ব্রেস্টফ্রেন্ড যখন বউ । শেষ পর্ব

 


ব্রেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ 


শেষ পর্ব 


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


©©©©®® abdul motin©©©©©©©


পরের দিন আরমান সাহেব অফিসের সমস্ত কর্মচারীকে স্ত্রী সন্তান পাওয়ার আনন্দে মিষ্টি খাওয়ায় 


অতপর অফিস থেকে বাড়ি চলে আসে 


এভাবে কিছুদিন চলে যাওয়ার পর হঠাৎ ১ দিন আরমান সাহেব শুভকে বলে 


আমি তো এখন বৃদ্ধ হয়ে গেছি অফিসের দায়িত্ব টা এখন তুমি নাও 


শুভ // না বাবা আমি এই বয়সে এত বড় দায়িত্ব নিতে পারবো না 


কিন্তু শুভকে তার বাবার জুরাজুরিতে অফিসের দায়িত্বটা নিতে হয়


অতপর তাদের দিন গুলি হাসি খুশি কাটতে থাকে 


এভাবে প্রায় ৫ টি বছর কেটে যায় 

একদিন আরমান সাহেব শুভর ক্যাবিনে গিয়ে বাবা আর কতদিন এভাবে বসে থাকবে একটা মেয়ের জন্য যে তোমাকে ধোকা দিছে 


বাবা তুমি আবার শুরু নতুন করে শুরু করো 


তুমি চাইলে আমরা মেয়ে দেখতে পারি 

তোমার মায়েরও অনেক কষ্ট হয় একা বাসায় বসে থাকতে 


শুভ/// না বাবা আমি আর বিয়ে করতে পারবো না একটা মেয়েকে এই মনে জায়গা দিয়েছিলাম সেখানে আর অন্য মেয়েকে জায়গা দিতে পারবো না 


আরমান /// তুমি চিন্তা করো তোমাকে জুর করবো না এই বলে আরমান সাহেব চলে যাই 


আগেই আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি

লেখালেখি আর ভালো লাগছেনা বাদ দিয়ে দিব তাই এটি শেষ এভাবেই করলাম তার জন্য সকলের কাছে ক্ষমা পার্থী 

সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন 


অতপর শুভ কাজে মন দেয় তখনই ভাইয়া আসতে পারি নিশি 


শুভ // হুম আসো 


নিশি // ভাইয়া আমার কয়েকদিনের জন্য ছুটি লাগবে 


শুভ// কেন ?? 


নিশি// আমার এক বান্ধবীর বিয়েতে যাবো সেখানে আমাদের স্কুল লাইফ থেকে ভার্সিটির সমস্ত বান্ধবীরা একত্রিত হবো 


শুভ// আচ্ছা যাও 


অতপর নিশি তার বান্ধবির বিয়েতে এসে পড়ে 


আস্তে আস্তে তার সমস্তবান্ধবিরা আসে, হঠাৎ নিশি দেখতে পাই একটা মেয়ে আসছে একটা বাচ্চা কুলে নিয়ে কিন্তু নিশি তাকে চিনতে পারতেছেনা কারন ঐরকম চেহারার কোন বান্ধবী নিশির ছিলনা তাই 


মেয়েটি যখন কাছে আসে তখনই পিছন থেকে কেউ একজন বলে উঠে আরে বর্ষা কেমন আছিস আর তর কুলে এটা কে 


বর্ষা// ভালো তদের সাথে অনেক দিন পর দেখা হওয়াতে অনেক ভালো লাগছে আর এটা আমার ছেলে 


মেয়েটি/// কিহহহ তর বিয়ে 

কোন দিন হয়ছে একটুও জানাইলি না এত পর হয়ে গেছি 


বর্ষা // আমি চুরি করে বিয়ে করেছিলাম আমার বেষ্টুকে 


মেয়েটি // তার মানে তুই শুভকে বিয়ে করেছিলি এছাড়া ত তর আর কোন ছেলে বন্ধু ছিলনা 


বর্ষা// হুম 


মেয়েটি // কই আমাদের দুলাভাই কই তাকে নিয়ে আসলি না 


বর্ষা// সে আমার কাছে থাকেনা চলে গেছে আমার থেকে 


মেয়েটি // কেন রে 


শুভ// সে অনেক বড় কাহিনি 


মেয়েটি // বলনা শুনবো আমরা তর কাহিনি 


অতপর বর্ষা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে 

তখনই হঠাৎ তার ছেলের ঘুম ভেঙ্গে যাই 

আম্মু তুমি কাদছো কেন কাদেনা আম্মু 

এই বলে বর্ষার চখের পানি মুছে দেয় 


তখন তার বান্ধবির মধ্যে একজন 

দে তো ছেলে টাকে একটু কুলে নেই 


বর্ষা// আব্বু আয়ান যাও তোমার আন্টির কুলে যাও 


অতপর আয়ান যখন মেয়েটির দিকে ফিরে তখনই নিশি চমকে উঠে একি এতো হুবহু আমার শুভ ভাইয়ার মত চেহারা এটা কি করে সম্ভব 


নিশির কথা শুনে বর্ষা কিহহ, তোমার ভাইয়ার মত চেহারা মানে আয়ান তো ঠিক তার বাবার মতই হয়েছে দেখি তোমার ভাইয়া দেখতে কিরকম 


অতপর নিশি তার মোবাইল থেকে একটা শুভর পিক বর্ষাকে দেখাই 


বর্ষা দেখা মাত্রই চমকে উঠে এটাই তো তার শুভ 


বর্ষা // নিশি তুমি কি এখন তোমার ভাইয়ার ঠিকানা টা দিতে পারবে 


নিশি// কেন ভাইয়া কি আপনার স্বামী ?


বর্ষা// হুম 


অতপর নিশি বর্ষাকে ঠিকানা দেয় 


বর্ষা ঠিকানা নিয়েই তাদের থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসে শুভর অফিসে 


এদিকে শুভ আর তার বাবা কি নিয়ে যেন একটা পরামর্শ করছে তখনই শুনতে পাই 


আসতে পারি স্যার বর্ষা// 


শুভ// কে ভিতরে আসেন 


অতপর বর্ষা ভিতরে যেতেই শুভ চমকে উঠে একি আপনি এখানে আর আমার ঠিকানা আপনাকে কে দিলো 


আরমান /// বাবা শুভ কে এটা 


শুভ চখের ইশারাই কি যেন বলে 


আরমান // আচ্ছা বাবা তোমরা কথা বলো আমি নাতিন কে নিয়ে ঘুরে আসি এই বলে আয়ান কে নিয়ে চলে যাই 


বর্ষা// তুমি আমাকে এতটাই পর করে দিছো যে আমাকে আপনি করে বলছো 


শুভ// কেউ পর হতে চাইলে তাকে তো আর আটকে রাখা যাইনা আপনা আপনি পর হয়ে যাই 


বর্ষা তখন গিয়ে শুভর পা জড়িয়ে ধরে বিশ্বাস করো শুভ আমি তোমাকে পর করে দেইনি আমি শুধু তোমাকেই ভালোবেসেছি আর ভালো বেসেই যাবো আমি এসব নাটক করেছিলাম তোমাকে বাচানোর জন্য এছাড়া আমার কাছে আর কোন রাস্তা ছিলনা বাবা তোমার আর আমার সম্পর্ক জেনে গিয়েছিলো তাই বাবা আমাকে শর্ত দিয়ে ছিল যদি তোমাকে ভুলে না যাই তাহলে বাবা তোমাকে মেরে ফেলবে তাই তোমাকে বাচানোর জন্য আমার এসব নাটক করতে হয়ছে প্লিজ শুভ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও একটি বার তোমাকে ভালোবাসার সুযোগ দাও 


শুভ// আপনার নাটক করা যদি এখন শেষ হয়ে থাকে তাহলে এখন যেতে পারেন 


বর্ষা // প্লিজ শুভ আমাকে ক্ষমা করে দাও 

শুভ// বললাম তো আপনি এখন যেতে পারেন আপনার প্রতি এখন না আছে কোন ভালোবাসা না আছে কোন মায়া 


বর্ষা // আচ্ছা চলে যাবো অনেক দুরে চলে যাবো শুধু শেষ একটা রিকুয়েষ্ট তোমার ছেলেকে তোমার কাছেই রেখে দাও তাকে কখনো মায়ের অভাব বুঝতে দিও না এই বলে চলে যেতে লাগে তখনই 

শুভ চলে যখন যাবি যা তার আগে শুধু একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যা যখন চলেই যাবি তাহলে কেন এসেছিলি 

যখন তুই তর ব্রেস্টফ্রেন্ডর অভিমান আর স্বামীর রাগ ভাঙ্গতে না পারবি তাহলে চলে যা থাকতে হবে না এখানে যাহ চলে যা 


তখনই বর্ষা দৌড়ে এসে শুভকে জড়িয়ে ধরে বিশ্বাস করো তোমাকে ছাড়া এই পাছটি বছর ভালোছিলাম না সারা রাত চখের জলে বালিশ ভিজাতাম আর তোমার অপেক্ষাতেই বেচে থাকতাম 

তোমাকে বড্ড ভালোবাসতাম দেখে মরতেও পারিনাই যদি আবার কেউ তোমাকে আমার থেকে কেড়ে নেই 

শুভ// যদি এতদিন আমি বিয়ে করতাম 

বর্ষা// তাহলে তাকে আজ মেরে ফেলতাম 

তুমি শুধু আমার আর কারো না 


শুভ তখন বর্ষার কপালে চুমু দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আমি শুধু তোমারই 


___________ সমাপ্ত_________________


গল্পটি কেমন হয়ছে তা আপনাদের থেকে জানতে চাইবো না কারন ভালো হয়নাই সেটি আমিও জানি 


আমি লেখার জগৎ থেকে চলে যাবো তাই এমন করতে হলো ভালো লাগছেনা আর লেখালেখি 

যদি আবার কখনো ফিরে আসি তাহলে গল্প নিয়ে আসবো /👉👉👉 আজ ও তোমার অপেক্ষায় 👈👈👈


সবাই সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন আর আমাকে মন থেকে ক্ষমা করে দিবেন





Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !