মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১২

 


মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ১২

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

 

(গল্পে দুইটা রাকিব রয়েছে। ভাগ্য বসত একটা ঢাকার আর একটা বগুড়ার)

  

আমিঃ এই চুপ থাক। দেখতেছি কি করা যায়।


রাকিবঃতাড়াতাড়ি দেখ কি কি করতপ পারিস।


আর কথা না বাড়িয়ে বাসার বাহিরে চলে আসলাম। বাহিরে এসে দেখি যে একটা ফুসকা ওয়ালা যাইতেছে।

তারপর কি আর করার ফুসকা আর ঝালমুড়ি নিয়ে ওদের খাইতে দিলাম। 

 

এর চলে আসলাম শিকারের কাছে। আসলে রাকিবের একজন কে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছে। সে আর কেউ না। সে হলো রিজভী সাহেব। 

এই রিজভী সাহেবও জড়িত আছে আমার বাবা-মায়ের মার্ডারের সাথে। 


আমিঃ এই রাকিব বাবুর চোখের বাধন টা একটু খুলে দে তো। আর হাত পায়ের গুলোও খুলে দে।

রাকিবঃ হুমম রে ঠিকি বলছিস।


আমিঃ তা মি.রিজভী সাহেব ওহহহ না সরি রিজভী বাবু কেমন আছেন।


রিজভীঃ এই তোমরা কারা আর আমাকে কেন এখানে তুলে নিয়ে এসেছো। আমাকে ছেরে দাও না হলে কিন্তু ভালো হবে না বলে দিলাম।


রাকিবঃ আরে অাঙ্কেল আস্তে আস্তে এটা আপনার মাফিয়ার শহর নয় এটা ঢাকা শহর। 


আমিঃ আহহহ রাকিব বাবুকে বলতে দাও। বাবু তুমিই আগে বলো তারপর নাহয় আমরা বলবো ওকে(রিজভী কে বললাম)


রিজভীঃএই তোমাকে কেমন যে চেনা চেনা লাগছে। কে তুমি।


আমিঃ আরে বাবু আমিতো একটা সাধারন ছেলে। এখন তো তোমার প্রশ্ন করার সময় শেষ। এখন যে আমি প্রশ্ন করবো।


রিজভীঃ

আমাকে এখানে তুলে আনার কারন কি।


আমিঃ ভুলে যাস না এখন আমি তোকে প্রশ্ন করবো। আর তুই সব সত্যি সত্যি বলবি না হলে তোকে আর বেচে থাকতে দিবো না।


রিজভীঃপ্লীজ আমাকে কিছু করো না। তুমি যা বলবে আমি তাই করবো।


আমিঃ এইতো বাবু তো লাইনে আসছো।আমি তাহলে কি তোমাকে এখন প্রশ্ন করবো বাবু।


রিজভীঃহুমমম করো। 


আমিঃ আচ্ছা বগুড়ার এমপিকে মেরেছে কে।


রিজভীঃমানে কি আমি কিভাবে বলবো কে মেরে।


আমিঃ এই দেখ ভাই তোর সাথে ভালো করে কথা বলছি এতে ভাবিস না আমি খুব ভালো। একবার রেগে গেলে তোকে আর কেউ বাচাতে পারবে না। 😄😄😄


রিজভীঃসত্যি বলছি বাবা আমি কিছুই জানি না।

 

আমিঃ বুঝেছি তোকে এভাবে বললে মানবি না।

এই রাকিব ওই ড্রয়ার (হাতের ইশারায় দেখিয়ে) থেকে মরিচের গুড়া আর দেখ একটা পেকের মারা বেত রয়েছে নিয়ে আয়।


রাকিবঃ আচ্ছা দাড়া নিয়ে আসছি।

 

এইনে নীল তোর জিনিস(আমার হাতে দিতে দিতে বলল)

আমিঃ হুমমম। রিজভী এখনও কি তোর উওর একই হবে।


রিজভীঃ আমিই সত্যিই কিছু জানি না।

 

আমিঃ (আর কোনো কথা না বলে পেরেক মারা বেত টা দিয়ে তার ডান হতে সজোরে একটা বারি মারলাম। সাথে সাথে তার হাত দিয়ে রক্ত বের হলো। রিজভী সাহেব তো কান্নাকাটি শুরু করলো।)

কিছু বলবি নাকি চুপ করেই থাকবি।

 

রিজভীঃআমি সত্যি কিছু জানি না। আমাকে যেতে দেও প্লীজজজ।

 

আমিঃ আচ্ছা দাড়া 

(বলেই মরিচের প্যাকেট টা ছিড়ে রিজভী সাহেবের কাটা হাতে মরিচের গুড়া মাখাতে লাগলাম।) 

 

মরিচের গুড়া হাতে লাগতেই রিজভী সাহেবের পুরো দুনিয়া যেন অন্ধকারে পরিনত হয়ে গেলো। তার চোখ দিয়ে যেন ধোঁয়া বের হতে লাগলো। 

 

আমিঃ বগুড়ার এমপিকে কে মারছে বল।

 

রিজভীঃআমার হাতে আগে পানি দেও। তারপর সব বলছি প্লিজ। (করুণ ভাবে কান্না করতে করতে বলল)

 

আমিঃ রাকিব ওর হাতে পানি দে।

 

রাকিব চুপচাপ পানি এনে দিলো। হাতটা ধুয়ে দিলাম।

 

আমিঃ হুমমম তাহলে মি.রিজভী বলা শুরু করেন। 

 

রিজভীঃ আগে বলো সে তোমার কে হয়।

 

আমিঃ এই দেখ সে আমার বাবা হয়। এখন তাড়াতাড়ি বল।

 

রিজভীঃ আমি তাদেরকে মারতে চায় নি। আমাকে দিয়ে তোমার বাবা আর মায়ের খুন করানো হয়েছে। 

 

আমিঃ (কথাটা শুনে আমার পৃথিবী অন্ধকার জগতের পরিণত হলো। দুই চোখ দিয়ে পানি বেয়ে বেয়ে পরতে লাগলো।)

আমিঃ এই কুকুরের বাচ্চা আজকে তোকে আমি যে কি করবো। 

বলেই বেতটা দিয়ে তার পুরো শরীরে মারতে লাগলাম। 

যত জোর আগে গায়ে তাই দিয়ে মারতে লাগলাম। 

তারপর রিজভীর শরীরে মরিচের গুড়ার পেকেট ঢেলে দিয়ে দুই হাত দিয়ে পুরো শরীরে মাখিয়ে দিলাম।

 সে তো কাটা মুরগীর মতো লাফাতে লাগলো। 

হাত পা বেধে রাখার ফলে তেমন কিছু করতে পারলো না।শুধু জোরে জোরে কান্না করছে। আর বলছে,,

তোমরা প্লীজজ আমাকে ক্ষমা করে দেও আমি আর কখনো কারো কোনো ক্ষতি করবো না।

 

রাগ যেন থামছেই না। সামনে রাখা পানির বোতল টা নিয়ে মরিচের গুড়া ঢেলে দিয়ে সোজা রিজভীর গলায় বোতলের মুখ লাগিয়ে দিলাম। আর বললাম,,,,,

 

আমিঃ যদি এক বার চিল্লাস তাহলে দেখবি আমি তোকে কি করি। আর এই বোতলের সব পানি খাবি তুই। বাকি কথা কালকে শুনবো। আজকে যদি সব কথা শুনি তাহলে হয়তো রাগের মাথায় তোকে মেরেও ফেলতে পারি। 

 আর রাকিব তোর এই বাড়িতেই থাকবি কয়েক দিন। আর বাহিরে থেকে খাবার খাবি।আর একেও(রিজভীকে দেখিয়ে) কিছু খেতে দিবি।

 

বলেই banner push topper সোজা চলে আসলাম বাহিরে। পকেটে থাকা ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি ৪ টা ১৩ মিনিট বাজে। একটু পরই আযান দিবে। তাই আর বাসায় যাব না। সোজা মসজিদে যাব। ফজরের নামাজ পড়েই বাসায় চলে যাব। 

 

রাস্তার পাশ্বে একটা ল্যাম্পপোষ্ট দেখে বসে পরলাম। 

রাস্তায় এখন কেউ নেই। দরে একটা কুকুর দেখতে পাচ্ছি ঘুমিয়ে আছে।রাগ যেন থামছেই না। 

 

কত পরে আযান কানে পরলো। সোজা মসজিদে চলে গেলাম। অজু করে নামাজ পড়ে হাটতে হাটতে বাসার দিকে চলে আসলাম।

 

চলবে,,,,,

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !