ব্রেস্টফ্রেন্ড যখন বউ । পর্ব ৯

 


ব্রেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ 


পর্ব ০৯


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


©©©©®® abdul motin©©©©©©©


পরের দিন শুভ আরমান সাহেবের সাথে অফিসে 


আরমান সাহেব/// পিয়ন কে ডাকদেয় 


পিয়ন// স্যার বলেন 


আরমান সাহেব/// নিশিকে একটু ডাকদেন 


পিয়ন // আচ্ছা স্যার এই বলে পিয়ন চলে যাই 


কিছুখন পর একটা সুন্দরী মেয়ে আসে 

আমাকে ডাকছেন আংকেল 


আরমান সাহেব // হুম নিশি মা তোমার আজ থেকে কাজ হলো তোমার এই ভাইকে কাজ শিখিয়ে দেওয়া যত তারাতারি পারবে অফিসের সমস্ত কাজ শিখিয়ে দিবে 


নিশি//// আচ্ছা আংকেল 


আরমান সাহেব // যাও শুভ নিশির সাথে 


শুভ// আচ্ছা আংকেল 


অতপর তারা দুইজন চলে যাই 


নিশি/// ভাইয়া তোমার নাম কি 

 আরিয়ান আহমেদ শুভ ,, আর তোমার আপু

 নিশি// আমাকে দেখে তোমার বড় মনে হয় যে আমাকে আপু ডাকছো আমাকে নাম ধরে ডাকবে বুঝলা ভাইয়া আমার নাম হলো ইকরা জান্নাত নিশি 

শুভ/// আচ্ছা বলবো পরে তারা তাদের পরিচয় পর্ব শেষ করে কাজে মন দেয় 


আস্তে আস্তে যত দিন যাই তত শুভ কাজের পারদর্শি হয়ে উঠে 


শুভ কাজের মাধ্যেমে ব্যস্ত থেকে বর্ষাকে ভুলতে চাই কিন্তু রাতের একাকিত্য তাকে বার বার বর্ষার কথা মনে পরে যাই শুভ কিছুতেই ভুলতে পারে না বর্ষাকে 


এভাবে প্রায় তিন মাস কেটে যাই 

হঠাৎ একদিন শুভ অফিসের কাজ শেষ করে 

বাড়ির দিকে ফিরতে থাকে তখনই একটা মেয়েলি কন্ঠে শুনতে পাই 


আমি তর থেকে ডিভস চাই তর সাথে আমি সংসার করতে পারবো না আমি তর আযাব থেকে মুক্তি চাই 


এটা শুনে শুভর মনে পড়ে যাই যে শুভ বর্ষাকে ডিভস দিতে চেয়েছিল 

তাই তারাতারি করে ডিভস পেপার বর্ষার ঠিকানাই পাঠিয়ে দেই শুভ 


এদিকে বর্ষার মা বর্ষাকে বলে 

তকে প্রত্যেক দিন একটা কথা জিজ্ঞেস করতে চাই কিন্তু কোন একটি কারনে আমি পারিনা কিন্তু সেটা মনে চেপে রাখতেও পারছিনা তর অবস্থা এমন কেন হচ্ছে কার সাথে কি করেছিস তর তো এখনো বিয়ে হয়নি তাহলে কেন তুই আজ অন্তঃসত্তা 


বর্ষা // তার মায়ের কথায় চমকে উঠে 

কারন সে চাইতো না তার মা শুরুতেই এই বিষয় টা জেনে যাক তাই যেদিন থেকে বর্ষা বুঝতে পারছে যে সে গর্ভবতি হয়েছে সেদিন থেকে সবসময় তার মায়ের থেকে আড়াল থেকেছে 


বর্ষার মা // কি হলো বল কার সাথে এমন করেছিস বা কে তর সাথে এমন করেছে বল 


বর্ষা// 😷😷😷😷😷😷😷


বর্ষার মা /// আচ্ছা যাই হক তুই না বললি যা হয়েছে তা একটা একসিডেন্ট মনে কর আর মানুষ জন জানার আগে তুই এই সন্তান নষ্ট করে দে না হলে আমাদের মান সম্মান একটুও থাকবেনা সব ধুলই মিশে যাবে চল এখনই ডাক্তারের কাছে 


বর্ষা // আমার পেটের সন্তান কোন অবৈধ না যে সেটি আমি নষ্ট করবো 

আজ শুধু তেমাদের মত মা বাবার জন্য আজ আমারএই অবস্থা 

আমার ভালোবাসা আমার কাছে নেই তোমরা কেমন বাবা মা সন্তান কোথায় সুখে থাকবে কার কাছে সুখে থাকবে সেটি নিয়ে কখনো ভাবো না শুধু নিজেদের সার্থই তোমরা বুঝ তোমাদের কাছে তোমাদের সার্থই মুল অন্য কেউ সুখে থাকুক সেটা তোমাদের সহ্য হয়না 


বর্ষার মা /// কি বলছিস এগুলা তর সুখের জন্যই এতকিছু করেছি আর আজ তুই এই কথা বলছিস কি করেছি আমরা 


বর্ষা// আমি যা বলছি তা ঠিকই বলছি তোমরা কি করো নাই তোমরা আমার থেকে আমার ভালোবাসার মানুষ কে কেড়ে নিয়েছো তাকে আমার থেকে দুরে সরিয়ে দিছো তোমরাই আমাকে তার কাছে খারাপ বানাইছো আমাকে ভুল বুঝিয়েছো তার দেওয়া শেষ একটি সম্পদ আমার কাছে আছে আজ সেটিও তোমরা নষ্ট করে দিতে চাইছো তোমরা যদি আর কোন চক্রান্ত করে আমার সন্তানের কোন ক্ষতি করো তাহলে আমি ভুলে যাবো তোমরা আমার বাবা মা তোমাদের নামে মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াবো 


তোমাদের কাছে হাত জুর করে বলছি তোমরা আমার এই শেষ সম্পদ টুকু আমার থেকে কেড়ে নিও না 

যদি আমি তোমাদের কাছে বেশি হয়ে থাকি তাহলে বলো আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাই আমার কারনে তোমাদের আর কোন মান সম্মান নষ্ট হবে না তবুও তোমরা আমার এই সন্তানের কোন ক্ষতি করোনা 

প্লিজ এই বলে কাদতে কাদতে বসে পর বর্ষা


বর্ষার মা // কি বলছিস মা তুই আমরা কখন তর থেকে তর ভালোবাসার মানুষ দুরে সরালাম আমি তো জানতামই না যে তুই কাউকে ভালোবাসিস 


বর্ষা// বাবা সব কিছুই জানতো আমি কাকে ভালোবাসতাম কোনদিন বিয়ে করেছিলাম বিশ্বাস না হলে বাবারে জিজ্ঞেস করে দেখ 


বর্ষার মা// আমাকে এগুলো বলার কোন প্রয়োজন মনে করিস নি একবারো আচ্ছা আমি তর বাবাকে জিজ্ঞেস করছি সে আসলে জানে কিনা নাকি তুই মিথ্যা বলছিস এই বলে বর্ষার মা বর্ষার বাবাকে জিজ্ঞেস করতে যাবে এমন সময় দরঝার কলিং বেল বেজে উঠে 


বর্ষার মা দরজা খুলে দেখতে পাই এক আগন্তুক ব্যাক্তি দাড়িয়ে আছে 


অপরিচিত লোক// সালাম দিয়ে এটা কি বর্ষা মেডামের বাসা 


বর্ষার মা // কেন 

অপরিচিত লোকটি // তার নামে একটা পার্সেল আসছে 

 বর্ষার মা // হুম অতপর বর্ষাকে ডাক দেয় 

 কিছুখন পর বর্ষা আসলে 

অপরিচিত লোকটি // এই নেন আপনার পার্সেল আর এখানে একটা সাইন করুন


বর্ষা // কিসের পার্সেল আমি তো কোন কিছুর ওয়াডার করিনাই 


অপিরিচিত// আমি জানিনা এখানে দেখেন সব কিছু আপনার ঠিকানাই লেখা 


পরে বর্ষা সাইন করে লোকটিকে বিদায় দেয় 


 অতপর পার্সেল খুলে শুভর দেওয়া ডিবস পেপার দেখে একটা চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাই ,,,  

পর্বটা কিছুটা গড়মিল লাগতে পারে 

তাই সামনের পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন 

সব কিছুই বুজে আসবে 


চলবে,,,,,




Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !