অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস । পর্ব ১৫

 


অহংকারি ex বউ যখন অফিসের বস


পর্ব ১৫


আরিয়ান আহমেদ শুভ


©©©©©©©©© abdul,motin©©©©©©©


শুভ// তার ফাইল এগিয়ে দিয়ে মাথা নিচ করে ভাবতে লাগলো চাকরি কি দিবে নাকি দিবে না 


আর তখনই বস বলে উঠে শুভ তুমি !

এতদিন কোথায় ছিলে একটি বারো কি আমার কথা মনে পরেনি তোমার 


হঠাৎ এমন কথা শুনে বসের দিকে তাকাতেই শুভ চমকে উঠে যার জন্য সে এতকিছু করলো সে আজ তার সামনে 


শুভ আর কোন কথা না বলে সাথে সাথে তার ছেলেকে নিয়ে চলে আসতে ধরে তখনই আদিলা শুভ দাড়াও কোথাও যেওনা প্লিজ আমি তোমাকে ভালোবাসি প্লিজ দাড়াও ((আরিয়ান আহমেদ শুভ))


ততখনে শুভ দরজার কাছে চলে যাই আজ আদিলার কথা শুনছে না শুভ 


যখন আদিলা দেখতে পাই শুভ তার কথা শুনছে না চলেই যাচ্ছে তখন আদিলা তার জায়গা থেকে উঠে দৌড়ে গিয়ে শুভর পা জড়িয়ে ধরে প্লিজ শুভ তুমি কোথাও যেওনা , আমাকে মাফ করে তোমাকে একটি বার ভালোবাসার সুযোগ দাও কথা দিচ্ছি এই দেহে যতদিন প্রান থাকবে ততদিন তোমাকে এক ফোটা কষ্ট পেতে দিবোনা শুধু তুমি একটি বার আমাকে মাফ করে তোমার বুকে টেনে নাও 


শুভ/// পা ছাড়েন বলছি না হলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে 


আদিলা// না আমি পা ছাড়বো না আগে তুমি আমাকে মাফ করে দাও একবার তোমার বুকে টেনে নাও 


অতপর শুভ এক হাতে আদিলার চুলের মুষ্টি ধরে তুলে ঠাসসস ঠাসসসস তকে বলছি পা ছাড় সেটা কি তর কানে যাইনা 

আর কি বললি তকে মাফ করে তকে বুকে টেনে নিবো তকে ভালোবাসবো তা কশ্মিন কালেও না তর প্রতি এখন আমার আর কোন ভালোবাসা নেই ,যা আছে সেটা পাহাড় পরিমান ঘৃনা যা এখান থেকে দুর হহহহ এই বলে আদিলাকে ধাক্কা দিয়ে চলে আসে ((শুভ আরিয়ান আহমেদ শুভ))


আদিলা শুভর ধাক্কার তাল সামলাতে না পেরে দেওয়ালের সাথে মাথা লেগে তার মাথা ফেটে যাই 


পরে আদিলা ওভাবেই কষ্ট করে উঠে শুভর পিছন পিছন যেতে থাকে আর শুভ তুমি আমাকে ছেড়ে যেওনা তোমাকে ছাড়া বাচবো না শুভ

প্লিজ শুভ তুমি যেওনা এই বলে শুভকে সে ডাকতে থাকে 


কিন্তু শুভ আদিলার ডাকে কোন সাড়া না দিয়ে গাড়ি উঠে চলে যাই 


তখন পিচ্চি আদনান বলে উঠে বাবা উনি কি আমার সেই ডাইনি মা যে তোমাকে কষ্ট দিছে 


শুভ// হুম বাবা 


আদনান/// বাবা তাহলে চলো না এখান থেকে আমরা চলে যাই আবার যদি উনি তোমাকে কষ্ট দেই 


শুভ /// হুম আজ রাতেই এখান থেকে চলে যাবো 

এই বলে বাসায় চলে যাই শুভ 


এদিকে আদিলা শুভকে থামাতে না পেরে কান্না করতে করতে বাসায় চলে আসে 

অতপর কান্না করতে করতে তার বাবার রুমে যাই 


আদিলার বাবা /// একি মা তর এই অবস্থা কি করে তর মাথা থেকে তো রক্ত পরছে 


আদিলা কোন কথা না বলে তার বাবা কে জড়িয়ে কেদে কেদে বলতে থাকে বাবা আজ আমার অফিসে শুভ আসছিলো 


আদিলার বাবা // কিহ বলছিস মা এতদিন পর শুভ কই থেকে আসলো 


আদিলা/// জানিনা বাবা এতদিন কোথায় ছিল ওও তার সাথে আমার সোনা মনি টাও ছিল বাবাটা এখন কত বড় হয়ে গেছে 


কিন্তু শুভ আমাকে দেখতেও দিলনা আমাকে দেখা মাত্রই আমার সোনামনি টাকে নিয়ে চলে গেল আমার কোন কথাই শুনলো না বাবা 


বাবা তুমি তাকে আমার কাছে এনে দাও আমার বুকে ফিরিয়ে দাও আমি তাকে ছাড়া বাচবোনা এবার যদি সে আমাকে ছেড়ে কোথাও চলে যাই সত্যি সত্যি আমি আত্মহত্যা করবো বাবা আমি তাকে না পেলে মরে যাবো 


আদিলার বাবা // মারে এমন কথা বলিস না আমি শুভ কে তর কাছে ফিরিয়ে দেব তুই কান্না বন্ধ কর আগে চল তকে হাসপাতালে নিয়ে যাই


অতপর আদিলার বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই ডাক্তার রা তার মাথায় বেন্ডিস করে দেয় 

অতপর তাকে বাসায় নিয়ে আসে কিন্তু বার বার আদিলার মুখ থেকে একটি শব্দই উচ্চারন হয় আমি শুভর কাছে যাবো বাবা তাকে আমার কাছে ফিরিয়ে দাও 


আদিলার বাবা // মা তুই দেখছিস কি সে কোথায় চলে গেছে 


আদিলা/// হুম বাবা সে কোন বাসায় থাকে সেটিও দেখে আসছি 


আদিলার বাবা/// তাহলে মা তুই এখন একটু বিশ্রাম কর আমি বিকেলে তার ওখানে যাবো তাকে তর কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো (( আরিয়ান আহমেদ শুভ))


এদিকে শুভ ভাবছে ডাইনিটা কি সত্যি আমাকে ভালোবাসছে নাকি এত দিন আমাকে কষ্ট দিতে পারেনাই দেখে আবার কষ্ট দেওয়ার জন্য নাটক করছে 


তাই যদি হয় ডাইনি তাহলে তর মনের আশা কখনো পুরন হবেনা আমি আজই চলে যাবো এই শহর ছেড়ে 


আর যদি সত্যি আমাকে ভালোবেসে থাকিস তাহলে বড় ধরনের মাসুল দিতে হবে তর আমার থেকে দিগুন কষ্ট করতে হবে তকে 


এই বলতে থাকে আর তার কাপড় ব্যাগে তুলতে থাকে 


এদিকে আদিলার বাবা আদিলার থেকে ঠিকানা নিয়ে শুভ কে নেওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়


রাস্তায় জ্যাম হওয়ার কারনে তার যেতে যেতে রাত হয়ে যাই 


এদিকে শুভ তার ছেলেকে নিয়ে গাড়ি আসার অপেক্ষা করতে থাকে কখন গাড়ি আসবে আর কখন তারা তা দিয়ে চলে যাবে 


হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠে শুভ ভাবছে গাড়ি এসেগেছে তাই দরজা খুলে দিতেই অবাক হয়ে যাই কারন আদিলার বাবা দরঝার সামনে দাড়িয়ে আছে 


শুভ আংকেল আপনি ?? 


আদিলার বাবা /// শুভর হাতে ব্যাগ দেখে কই যাচ্ছো 

এতটা পর হয়ে গেছি আমি আমার মেয়েটা না হয় দোষ করছে আমরাও কি দোষ করছি যে আমাদের একটি বারো খুজ নিলে না কোথায় ছিলে এই সাত বছর 


চলো আমাদের বাসায় ফিরে চলো তোমার কোথাও যেতে হবে না 


বুঝতে পারছি তুমি আমার মেয়ের কারনে আবার চলে যেতে চাচ্ছো বিশ্বাস করো এখন আমার মেয়েটা আর আগের মত নেই সে পরিবর্তন হয়ে গেছে তোমার জন্য সে বার বার মরতে চাইছে তুমি ফিরে চলো 


শুভ// না আংকেল আমি আর ওখানে যাবো না 


আদিলার বাবা/// আমি তোমার কাছে হাত জুর করে আমার মেয়ের জিবন ভিক্ষা চাইছি সে তোমাকে না পেলে এবার মরেই যাবো এতদিন তোমার কথা নানা রকমের অজুহাত দিয়ে তাকে বাচিয়ে রাখছি আজ তোমাকে সকালে অফিসে দেখে আমার কাছে কেদে কেদে তোমার কথা বলে প্লিজ তুমি ফিরে চলো 


শুভ// আংকেল একি করছেন সন্তানের কাছে হাত জুর করা পিতার মানাই না আচ্ছা আমি যাবো 


তখন আদনান আব্বু কোথায় যাবে আবার চলো না আমরা এখান থেকে চলে যাই 


আদিলার বাবা /// এটা কি আমার নানা ভাই 


শুভ// হুম 


আদিলার বাবা তখন তাকে কুলে নিয়ে কোথায় যাবে নানা ভাই আমাকে রেখে তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না 


আদনান /// যাবো না আমরা তোমার বাসায় তোমরা আমার বাবা কে অনেক কষ্ট দিছো আবারো কষ্ট দিবে তাই নিতে আসছো তাইনা আমরা যাবো না চল বাবা আমরা এখান থেকে চলে যাই 


আদিলার বাবা // আমার নানা ভাইটা দেখছি বাবার মতই বড্ড অভিমানি হয়ছে 

তোমাদের আর কোন কষ্ট দিবোনা অনেক আদর করবো এবার 


আদনান// সত্যি বলছো তো আমাদের আদর করবে তো 


আদিলার বাবা/// হুম সত্যি বলছি 


আদনান // তাহলে আমরা যাবো 


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


পরে শুভ আবার সেই চিরোচেনা জাইগাতে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে 


গাড়ি তার আপন গতিতে চলছে 

কিছুখন পরেই আদনান তার নানুর কুলে ঘুমিয়ে যাই 


আদিলার বাবা/// বললে না শুভ এতদিন তুমি কোথায় ছিলে 


শুভ// দেশের বাহিরে ছিলাম 


আদিলার বাবা/// কোথায় ??

শুভ// পরে এক সময় বলবো 

আদিলার বাবা // আচ্ছা 


পরে তারা আরো কিছুখন নানা বিষয় নিয়ে গল্প করতে থাকে 


অতপর বাড়িতে আসলে 

আদিলার বাবা// শুভ যাও আদিলার রুমে গিয়ে শুয়ে পরো অনেক রাত হয়ে গেছে 

সকালে কথা হবে আমি নানুভাই কে নিয়ে যাচ্ছি 


অতপর শুভ আদিলার রুমে যেতেই 

আদিলা বিছানা থেকে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে শুভকে 

আমি জানতাম তুমি আসবে তুমি আমাকে এখনো ভালবাসো তুমি আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও আমি আর কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না সারাটা জিবন তোমাকে ভালোবাসবো আদর করবো 


শুভ সাথে সাথে আদিলাকে তার বুক থেকে ছাড়িয়ে ঠাসসস ঠাসসস তুই কি ভাবছিস আমি তর জন্য এখানে আসছি তাহলে তুই সেটি ভুল ভাবছিস 


আংকেলের অনুরুধে এখানে আসছি 

আর তুই কি বললি তকে এখনো ভালেবাসি সেই পাগল আমি নই 

একটা সময় ছিল যখন তকে পাগলের মত ভালোবাসতাম সবকিছুর বিনিময়ে তকে কাছে চাইতাম আরিয়ান আহমেদ শুভ

এখন সেই ভালোবাসা সময়ের পরিবর্তনের কারনে ধুলই মিশে গেছে শেষ হয়ে গেছে তর প্রতি আমার ভালো বাসা

হারিয়ে গেছে তর প্রতি আমার ভালোবাসার মায়া 

 যদি আবার কখনো জড়িয়ে ধরার চেস্টা করিস বা আমার কাছে আসার চেস্টা করিস তাহলে আবার চলে যাবো এদেশ ছেড়ে ,,,,

 গল্পে প্রায় ৩০০ করে লাইকে আসে কিন্তু কমেন্ট ১০০ ও আসেনা 

 প্রিয় পাঠক দের কাছে অনুরুদ থাকলো সবাই একটা কমেন্ট করবেন 

 আপনার একটা কমেন্ট আমার নতুন গল্প লিখার উৎসাহ জাগায় 

চলবে©©©©©©©©©©©©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !