অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস । পর্ব ১৩

 


অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস


পর্ব ১৩


আরিয়ান আহমেদ শুভ


😝😝😝😝😝😝😝😝😝😝😝😝😝😝😝


শুভ তার ছেলেকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছে আর বলতেছে তর জন্য আজ এই দুধের শিশু কষ্ট করতেছে তকে কখনো ক্ষমা করবো না এসব ভাবতে ভাবতে শুভ কখন জানি মাঝ রাস্তায় চলে যাই আর তখনই একটা গাড়ি এসে তাদের বাবা ছেলে দুইজন কে উড়িয়ে নিয়ে যায় 


তা দেখে আদিলা চিৎকার করে উঠে না আমার শুভর কিছু হতে পারে না আমি তাকে কিছু হতে দিবো না 


আদিলার চিৎকার শুনে তার মা দৌড়ে আসে কি হয়ছে মা এভাবে চিৎকার করলি যে 


আদিলা// মা মা শুভ একসিডেন্ট করেছে মা আমি শুভর কাছে যাবো মা 


আদিলার মা// মা তুই খারাপ শপ্ন দেখছিস তাকে নিয়ে ভাবতেছিলি তাই হয়তো খারাপ সপ্ন দেখছিস 


যা এখন ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে নে না হলে শরীর খারাপ করবে 


আদিলা তার মায়ের কথা না শুনে ওখানেই মন খারাপ করে বসে থাকে 


এভাবেই আদিলার বন্দি ঘরেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে শুভর জন্য কান্না করতে করতে তার দিন কাটতে লাগলো 


এতে আদিলার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে শারীরিক আর মানুষিক উভয়ভাবে সে দুর্বল হতে থাকে


তা দেখে আদিলার বাবা মা চিন্তা করতে লাগলো যদি তার মেয়ে এভাবে রুমে বন্দি থাকে তাহলে হয়তো বেশ বড় কোন বিপদের সম্মুক্ষিন হতে হবে 


আদিলার মা বাবা পরমর্শ করলো যে এই অবস্থা থেকে তাকে বের করতে হবে 

আর তার দুটি রাস্তায় রয়েছে


১/ শুভকে তার কাছে এনে দেওয়া 

কিন্তু এটা তো সম্ভম নই সে কোথায় আছে কোথায় খুজবো তাকে 


২/ তাকে কোন কাজের মধ্যে রাখা যাতে সে সবসময় কাজের মধ্যেই নিয়োজিত থাকে তাহলে হয়তো শুভর চিন্তা কিছুটা তার মাথা থেকে দুর হবে 


আদিলার মা/// তাহলে তাকে তোমার নতুন কম্পানিতে এমডি হিসেবে আদিলাকে বসিয়ে দাও যা তুমি শুভর জন্য কিনেছিলে 


যেই ভাবা সেই কাজ পরের দিনই তাকে নতুন কম্পানির এমডি বানিয়ে দেয় তার বাবা 


কিন্তু আদিলা কোন মতে রাজি হচ্ছিলো না দেখে আদিলার বাবা মা তাকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করাই 


অতপর সে রাজি হয়ে অফিসে যাওয়া আশা শুরু করে শুভকে ভুলার চেস্টা করলেও রাতের একাকিত্ত তাকে বার বার তার কথা স্বরন করে দেয় স্বরন করে দেই তার সব পুরনো সৃতি 


দেখতে দেখতে অতিবাহিত হয়ে যায় তার জিবন থেকে সাতটি বছর তবুও শুভর কোন সন্ধান পাইনা সে 


প্রত্যেক দিন রাতে শুভ ছবি বুকে নিয়ে কান্না করতে করতে যেন আদিলার চখের পানি ও শুকিয়ে য়ায় আর বের হতে চাইনা তার চোখ থেকে 


শুধু একটা আশায় সে বেচে আছে তার ভালোবাসা একদিন তার জিবনে ফিরে আসবে তার জন্যই সে অপেক্ষার পহর গুনছে 


এদিকে শুভ আব্বু আগামিকাল আমরা দেশে ফিরবো তোমার যা যা দরকার তুমি এখান থেকে নিয়ে নাও 


আদনান// আব্বু তাহলে চলনা আজ শেষ বারের মত এই লন্ডন শহর টা ঘুরে আসি 


শুভ/// আচ্ছা চলো তাহলে 


পরে তারা বাবা ছেলে সেখানে সারাদিন ঘুরে বেড়াই 


👉👉👉এই পর্বে গল্পের কাহিনি অনেক সংক্ষিপ্ত করলাম না হলে গল্পের কাহিনিটা অনেক বড় হয়ে যেত বাস্তব জিবনে তারাতারি ফিরতে চাই 👈👈👈


পরের দিন দেশে ফিরার উদ্দেশ্যে বিমানে উঠে বাবা ছেলে আনন্দ করছে


পাশেই থাকা একটি সুন্দরী মেয়ে তাদের বাবা ছেলের অবস্থা দেখে মিটি মিটি হাসতে থাকে 


কারন শুভ একবার একটা চিপস তার মুখে দিয়ে একটু খানি বের করে রাখে 

আর সেই বের হওয়া টুকু আদনান তার বাবার মুখ থেকে খায়


এরকম ভাবে একবার আদনান করে আরেক বার শুভ করে 


এভাবে তারা বাবা ছেলে ইনজয় করছে 

হঠাৎ একবার পিচ্ছি আদনান তার বাবার ঠোটে কামুড় দেয় 


এতে মেয়েটি জুরে হেসে উঠে 


মেয়েটির হাসার শব্দ শুনে শুভ মেয়েটির দিকে তাকিয়ে এভাবে হাসছেন কেন আমরা বরাবরি বাবা ছেলে এরকম করে খায় 


মেয়েটি // আপনাদের অবস্থা দেখে হাসিনাই কিন্তু আপনার এই পিচ্চি দুষ্ট ছেলের অবস্থা দেখেই হাসি পাচ্ছে 


আচ্ছা একটি কথা বলবেন 


শুভ// কি বলেন 


মেয়েটি/// যদি ভাই হন তো বলতে পারি 

শুভ// আচ্ছা 

মেয়েটি// আমার নাম তানযিলা 

আপনার নাম কি


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


শুভ// কি যানি বলতে চাইলে


তানযিলা//আপনাদের দুইজন কে বিমানে উঠার আগে থেকেই ফ্লো করছি 

শুধু আপনাদের দুইজন কে দেখছি ভাবি কে তো দেখছি না ভাবি কোথায় াপনি তো বাঙালি তো লন্ডনে কি জন্য আসছিলেন 


শুভ// সে অনেক বড কাহিনি 


তানযিলা// কাহিনির কথা শুনে তানযিলার মনে শুভর কাহিনি শুনার ইচ্ছা জাগে বলোনা ভাইয়া প্লিজ 


শুভ/// আচ্ছা শুনো তাহলে _*****


এরপর শুভ তার আদিলার ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা শুনাই


তানযিলা// ঘটনা শুনার পর একটা মেয়ে এতটা খারাপ কি ভাবে হতে পারে ??


বডলোক বলেই কি এত অহংকার করতে হবে 


এখন কি করছে সে তার কি কোন খবর জানো ভাইয়া 


শুভ// নাহ হয়তো কোন বডলোক ছেলেকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছে 


তানযিলা/// তুমি বিয়ে করবে না 


শুভ// বিয়ে ,যাকে ভালোবাসলাম সুখে সংসার করতে চাইলাম তাকেই পেলাম না এখন আর বিয়ে করে কি করবো আমার বেচে থাকার সম্ভল তো একটা আছেই তাকে নিয়েই বাকি জিবন টা পার করে দেব


আচ্ছা কখন থেকে শুধু আমি একাই বক বক করছি তুমি তো তোমার ব্যপারে কিছুই বললেনা 


তুমি কি জন্য লন্ডনে আসছিলা ??


তানযিলা// লেখাপড়া করতে আসছিলাম 

লেখাপড়া শেষ তাই চলে আসলাম 


পরে আরো কিছুখন গল্প করে ভাই বোনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে যাই 


অতপর শুভ বিমান থেকে নেমে একটা মেসে উঠে আর তখনই ,,,,,,


চলবে ,,,,


পর্ব টি হয়তো ভালো হয়নি 

তাই সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 

আগামি পর্বে ইনশাআল্লাহ ধামাকা হবে

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !