মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১৩

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ১৩

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

 

রাস্তার পাশ্বে একটা ল্যাম্পপোষ্ট দেখে বসে পরলাম। 

রাস্তায় এখন কেউ নেই। দুরে একটা কুকুর দেখতে পাচ্ছি ঘুমিয়ে আছে। আমার রাগ যেন থামছেই না। 

 

কতক্ষ পরে আযান কানে পরলো। সোজা মসজিদে চলে গেলাম। অজু করে নামাজ পড়ে হাটতে হাটতে বাসার দিকে চলে আসলাম।

বাসায় আসতেই চাদনী সামনে পড়ে গেলো,,,,,,,

চাদনিঃএই এত সকালে কোথায় গেছিলে। 


আমিঃ কেন মসজিদে গেছিলাম। 


চাদনিঃ ওহহহ গুড। আচ্ছা তুমি সোজা ছাদে চলে যাও আমি তোমার জন্য কফি নিয়ে আসছি।


আমিঃ নাহহ এখন আর কফি খাবো না। রুমে গিয়ে ঘুমাবো। আর আজকে ভার্সিটিতে যাবো না।


চাদনিঃ বেশি কথা না

বলে যেটা বলছি সেটা করো। 


আমিঃ এই এগুলা কিন্তু আমার একদম ভালো লাগে না।


চাদনিঃ না লাগলেও করতে হবে। আর কোনো কথা শুনতে চাই না। 


আমিঃ হুমমম।

 

বলেই চলে আসলাম ছাদের দিকে। জানি কোনো কথা বলেও লাভ হবে না। কারন চাদনি অনেক জেদী মেয়ে।

একটু পর চাদনি দু হাতে দুটো কফির মগ নিয়ে ছাদে আসলো। আমার দিকে একটা মগ দিয়ে বলল,,,,,,,,,,,,,,,

চাদনিঃ তা আজকে ভার্সিটিতে যাবে না কেন।

 

আমিঃ এমনি ভালো লাগছে না তো তাই আর কি।


চাদনিঃ ওহহহহ। আচ্ছা নীল তুমি আমাকে কতোটা ভালো বাসো। 

আমিঃ সেটা আমি বলে বোঝাতে পারবো না। 


চাদনিঃআচ্ছা আমি যদি তোমাকে ছেড়ে চলে যাই তাহলে কি করবে তুমি।


আমিঃযেদিন তুমি আমার লাইফ থেকে চলে যাবে সেদিন ভালোবাসা নামক অনুভূতি টা আমার কাছে মূল্য হীন হয়ে যাবে। আর হয়ত কষ্ট পাবো। কিন্তু বোকাদের মতো নিজের ক্ষতি করবো না। কারন যে যাবার সে যাবেই। তার জন্য কষ্ট পেয়ে লাভ নেই।

 

চাদনিঃ হুমমম।

 

কফিটা শেষ করে চলে আসলাম নিজের রুমে।

এসেই ঘুমিয়ে গেলাম। সারা রাত না ঘুমানোর কারনে শুইতেই ঘুম ধরে গেলো।

 

দুপুরের সময় কে যেন আমার রুমের দরজা ঢাক্কা দিলো। সাথে সাথে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো। ঘুম ঘুম চোখে দরজাটা খুলে দিলাম। আর চাদনি হুট করেই রুমের ভিতরে ঢুকে পড়লো। তারপর সোজা বিছানায় গিয়ে কাঁথা আর বালিশ ঠিক করতে করতে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,

চাদনিঃ এত সময় লাগে নাকি দরজা খুলতে।

 

আমিঃ এই কই এত সময় লাগলো ৩০ সেকেন্ড ওওও তো সময় লাগে নি।


চাদনিঃ হুমমম।এখন তাড়াতাড়ি গোসল করে খেতে আসো।

 

আমিঃআর একরু ঘুমাবো।


চাদনিঃ আর কোনো ঘুম হবে না। তাড়াতাড়ি গোসল করে আমাদের ফ্লাটে আসো। মা,জান্নাত অপেক্ষা করতেছে। 

 

আমিঃ দুররর ভাললাগে না কেন যে রিলেশন করতে গেলাম।😡😡😡😡।

 

চাদনিঃ বেশি হয়ে যাচ্ছে না। এমন ঢং কই থেকে শিখছো। আমি মেয়ে হয়েও তো এতো ঢং করতে পারি না🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄🙄।

 

আমিঃ কই থেকে জানি শিখছি....🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔🤔।

 

চাদনিঃ অনেক হয়েছে এখন যাও। আমার খুব ক্ষিদা লাগছে।

 

আমিঃ ওহহহ ক্ষিদা লাগছে আগে বলবা না।

(আর কোনো কথা না বলে দিলাম চার টোঠ একখানে করে।পুরাই ৩ মিনিটের মতো ইয়েটা করলাম।চাদনিরও রেসপন্স ছিলো বলে বেশিই মজা লাগলো।) 

(বিশ্বাস করেন সুমন ভাই এই ইয়ে টা খুব মজার ছিলো🤪🤪🤪🤪🤪😁😁😁😁🙃🙃🙃🙃🙃🙃🙃)

 

