ক্ষেত ছেলে vs বড় লোকের অহংকারি মেয়ে
পর্ব ০২
আরিয়ান আহমেদ শুভ
©©©©©©© abdul motin©©©©©©©©©
শুভ পিছনে তাকিয়েই আরে নীল ভাই
নীল// দেখ শুভ তুই আমাকে ভাই বলবি না তর মুখে ভাই ডাক আমার কাছে ভালো লাগেনা আমাকে তুই বলে ডাকবি
শুভ// তা কি করে হয় তুমি আমাকে একটা মেসে আশ্রয় দিছো আমাকে বড় ভাইয়ের মত আদর যত্ন করো তাহলে তোমাকে ভাই ডাকবো না তো কি ডাকবো
নীল/// আমি এতকিছু বুঝিনা আর আমি তকে আমার বাসায় থাকতে দেইনি যে মহান কাজ আমি করেছি আমি তর মতই গরিব ঘরের ছেলে ২ টা টিউশনি করি তা দিয়ে আমার খরচ চালাই আর বাসায় কিছু টাকা দেয়
আমি তকে যা বলছি তাই করবি
শুভ// আচ্ছা তুই করেই ডাকবো এবার খুশি তো
নীল// হুম , আচ্ছা চল তাহলে বাসায় যাই
অতপর তারা গল্প করতে করতে ম্যাসে ফিরে ফ্রেস হয়ে লান্স করে এক সাথে শুয়ে পরে বিশ্রাম করার জন্য তখনই
শুভ আচ্ছা নীল তর সাথে তো আমার ভালো মতে পরিচয় হয়নি দুইদিন ধরে আসছি তেমন কথা বলার সুযোগ তো হয়নি একটা কথা জিজ্ঞেস করবো
নীল/// আচ্ছা বল দেখি
শুভ// তুই তখন বললি যে টিউশনি করে যা পাস তা দিয়ে তর খরচ আর বাসায় টাকা পাঠাস তো এই ম্যাসে যে থাকিস এর ভাড়া কি দিয়ে দেস আর আমাকেউ তো ভাড়ার কথা কিছুই বললিনা
নীল// মেসের মালিক টা অনেক ভালো আমাদের মত গরিব ঘরের ছেলেরা থাকে এখানে তাদের থেকে টাকা নেই না
কিন্তু জানিস শুভ আজ পর্যন্ত বাসার মালিক টাকে দেখনি আমি অনেক কথা বলার চেস্টা করছি বাট সে শুধু মেসেজেই কথা বলছে সামনে কখনো আসেনি শুধু একটি কথায় বার বার বলতো কোন একদিন তোমাদের সাথে থাকবো আড্ডা দিবো তার পর চলে আসবো যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে জানাবে
কিন্তু আজো তাকে দেখতে পারলাম না
তবে অনেক চেস্টা করে এতটুকু জানতে পারছি যে বাড়ি ওয়ালার কেউ নাকি এই দেশে থাকে না তারা বিদেশে থাকে এটা নাকি তাদের পুরাতন বাসা
শুভ/// যাক আমার জন্য তাহলে একটু সুবিদা হলো বাসা ভাড়া দিতে হবে না বেডার লাইগা দোয়া করি যেন হালা বেডায় ৪ , ৫ বিয়ে করতে পারে না হলে দর্জাল এক্ষান মাইয়া যেন তার কপালে জুটে 😁😁
আর চিন্তা করিস না হয়তো কোন একদিন দেখতে পারবি
নীল// হুম , তবে তুই এটা দোয়া করলি না বাড়িওয়ালাকে বাশ দিলি এটা ঠিক করলি না দোয়া উঠায় নিয়ে ভালো দোয়া কর আমাদের উপর কত বড এহসান করতেছে
শুভ// করবো নি এখন ঘুমা বিকালে আবার উঠতে হবে ঘুরতে যেতে হবে
নীল আচ্ছা এই বলে ঘুমিয়ে যাই
বিকালে ঘুম থেকে উঠে তারা দুইজন গল্প করতে করতে ঘুরতে যাই
নীল//শোন তকে যা বলতে চাইছি সেটা হলো তুই যেহেতু নতুন আর গ্রাম থেকে আসছিস পড়া লেখা করার জন্য তাই ভার্সিটিতে একটু সাবধানে থাকিস ১ম দিনেই জামেলা বাধায়ছিস আদিলার থেকে সাবধানে থাকবি না হলে তর সপ্ন পুরন হবেনা তকে সে আস্ত রাখবে না সে অনেক ভয়ংকর একটা মেয়ে
শুভ নীলের কথা শুনে মনে মনে কি যেন ভাবতে থাকে
কিরে এভাবে কি ভাবছিস কি বললাম বলতো দেখি
শুভ/// তুই আদিলার থেকে দুরে থাকতে বললি
নীল // আর কোন দরকার হলে ব্রেস্টফ্রেন্ড হিসেবে সবকিছু খুলে বলবি কোন জিনিস মনে আটকে রেখে কষ্ট করবিনা
শুভ/// আচ্ছা চল এখন মেসের দিকে যাই অনেক দুরে এসে পরেছি
নীল //হুম চল
অতপর তারা ফিরে এসে মাগরিবের নামাজ পরে পড়তে বসে
কিছুখন পরার পর রাতে ডিনার করে ঘুমিয়ে পরে
এদিকে আদিলা শুয়ে থেকে ভাবতে থাকে কিভাবে এই ক্ষেত টাকে শাস্তি দিলে মজা লাগবে তাকে মেরে হাত পা ভেঙ্গে দিবো নাকি অন্য কিছু করে
এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায়
পরের দিন শুভ সকালে ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা করে ভার্সিটি থেকে যেতে থাকে তখনই একদল লোক তার সামনে এসে
তাদের মাঝে ১জন তরা ধর এই ক্ষেতের বাচ্চা কে আজ জন্মের মত শিক্ষা দেব যাতে মরার আগ পর্যন্ত মনে থাকে আদিলা মেডামের গায়ে হাত দিলে তার পরিনতি কি হয় এই কথা বলতেই ৪, ৫ ছেলে শুভকে ধরে ফেলে
একজন হকস্টিক দিয়ে মারতে থাকে
শুভ চিৎকার করে বাচাও বাচাও বলে মানুষ দের ডাকতে থাকে কিন্তু কেউ একটু বাচাতে আসেনা শুভ কে সবাই তাকিয়ে দেখতেছে
হটাৎ কে যেন পিছন থাকে শুভর মাথায় বাড়ি দেয়
আর তাতেই সে সেন্সলেস হয়ে পড়ে যায় আর আদিলা তখনই বলতে থাকে আমাকে থাপ্পর মেরে অনেক বড় ভুল করছিস বেচে থাকলে বুঝতে পারবি আমার গায়ে টাস করার শাস্থি কতটুকু হয় এই তোমরা আসো এই বলে তারা চলে যাই
এদিকে লোক জনের ভীড় দেখে নীল দৌড়ে এসে দেখতে পাই শুভ রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার মাঝে পরে যাই
নীল দৌড়ে গিয়ে শুভকে জড়িয়ে ধরে এই শুভ কথা বল তর এই অবস্থা কি করে হলো কে তকে মারলো কথা বল কিন্তু শুভ
নীলের ডাকে কোন সারা দিচ্ছে না দেখে তারাতারি করে হাসপাতালে নিয়ে যাই
ডাক্তার রা তাকে দেখেই দ্রুত চিকিৎসা করতে শুরু করে
কিছুখন পর একটা নার্স বের হয়ে আসে
নার্স /// আপনি ইমার্জেন্সি ২ ব্যাগ b+ রক্তের ব্যবস্থা করেন
নীল// আমার থেকে নেন আমারো b+
নার্স // তাহলে আসেন
অতপর নার্স নীলের থেকে দুই ব্যাগ রক্ত নিয়ে শুভ কে দেয়
আর নীল ডাক্তার বের হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে
কিছুখন পর ডাক্তার বের হলে
নীল// শুভর কি অবস্থা তার সাথে কি এখন দেখা করতে পারবো
ডাক্তার/// তার অবস্থা বেশি খারাপ ক্যাবিনে শিফট করা হলে দেখতে পারবেন
নীল// আজ কি তাহলে শুভর জ্ঞান ফিরবে না
ডাক্তার /// বলা যাচ্ছেনা তবে আগামি ৭২ ঘন্টার মধ্যে আশা করা যাই জ্ঞান ফিরবে
দেখতে দেখতে তিনদিন পর জ্ঞান ফিরে শুভর
এদিকে কেউ একজন বার বার শুভর মোবাইলে ফোন দেয় কিন্তু ফলাফল শূন্য
দেখে রাগ করে গালি দিতে থাকে কুত্তা তুই একবার শুধু বাসায় আই তারপর তরে বুঝাবো
নীল শুভর জ্ঞান ফিরছে দেখে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে
ডাক্তার /// বিকালে নিতে পারবে
নীল// ডাক্তার আপনাদের বীল কত হয়ছে কত টাকা দিতে হবে
ডাক্তার// টাকা দেওয়ার কোন প্রয়োজন নাই টাকা আগে থেকেই দেওয়া আছে
নীল/// কে দিছে টাকা
ডাক্তার/// দিছে তো একজন তা তোমার ভাবতে হবে না তবে শুভ সুস্থ হলে তার থেকেই জেনে নিও
নীল///আচ্ছা এই বলে সেখান থেকে চলে এসে শুভর পাসে বসে ভাবতে থাকে কে দিল টাকা সে তো গরিব তাহলে আগেই কে টাকা দিল কেউ কি আগেই জানতো শুভকে মারবে এই জন্য হাসপাতালে টাকা দিয়ে গেছে
আমাদের সাথে ও তো কেউ আসেনি যে টাকা দিবে ডাক্তারের কথাও কেমন যেন লাগছে কিছু যেন আমার থেকে লোকাচ্ছে ধুর এসব কি ভাবছি আমি
পরে না হয় শুভর থেকে জেনে নিবো সে যদি জানে
বিকালে শুভকে মেসে নিয়ে আসে
তার সেবা যত্ন করতে থাকে নীল
দেখতে দেখতে ১৫ দিন কেটে যাই
শুভও এখন মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠে
নীল/// শুভ তুই আজ ভার্সিটিতে যাবি নাকি আমি একাই যাবো
শুভব// যা আজ যাবো না কাল থেকে যাবো
নীল // আচ্ছা এই বলে চলে যাই
তখনই শুভর মোবাইলে ফোন আসে
শুভ রিসিব করেই যা শুনতে পাই ****
চলবে,,,
আপনাদের সাড়া পেলে পরের পর্ব দিবো
নইতো এখানেই শেষ
পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅
আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,,
আর NC next না বলে ঘঠন মুলক মন্তব্য করার চেস্টা করবেন
আপনার একটা মন্তব্য আমার নতুন গল্প লেখার উৎসাহ জাগায়
সময় হলে গল্প এমনিতেই দেব
কোন সমস্যা নাই আপনারা এখনও এখানে কমেন্ট করতে পারবেন
ReplyDeleteThanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।