এখন এই সব প্লেট আর বাটি,চামচ পরিস্কার করবে কে

ওহহহ বুঝছি আমার সাথে রাগ করে চলে গেলো। এখন আমাকেই সব করতে হবে।

কি আর করার প্লেট আর বাটি গুলো পরিস্কার করে চলে আসলাম নিজের রুমে। ভাবতে লাগলাম কেন সে আমার সাথে দুপুরে এমন ব্যবহার করলো। আর আমার সাথে তিথু আসাতে এমন ব্যবহার কেন করল সে। আরো বলে গেলো যদি কোনো মেয়ের সাথে কথা বলি তাহলে নাকি তখনই কি জানি দেখাবে। 

দুররর ভাল্লাগে না বা**র আলগা পিড়িতি।

  

সকাল বেলায় চাদনির ডাকে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো,,,,,,,,,,,,,,

আমিঃ এত সকালে ডাকার কি আছে।

চাদনিঃ মানে কি। এখন নয়টা বাজে।

আমিঃ তো কি হয়েছে।

চাদনিঃ এই ভার্সিটিতে যাবেন না।

আমিঃ আজকে যাব না আপনি চলে

যান।

চাদনিঃ কেন যাবেন না।

আমিঃ আপনাকে কেন বলবো।

চাদনিঃ বলতে বলেছি বলেন।

আমিঃ বলবো না 😠😠😠।

চাদনিঃ রাগ উঠাবেন না কিন্তু😡😡😡।

আমিঃ আপনাকে কেন বলবো। আর আপনি আমার কে।

চাদনিঃ আমি তোর বউ হই এখন বল কেন যাবি না।

(আমার খুব কাছে এসে বলতে লাগলো)

আমিঃ(কেমন যেন ফিল হচ্ছে। হঠাৎ করে চাদনি এতটা কাছে চলে আসবে ভাবতেও পাড়ি নি।)আমার বউ হন তাই না।

চাদনিঃ হুমমম এবার বলেন।(কাছে থেকেই বলল)

আমিঃ (আর কোনো কথা না বলে দিলাম চার ঠোঁট এক করে🙈🙈🙈🙈।)

চাদনিঃ এটা কি হলো😡😠😡😠।

আমিঃ আমার বউকে ছোট্ট একটা ইয়ে দিলাম আরকি।

চাদনিঃ ৩-৪ মিনিট হবে আর বলছে ছোট্ট। তাহলে বড়টা কতক্ষণ হবে🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄

আমিঃ ওটা দিবো নাকি এখুনি বউ😍😍😍😍।

চাদনিঃকাজটা ঠিক হলো না😬😬😬। এখন বলেন ভার্সিটিতে কেন যাবেন না।

আমিঃ আসলে আজকে একটা এতিমখানায় বাবা - মায়ের জন্য দোয়া-মাহফিল করবো তো তাই।

চাদনিঃ মানে। আমাকে, মাকে তো কিছুই বললেন না। 

আমিঃ আসলে হয়েছি কি........।

চাদনিঃ থাক আর কিছুই বলতে হবে না।

চাদনি রাগ করে চলে গেলো। বুঝিনা এই অল্প বয়সি নারীদের মাথায় এত রাগ আসে কই থেকে।

আমি আগেই বুঝেছি যেন চাদনি আমাকে লাভ করে। 

আর তার জন্যই আজকে ইয়ে টা দিলাম আরকি 🙈🙈🙈।

আজকে যে দোয়া মাহফিল করাবো এই কথাটা মনেই ছিলো না। আমার নিজের বোন কেও বলি নি।

  

ফ্রেশ হয়ে রিয়াকে রেডি হতে বলেই চলে আসলাম চাদনিদের ফ্লাটে।

দেখি সে গাল ফুলিয়ে সোফায় বসে আছে। আর ওদিকে আন্টি খাবার রেডি করতেছি। আমি গিয়ে চাদনির পাশে বসলাম। আমাকে নসা দেখে সে আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো। বুঝলাম রাগ করেছে।

(এখনো ভালোবাসি কথাটাই বলল না। তাহলে এখন কিভাবে রাগটা ভাঙ্গাবো বলেন তো কি একটা ঝামেলা) 

আমিঃ আন্টি কিছু মনে না করলে একটু জান্নাত কে ডেকে আনেন তো।(আন্টি থাকলে রাগ ভাঙ্গাতে লজ্জা পাব)

আন্টিঃ হুমম যাচ্ছি। (কেমন হাসি দিয়ে চলে গেলো।)

আমিঃকি হয়েছে।(চাদনিকে বললাম)

চাদনিঃকই কি হয়েছে। আপনি মাকে কেন বাহিরে পাঠালেন।

আমিঃ আসলে আমার মনে ছিলো না। জান্নাতকেও বলি নি। শুধু রেডি হতে বলে আসলাম।

চাদনিঃ তো আমি কি করবো।

আমিঃ যাবেন না আমার সাথে। 

চাদনিঃ না।

আমিঃ সত্যি তো।

চাদনিঃ হুমমম। 

আমিঃ ১০০%।

চাদনিঃ হুমমম ১০০%। 

আমিঃ ওকে তিথু কে ফোন দেই তাহলে। 

বলেই ফোনটা বের করলাম। ওমনি আমার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে নিলো।

চাদনিঃ আমি রেডি হয়ে আসছি।

আমিঃ হায়রে নারী শুধু শুধু এত সময় নষ্ট করে তেল মাখালাম।

চাদনিঃ কি বললেন।

আমিঃ নাহহ তো।

তারপর আন্টিকেও সাথে নিয়ে চারজনে মিলে এতিমখানায় গেলাম। আর বিকেলে অনেক

 ঘুরলাম

  

 পরের দিন সকালে উঠে জান্নাত,আর আন্টিকে বলে বেড়িয়ে পড়লাম বগুড়ার উদ্দেশ্যে। জান্নাত তো আসতেই দিতে চাইতেছিল না। তাও আসলাম। জান্নাত বগুড়া শহরের নামটা খারাপ রাখে নি।

"" মাফিয়ার শহর"" নামটা যেমন, বগুড়া শহর টা ঠিক তেমনই। 

  

বাস থেকে নেমে একটা রিকশা নিয়ে চলে আসলাম সোজা আমাদের বাড়িতে। বাসায় এসে কলিং বেল বাজাতেই রিয়া এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখেই জড়িয়ে ধরে কান্না করে দিলো। 

আমিঃ এই পাগলি কান্না করছিস কেনো।

রিয়াঃ আমাদের কথা তোর মনে পড়েনি রে ভাইয়া।

আমিঃহুমম পড়েছে তো।

রিয়াঃ জান্নাত কই। ওকে তো দেখছি না।

আমিঃ ওরে নিয়া আসি নাই।

রিয়াঃমানে কি, কেন নিয়ে আসিস নি।

আমিঃ আরে এসব বাদ দে। চাচা - চাচি কোথায়।

রিয়াঃ একটু বাহিরে গেছে। আমি এখুনি বাবা-মা কে ফোন দিচ্ছি। 

আমিঃ আচ্ছা দে আমি একটু ঘুরে আসি। 

রিয়াঃ আরে আগে ফ্রেশ হয়ে আয় কিছু খেয়ে বের হোস।

আমিঃ আরে একটু ঘুরে আসি।

রিয়াঃ আচ্ছা

বাসা banner push topper থেকে বের হয়ে রাকিব কে ফোন দিলাম। 

তারপর আমি সোজা আড্ডা দেওয়ার যায়গায় চলে গেলাম। দেখলাম কয়েকজন মিলে আড্ডা দিলাম। 

বাসায় আসার সময় রাকিবকে সাথে নিয়ে আসলাম। 

রাস্তায় আমি বলতে লাগলাম,,,,,,,,,,,,,

আমিঃ কিরে রাকিব কোনো খোজ পেলে বাবা মায়ের বিষয়ে। 

রাকিবঃ নীল তোকে যে কিভাবে বলি।(কেমন যেন করে বলল)

আমিঃ আরে বল কি হয়েছে। 

রাকিবঃ তুই বলাতে আমি সবার উপর নজর রেখেছি।খোজ নিয়ে জানতে পারলাম রিজভি সাহেবের ব্যপারে একটু গোলমেলে লাগছে রে।

আমিঃ মানে যে বাবার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো সে রিজভি।

রাকিবঃহুমম রে।

আমিঃ ওহহহ আচ্ছা যাই হোক। আমি আগামি কাল সকালেই চলে যাব। আর আজকে রাতে তুই আমার সাথে থাকবি। রাতে একটা প্লান করবো বুঝেছিস।

রাকিবঃ আচ্ছা আমি তাহলে বাসায় থেকে ঘুরে আসি।

আমিঃ ওকে যা। আর সাবধানে আসিস।

রাকিবঃওকে।

  

বাসায় এসে ড্রয়িং রুমের সোফায় বলে আছি।এমন সময় চাচা আর চাচি বাসায় প্রবেশ করলো। আমাকে দেখে চাচা কেমন যেন চমকে উঠল। আমি উঠে চাচা চাচিকে সালাম দিয়ে বললাম,,,,,,

আমিঃ চাচা চাচি আপনারা কেমন আছেন। 

চাচাঃ এইতো ভালো আছি।আর তুমি কেমন আছ।

আমিঃ হুমমম ভালো আছি।

চাচিঃবাবা জান্নাত কোথায়।

রিয়াঃ মা ওতো জান্নাতকে নিয়ে আসে নাই।

চাচিঃ এটা কেমন কথা নীল। তুমি জান্নাত কে কেন নিয়ে আসোনি।

আমিঃ আন্টি আসলে ওর ক্লাসে আছে তো তাই আরকি।

রিয়াঃ আচ্ছা এসব কথা পড়ে হবে। আগে খেয়ে নেই সবাই।

আমিঃ হিমমম খিদা লাগছে। আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি।

রিয়াঃ ওকে যা।

  

নিজের রুমে চলে আসলাম। রুমটা মনে হয় একটু আগেই গোছানো হয়েছে। এখনো রুম স্প্রে এর গন্ধ টা টাটকা ররেয়ে। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি রাকিব নিচে বসে রিয়ার সাথে গল্প করছে। 

একটা বওষয় খেয়াল করলাম চাচা কার সাথে যেন কথা বলছে। কেমন যেন রেগে রেগে কথা বলছে।

রাতে খেয়ে আমার রুমে এসে আমি আর রাকিব শুয়ে 

পরলাম। শুয়ে শুয়ে রাকিব কে বললাম,,,,,,,,,

আমিঃ রাকিব শুন,,,,,,,,,,, (সিক্রেট বিষয়😁😁😁😁)

  

সকাল ১০ টার সময় সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলাম বাস কাউন্টারে। আসার সময় চাচা টাকা দিলো। আমিও না করি নি। কারন এখন টাকার খুবই প্রয়োজন। সাথে ছোট বোন টাও আছে। আর ব্যাংকে আমার চলার মতো যথেষ্ট টাকা রাখা আছে।


চলবে,,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !