ক্ষেত ছেলে vs বড় লোকের অহংকারি মেয়ে
পর্ব ০৩
আরিয়ান আহমেদ শুভ
©©©©©©© abdul motin©©©©©©©©©
শুভ রিসিব করেই যা শুনতে পাই সেখানে গিয়ে আমাদের ভুলে গেছিস তর আমাদের কথা মনে না হলেও কি আমাদের তর কথা মনে পরেনা কত দিন থেকে তর সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছিনা তর মোবাইল বন্ধ থাকে কেন
শুভ/// মা একটা সমস্যায় ছিলাম মোবাইল টা নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো তাই কথা বলতে পারিনাই
শুভর মা // তর মোবাইল নষ্ট হয়ছিল না মিথ্যা কথা কেন বলিস এমনিতেই তো তুই মাসে মাসে মোবাইল পরিবর্তন করিস
মোবাইল নষ্ট হওয়ার পর কি তুই মোবাইল পরিবর্তন করিস নাই নাকি কোন কারনে মিথ্যা বলছিস
শুভ/// মা আমি পরে বলবো
শুভর মা// আচ্ছা পরেই বলিস এখন তর বোনের সাথে কথা বল তর উপর যে রাগ করছে এবার তার রাগ ভাঙ্গা
শুভ// আচ্ছা দাও ফোন তখনই অপাশ থেকে বলে উঠে আমি ঐ কুত্তার সাথে কথা বলবো না কুত্তা যেন আর আমাদের এখানে না আসে তাকে বলে দাও সে যেন তার বউ কে নিয়ে ওখানেই থাকে
শুভ /// নাদিয়া প্লিজ রাগ করিস না এবারের মত ক্ষমা করে দে আর এমন হবে না
একটা সমস্যায় ছিলাম এই যে কান ধরছি
নাদিয়া// এই কুত্তা তুই জানিস না তর সাথে কথা না বললে ঝগড়া না করলে আমি থাকতে পারিনা তাহলে কেন এতদিন আমার ফোন ধরলি না কই ছিলি এতদিন বল আর কি সমস্যা ছিলো যে মোবাইল টা বন্ধ রাখছিস বল না হলে তর সাথে আমি আর কোন কথা বলবো না
শুভ/// বলবো তার আগে কথা দে যে আব্বু আম্মুকে জানাবি না
নাদিয়া // আচ্ছা জানাবো না
শুভ/// আমি একটা একসিডেন্ট করেছিলাম যার কারনে কিছু দিন হাসপাতালে ছিলাম কিছু দিন রুমে শুয়ে ছিলাম যার কারনে ফোন ধরতে পারিনাই
নাদিয়া// এটা আমাদের জানানোর প্রয়োজন মনে করিস নি একটুও আমরা এতটাই পর হয়ে গেছি
শুভ// তেমন কিছুনা তরা অযথা চিন্তা করবি তাই বলিনাই
নাদিয়া// আচ্ছা এখানে আসবি কখন
শুভ// যে কাজে আসছি সেটা হলে চলে যাবো
নাদিয়া/// আচ্ছা , আর শোন এবার যদি কোন কারনে ফোন বন্ধ রাখিস তাহলে কিন্তু ওখানে গিয়ে কেলিয়ে আসবো
শুভ// আচ্ছা আর এমন হবেনা
নাদিয়া// কথা যেন মনে থাকে
শুভ// মনে থাকবে বাই পরে কথা হবে এখন ভার্সিটিতে এসে পরছি
অতপর ফোন রেখে দিয়ে গেট দিয়ে ঢুকতে থাকে তখনই শুনতে পাই এই ক্ষেত তুই আবারো আসছোস ভাবছিলাম সেদিন মাইর খেয়ে মরেই গেছস কিন্তু তুই তো দেখি বেচেই আছোস(( আদিলা))
শুভ কোন কথা না বলে সামনের দিকে চলতে থাকে
আদিলা// এই ক্ষেত তর সাহস তো কম না আমি তর সাথে কথা বলছি আর তুই আমাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চলে যাচ্ছিস আজো কিন্তু সেদিনের মত দিবো
শুভ// মেডাম কেন আপনি আমার সাথে এমন করছেন আমি গরিব হলেও তো মানুষ গরিব হওয়া টা কি আমার অপরাধ যদি আজ আপনি আমার মত হতেন তাহলে কি পারতেন আমাকে এভাবে অপমান করতে পারতেন না ,আমার জায়গাই নিজেকে একবার দাড় করান দেখেন কেমন মনে হয় আপনার
কখনো আপনার এই অহংকার থাকবে না
আমার কথা গুলি খারাপ লাগলে ক্ষমা করে দিবেন আমি এখানে পড়তে আসছি প্লিজ আপনি আমাকে এভাবে অপমান করিয়েন না 👏👏
আর সেদিনের জন্য সরি রাগের মাথায় আপনার গায়ে হাত তুলেছি আমি আমার বাবা মাকে নিয়ে কোন কথা সহ্য করতে পারিনা তার জন্য আপনার গায়ে হাত তুলছি প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিবেন
এই বলে শুভ চলে যাই
এদিকে আদিলার শুভর কথা নিয়ে ভাবতে থাকে সত্যি তো যদি আমি গরিব হতাম তাহলে তো তার মত আমাকেও মানুষ অপমান করতো কখনো আমি ,,,,,
ফারিয়া/// কিরে তুই কি ভাবছিস এই ক্ষেত টারে ছেড়ে দিলি কেন
আদিলা// তরা থাক আমার ভালো লাগছেনা আমি গেলাম
এই বলে আদিলা তার বাসার দিকে রউনা হয়
মারিয়া// এই ফারিয়া আদিলার হঠাৎ করে কি হলো যে এভাবে চলে গেল
ফারিয়া// জানিনাহ রে চল আমরাও চলে যাই আদিলা নাই আমরা থেকে কি করবো
এই বলে তারাও চলে যাই
এদিকে শুভ তার ক্লাস শেষ করে বিকালে নীল কে নিয়ে ঘুরতে যাই একটা পার্কে
অতপর কিছুখন ঘোরাফেরার পর এক জায়গায় বসে তখনই পিছন থেকে ছোট্ট দুটি হাত শুভর গলা ঝড়িয়ে ধরে
ভাইয়া তুমি এতদিন আসো নি কেন
শুভ পিছনে তাকিয়ে আরে নাঈম তুমি তোমার মুখের এই অবস্থা কেন
নাঈম// ভাইয়া আমরা আজ দুইদিন ধরে কিছুই খায়নি দাদুকেও দুইদিন ধরে খুজে পাচ্ছি না
শুভ/// একটা কাজ করো এই নাও টাকা এগুলো তোমার আংকেল কে দিবে আর আমার কথা বলবে যে আমাদের সবাই কে খাবার দিতে বলছে
নাঈম /// আচ্ছা ভাইয়া বলে নাঈম চলে যাই
এদিকে নীল আবুলের মত তাকিয়ে তাদের কান্ড গুলি দেখছে
শুভ// এই নীল এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন
নীল // তুই কে ? তুই তো বলছিস তুই গরিব এত গুলি টাকা তুই কোথায় পেলি
আর এই ছেলেটি কে তর চলাফেরা কেমন যেন আমার কাছে সন্দেহ লাগে সেদিন ডাক্তার কে টাকা দিতে চাইলাম ডাক্তার বলল আগেই টাকা দেওয়া আছে সত্যি করে তর পরিচয় টা বল তো যদি তুই আমাকে বন্ধ ভাবিস
শুভ/// আরে বুদ্ধু তুই যা ভাবছিস তেমন কিছুনা শোন তাহলে তর এত গুলি প্রশ্নের উত্তরশুভ বলতে শুরু করে তর সাথে দেখা হওয়ার আগের দিন আমি এতিম খানার সামনে দিয়ে আসতে ছিলাম তখনই একটা লোক আমাকে ডাক দেয় লোক টিকে দেখে মনে হয়ছে অনেক বড় লোক হবে
পরে আমি সেখানে যা
অতপর লোকটি বাবা কিছু মনে না করলে
একটা কথা বলতাম
আমি // বলে
লোকটি // গাড়িতে কিছু খাবার আছে সেগুলো যদি এই এতিম বাচ্চাদের খাওয়াতে অনেক উপকার হতো
পরে আমি গাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এতিম ছেলেদের খাওয়া
তারপর আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে আমার বাসা কোথায় কি করি এস
পরে আমি আমার সম্পর্কে খুলে বলি তখনই লোকটি বলে তাহলে তোমাকে একটা ঠিকানা দিচ্ছি সেই ঠিকানা অনুযায়ী চলে যাবে সেখানে গিয়ে আমার কথা বললেই তোমাকে থাকতে দিবে
পরে তার সাথে আরো কিছুখন গল্প করে অনেক ঘনিষ্ট হয়ে যাই
আর সেদিনই লোকটি আমাকে বলেছিল মাসে মাসে আমার ফোনে টাকা পাঠাবে এই বাচ্চাদের জন্য যাতে আমি তাদের দেখা শুনা করি আমি রাজি হয়ে যা
আর এই কাজের জন্য তিনি আমাকে কিছু টাকা দেই সেটি দিয়ে আমার খরচ কোন মতে চলে যাই
বুঝলি এবার যে টাকা কোথায় পাইছি
নীল // হুম বুজলাম কিন্তু সেই লোকটি কি তাহলে এই বাসার মালিক ছিলো যে তকে এই ঠিকানাই পাঠায় দি
শুভ// হতে পারে ,না হলে এই বাসার কথা কি ভাবে বলল আর সেদিন তর একটা ছবিও দেখাই ছিলো আমাকে আর বলেছিলো তকে বলতে কিন্তু তকে কিছুই বলতে হয়নি সেদিন যখন কথা শেষ করে তার থেকে ঠিকানা নিয়ে চলে আসি তর কাছে তখন তকে রাস্তায় দেখি আর আমি গরিব সেটা বলতেই তুই বাসায় নিয়ে যা
নীল// সব কিছুই বুঝলাম কিন্তু হাসপাতালের টাকা তাহলে কে দিছিলো
শুভ// এগুলো ঐ লোকটাই দিয়ে রেখে ছিলো যদি এদের কারো কোন সমস্যা হয় তাহলে আমাকে হাসপাতালে নিতে বলছি
নীল// আচ্ছা চল অনেক হয়
শুভ// হুম চল
অতপর তারা বাসায় চলে আসে
এদিকে রাতে আদিলা শুয়ে থেকে ঘুমানোর চেস্টা করে কিন্তু কিছুতেই ঘুম তার চোখে আসেনা বার বার শুধু শুভর বলা কথা তার মনে পরে
রাত টি তার নির্ঘুম কেটে
পরের দিন সকালে শুভ ফ্রেস হয়ে ভার্সিটিতে গিয়ে একটি গাছের নিচ বসে
তখনই পিছন থেকে একটা মেয়েলি কন্ঠ শুনতে পাই এই শুভ তুমি এখানে আর তোমাকে সারা ভার্সিটি খুজে বেডাচ্ছি
শুভ// পিছন দিক তাকাতেই ভুত দেখার মত চমকে উঠে
চলবে,
পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅
আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,
আর NC next না বলে ঘঠন মুলক মন্তব্য করার চেস্টা করবেন
আপনার একটা মন্তব্য আমার নতুন গল্প লেখার উৎসাহ জাগায়
সময় হলে গল্প এমনিতেই দেব 💝💝💞💝 , 💅,,,, যাই ছে লো সল ই ব য় ন ই
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।