গল্প ছেলেটি গরিব বলে
পর্ব ২
লেখক . আরিয়ান আহমেদ শুভ
..
১ম পর্বের পর থেকে
ফ্লাশব্যাক
দিনটি ছিল শুক্রবার তাই বাবা মেয়ে সারা শহর ঘুরা ফিরা করে রাতে বাড়ির দিকে ফিরছে তাদের গাড়িটা অবিরাম চলছে এমন সময় রাস্তার ল্যামপোস্টের বাতির দিকে চখ আটকে যাই বর্ষার সেখানে বর্ষা দেখতে পাই একটা ছেলে শুয়ে আছে আর তার শরীর থরথর করে কাপতেছে তাই দেখে বর্ষা তার বাবাকে বলল আব্বু এই যে দেখ ল্যামপোস্টের বাতির নিচে একটা ছেলে শুয়ে আছে তার শরীর কি ভাবে কাপছে মনে হয় ছেলেটা খুব অসুস্থ তুমি গাড়ি থামাও ছেলেটাকে হাসপাতালে নিতে হবে
বর্ষার বাবা.. দেখ মা তারা রাস্তার ছেলে তারা ওভাবেই রাত কাটাই দেখছোনা তাদের থাকার কোন জাইগা নেই শরিরে কোন কাপড় নেই
সে কোন অসুস্থ হয়নি তার মনে হয় শীত লাগছে তাই কাপতেছে
বর্ষা . বাবা আজ যদি আমি ছেলেটার জাইগায় থাকতাম তাহলে কি এই কথা বলতে পারতে
বর্ষার বাবা আর কোন কথা বলেনা কার বর্ষা ছেলেটাকে তার সাথে তুলনা করেছে আর বর্ষার বাবা বর্ষা কে অনেক ভালোবাসে যার কারনে অনিচ্ছা সত্যেও গাড়ি থামিয়ে ছেলেটির কাছে যাই বর্ষার বাবা
তাতে সে দেখতে পাই ছেলেটির গা জ্বরে পোড়ে যাচ্ছে
তাই তাকে কুলে নিয়ে গাড়িতে উঠাই বর্ষার. বাবা পরে বর্ষা ছেলেটির মাথা তার রানের উপর দিয়ে মাথাই হাত বুলাতে লাগলো আর বর্ষা তার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলো ইস কি মায়াবি চেহারা ছেলেটা যদি আমার আপন কেও হতো যদি সারা জিবন তাকে এই ভাবে ধরে রাখতে পারতাম .. আরো অনেক কিছুই ভাবছে তবে আপনাদের আর বলবোনা তখনই বর্ষার কানে আওয়াজ আসে মা এসে পরেছি নামো পরে বর্ষা নেমে যাই আর ছেলেটিকে বর্ষার বাবা কুলে করে একটা রুমে নিয়ে যাই পরে তাদের ফ্যামেলি ডাক্তার নিয়ে এসে ছেলেটির চিকিৎসা করাই ডাক্তার কিছু ওষধ লিখে দিয়ে চলে যাই
পরে ছেলেটি কিছু দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাই
একদিন বষা তার রুমে গিয়ে এখন কেমন লাগছে
ছেলেটি . ভালো
বর্ষা . তোমার নাম কি
ছেলেটি . আরিয়ান আহমেদ শুভ
বষা. তোমার বাসা কোথাই
শুভ. নাই
বর্ষা. মানে
শুভ . আমি এতিম আমার কেউ নেই তো বাসা কোথাই থাকবে
বর্ষা . তো এতদিন চলতে কিভাবে
শুভ. আমি স্কুল থেকে ফিরে এসে একটা চায়ের দোকানে কাজ করতাম সেখান থেকে যা টাকা পেতাম তাই দিয়ে কোন রকম খরচ চলতো
বর্ষা.তো তুমি কোন ক্লাসে পরতে
শুভ . এবার p s c দিছি
বর্ষা . তোমার রেজাল্ট কত
শুভ. , , ,, ,,, আপনাদের বলবোরনা কারন আপনারা আবার হিংসা করবেন 😀😁😁
বর্ষা . তুমি তো আমার থেকে অনেক বেশি নাম্বার পেয়েছো
শুভ..........
বর্ষা . এখন কি করবে
শুভ. আগে যা করতাম
বর্ষা . যদি আমি তোমাকে কাজ দেই তুমি করবে
শুভ. হুম করবো .
তাহলে .কাল থেকে আমাকে রাতে পড়াবে ,,, ,
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে বর্ষা এগুলো কেন বলছে তার বাবা মা তো বলতে পারতো
বর্ষাকে তার মা দুই বছর রেখেই মারা যাই
আর বর্ষার বাবা বিজন্যাসের কাজে সারাদিন বাহিরে থাকে
তাই বর্ষা নিজের ভালো মন্দ নিজেই বুঝে নেই
পরে তারা আরো কিছু খন গল্প করে বর্ষা তার রুমে চলে যাই
পরেরদিন,,, ,,,,,
চলবে ,,,,
গল্প টা যেহেতু কাল্পনিক তাই ছোট থেকে সব কিছুই সম্ভব
কেউ খারাপ কমেন্ট করবেননা
যারা আমাকে রিকু দেন তারা ছোট্ট করে একটা মেসেজ দিয়ে বলবেন
যে আমি গল্প পড়ি নইতো ঝুলে থাকবেন
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন
কারন লেখক এখনো পিচ্চি😎😎
আর পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন
যারা আগের পর্ব গুলি পড়েন নাই
তারা আমার টাইমলাইন থেকে পড়ে নিয়েন
ধন্যবাদ সবাই কে সুস্হ থাকবেন ভালো থাকবেন
আল্লাহ হাফেজ..
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।