চাদনিঃ ওয়ায়াকককক থু কি গন্ধ মুখে 🥴🥴🥴🥴🥴।

 

আমিঃ ওহহহহ আজকে ব্রাশ কিনার টাকা নাই বলে এমন করে বললা😒😒😒😒।

 

চাদনিঃ টাকা লাগবে কেন। আগামি কাল থেকে তুমি আর আমি আমার ব্রাশ দিয়েই কাজ চালিয়ে নিবো।😁😁😁😁।

 

আমিঃনাহহহ লাগবে না। আমার মুখে তো গন্ধ। 

(মনে খারাপ করে বললাম যাতে আর একটা দেয়🤪🤪🤪🤪🤪🤪)


চাদনিঃ আরে ওটা তো আমি এমনিতেই বললাম। আর বেশি ঢং করবি না আমার সাথে। আমি জানি যে আর একটা নেওয়ার জন্য এমন ঢং করতেছিস।

 

আমিঃ দেখছো কে ঢং করে। বুঝতেই যখন পারছো তো এতো ঢং না করে একটা দিলেই তো হয়।

 

চাদনিঃ তুই ৫ মিনিট এর মধ্যে আমাদের ফ্লাটে চলে আসবি। নাহলে কপাছে খারাপি আছে বলে দিলাম।

 বলেই সে চলে গেলো। 

 

আমিও হাবলার মতো দাড়িয়ে না থেকে বুদ্ধিমানের মতো গোসল করতে চলে গেলাম।

(আপনার ভাবছেন যে চাদনির ভয়ে গোসল করতে যাচ্ছি। আরে সুমন ভাই না। আমিতো গোসল করতে যাচ্ছি খাবারের ভয়ে। পড়ে যদি খাবার না দেয়😄😄😄😃😃😃😃।)

 গোসল করে চলে গেলাম চাদনিদের ফ্লাটে। গিয়ে টেবিলে বসলাম। আন্টি খাবার বেড়ে দিচ্ছে। হঠাৎ জান্নাত বলে উঠল,,,,,,,,,,, 

জান্নাতঃ ভাইয়া আজকে আমাদের ঘুরতে নিয়ে যাবি।


আমিঃ হঠাৎ করে আজকে ঘুরতে যাবি কেন।

 

চাদনিঃ এই তোমাকে নিয়ে যেতে বলতেছে যাবে। এত কথা কিসের।

 

আমিঃ দেখছেন আন্টি আমার বোনের সাথেও কথা বলতে দিচ্ছে না। সব সময়ই এমন করে 🤥🤥🤥🤥😒😒😒😒।

 

আন্টিঃ তাইতো দেখছি। এই চাদনি এই তুই ছেলেটার সাথে এমন করিস কেন।😠😠😠😠😠

 

চাদনিঃ দেখ মা তুমি আমাদের মাঝে কথা বলবা না।😡😡😡😡😡।

 

জান্নাতঃ আন্টি আপনি খাইতে বসেন তো। ওরা যা পরে করুক😁😁😁😁।

 

আন্টিঃ হুমম রে তুই ঠিকি বলছিস😃😃😃😃😃।

 

চাদনিঃ আর কোনো কথা নয়। বিকেলে যেন জান্নাত কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া হয়।

 

আমিঃ আচ্ছা যাবো নি। এখন খাই নাহলে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে🥴🥴🥴🥴🥴🥴।

 

চাদনিঃ হুমমমমম।

বিকেলে জান্নাত রেডি হয়ে নিচে আসলো। তারপর আমিও রুম থেকে বের হয়ে নিচে আসলাম। banner push topper আসার সময় চাদনিকে দেখলাম না। 

নিচে এসে দেখি জান্নাত বাইকের সামনে দাড়িয়ে আছে। আমি গিয়ে বললাম,,,,,,,,,,

আমিঃ কিরে চাদনি কই।

 

জান্নাতঃ আমি তো জানি না ভাবি কই।

 

আমিঃ ওহহহ আচ্ছা চল।

 

জান্নাতঃ হুমমম। 

 বলেই আমি বাইকে উঠে বসলাম। বাইকটা গেট থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে। জান্নাতকে উঠতে বললাম। 

 বাইকে উঠে বসতেই আমি স্টার্ট দিলাম। একটু দুরে যাইতেই পিছে থেকে জান্নাত বলে উঠলো,,,,,,,,

জান্নাতঃ হ তোমরাই যাও আমি বাসায় গেলাম।

 

আমিঃ (পিছে তাকালাম দেখলাম আমার পিছনে চাদনি বসে আছে। আর দুরে জান্নাত রাগি চেহারা নিয়ে দাড়িয়ে আছে)

 

চাদনিঃ এই জান্নাত কে না নিয়ে যাচ্ছ কই।


আমিঃ তুমি এখানে কেন। আমার তো জান্নাত কে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো।

 

চাদনিঃ না ভাবলাম তোমরা একা একটা গিয়ে কি করবে। তাই তোমাদের সময় দিতেই আসলাম আর কি।

 

আমিঃ হুমমম বুঝছি। আর ঢং করতে হবে না। জান্নাত কে ডাক দেও। 


চলবে,,,,,,,,,,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !