মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ4

 


#মাফিয়ার শহরে

#পাঠঃ৪

#লেখকঃ নীল মেহেরাজ

  

[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]

   

জান্নাতঃ ভাইয়া চল আমার দুই ভাইবোন দুরে কোথায় চলে যাই।

আমিঃ(কেমনে যাব রে বোন বাবা মায়ের মৃত্যের প্রতিশোধ না নিয়ে। প্রতিশোধ তো আমি নিবই।মনে মনে বললাম) হুমম যাব রে। মা,বাবার জন্য দোয়া করেই চলে যা মাফিয়ার শহর থেকে।

 

বগুড়ায় বাবার চেনা সব লোকের সাথে ভালোমন্দ সব কথাই শুনলাম। আমার ফ্রেন্ডসরাও এসেছিলো সবাই। তাদের সাথে কথা বললাম।এবং সবাই কে বললাম খোজ লাগাতে কে এই কাজ টা করেছে। 

(আমি মহুয়া আন্টি কে ফোন দিয়ে সব ঘটনা বলেছিলাম)

যদিও আমি মারামারি পছন্দ করি না। তার মানে এই না যে আমি মারামারি পাড়ি না। ছোট থেকেই মারামারিতে নাম্বার ১ ছিলাম।এখনও আছি তবে সেটা প্রকাশ করি না। কারন এখন আর এগুলা ভালো লাগে না। আমার চোখে ভদ্রলোকের চশমা পড়া আছে বলে এই নয় যে আমি আমার বাবা আর মায়ের মৃত্যের প্রতিশোধ না নিয়ে বসে থাকবো। সব ধরনের খোজ-খবর আমি আমার বন্ধু দের কাছে থেকে নিবো।

  

আজকে বাবা মায়ের জন্য দোয়া করেই বেরিয়ে পরলাম আবার ঢাকার উদ্দেশ্যে।এবার আর আমি একা ঢাকা আসলাম না। সাথে নিয়ে এসেছি আমার কলিজার টুকরা বোনকে। 

এখন এই পৃথিবীতে আমার বা জান্নাতের আমার একে অপর ছাড়া আপন বলতে আর কেউ নেই।

কিন্তু আসার সময় এক অদ্ভুত ব্যাপার লক্ষ্য করলাম। আর সেটা হলো চাচা আমাদের কে একটিবারও বললো না যে, বাবা তোরা কোথাও যাস না। আমাদের সাথেই থাক। 

  

সকাল ৫ টার সময় ঢাকায় এসে পৌঁছাইলাম।  

বাসস্ট্যান্ড থেকে রিকশা ভাড়া করে নিয়ে আমি আর জান্নাত সোজা আমার বাসায় চলে আসলাম। এত সকালে হয়তো কেউ জাগনা পাইনি। গেটের তালাই তো খোলে নি। 

সমস্যা নেই আমার কাছে থাকা নকল চাবিটা দিয়ে গেট টা খুলে জান্নাত কে নিয়ে সোজা আমার ফ্লাটে চলে আসলাম। 

ফ্রেশ হয়ে এসে দুটো ডিম ভেজে দুই- ভাইবোন খেয়ে নিলাম। 

ফ্লাট টাতে রয়েছে ২ টা বেড রুম,এটাস্ট বার্থরুম,আর একটা কিচেন। তারপর দুজনে দুই রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।

দীর্ঘ সময় জার্নি করার ফলে ক্লান্তু ছিলাম।

   

সকাল ১১ টার সময় আমার ঘুম ভাংলো। 

উঠে ফ্রেশ হয়ে চলে গেলাম মহুয়া আন্টির সাথে দেখা করতে। আমি গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই চাদনি এসে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে বিরক্তি ভাব নিলো।মনে হয় আমাকে দেখেই তার যে কেমন লাগছে যা তার মুখটা দেখেই বুঝতে পারতেসি। হঠাৎ করে সে আমাকে বলে উঠল,,,,,,,,,, 

চাদনিঃ কি চাই এখানে।

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম। আন্টির সাথে দেখা করতে এসেছি। 

চাদনিঃ অলাইকুম আসসালাম মা বাসায় নেই।মামাদের বাসায় গেছে।

আমিঃ ওহহহ আচ্ছা ঠিকে আছে।

চাদনিঃ হুমমম।কয়েক দিন যে ছাদে দেখলাম না। 

আমিঃ জী আমাকে বলছিলেন। আসলে হয়েছি কি,,,,

চাদনিঃআর যেন ছাদে না দেখি।অবশ্য আপনাকে ছাদে না যাওয়ার জন্য একটা ধন্যবাদ দিলাম।

আমিঃ আচ্ছা আমি তাহলে আসি। 

চাদনিঃ (কোনো কথা না বলে টাস করে দটজা টা লাগিয়ে দিলো।)

মনে হয় সে অনেক খুশি হয়েছে আমি ছাদে না যাওয়াতে। কিছুই বুঝি না। আমার মতো একটা ৫৬ কেজির মানুষ ওত বড় ছাদে গেলে কি এমন ক্ষতি হবে বলুন তো দাদা আর দাদিরা। নাকি আমি এতটাই মোটা যে চাদনিদের ছাদটাই ভেঙে যাবে।

যাকগে এসব কথা। আবার রান্না করতে হবে।ওদিকে পিচ্চি বোনটার মনে হয় ক্ষিদে পেয়েছে। উঠে খাবার চাইবে।

চলে আসলাম আবার নিজের ফ্লাট এ।

তারপর রাইস কুকারে ভাত বসিয়ে দিয়ে।বাহিরে চলে আসলাম বাজার করতে। 

দুপুরের সময় আমি আর রিয়া খেতে বসেছি। আজকে আমি গরুর গোসত আর ডিম রান্না করেছি।(ভাবতেছি বউকে একদিন রান্না করে খাওয়াবো)।ইউটিউবে রান্না করার ভিডিও দেখেই এইসব রান্না করেছি। জানিনা কেমন হয়েছে। কিন্তু ঘ্রান টা সেই রকম ভাবে বের হয়েছে।

 হঠাৎ করে কে যেন কলিং বেল টা বাজালো। আমি উঠে গিয়ে দরজাটা খুলে দিলাম।দরজাটা খুলতেই দেখি চাঁদনি দাড়িয়ে আছে। আর হাতে একটা বক্স। আমি বলতে শুরু করলাম,,,,,,,,, 

আমিঃ আরে আপনি এখানে হঠাৎ। 

চাদনিঃ আমার বাসা আমি যেখানে খুশি সেখানে যাব সমস্যা আছে কোনো।

আমিঃ আরে সমস্যা হবে কেন।

চাদনিঃ মা এই বক্স টা পাঠিয়েছেন। 

আমিঃ কি আছে এতে।

আমিঃ আমি জানি না। আর ফ্লাট থেকে এত সুস্বাদু ঘ্রাণ আসছে কেন।কি রান্না করেছেন।

আমিঃ (কি ব্যাপার এত ভালো ব্যবহার কেন।ওহহ বুঝেছি ছাদে যাই না বলে)আসলে কিছু খাবার রান্না করেছি তো।

চাদনিঃ এর আগে তো পাইনি।

আমিঃ আজকেই প্রথম রান্না করলাম।

চাদনিঃ ওহহহ তা আমাকে খাওয়াবেন না। 

আমিঃ ওকে ভিতরে আসেন।

  

আমি আর চাদনি ভিতরে চলে আসলাম। 

ভিতরে আসতেই চাদনির চোখ বড় বড় হয়ে গেলো। কারন রুমের ভিতরে একটা মেয়ে মানুষ।

সে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো।

আর তাকাবেই না কেনও। ব্যাচেলর ছেলের ফ্লাটে একটা মেয়ে।

চাদনিঃ কি ব্যাপার এইটা কে।

আমিঃ এটা আমার ছোর বোন।(হাসি মুখে বললাম) 

চাদনিঃ বোন না আর কিছু (সন্দেহ জনক চোখে)

আমিঃ আরে এটা আমার বোন হয়। আর এই জান্নাত এটা হলো তোর চাঁদনি আপু।এই বাসার মালিকীন।

জান্নাতঃ আসসালামু banner push topper আলাইকুম আপু।

চাদনিঃ আলাইকুম আসসালাম।

আমিঃ আচ্ছা আপনি বসুন আমি খাবার বেড়ে দিচ্ছি। 

চাদনিঃ হুমমম।

  

তিনজনে মিলে খেয়ে উঠলাম। বুঝলাম না চাদনির হঠাৎ করে কি হয়ে গেলো যে সাথে এমন ভালো ব্যবহার করছে। আমি মনে হয় তাকে ভুল বুঝেছিলাম। হঠাৎ করে চাদনি বলে উঠল,,,,,,,,,,,,,,, 

চাদনিঃ আচ্ছা আপনি তো সেই রান্না করতে পারেন।

আমিঃ আজকেই প্রথম রান্না করলাম।

চাদনিঃ ভালো লাগলো খেতে।রান্না টা খুব ভালো হয়েছে। আর আমি জান্নাতকে নিয়ে গেলাম আমাদের বাসায়। 

আমিঃ ওকে।

চাদনিঃ আর মা বাসায়ই আছে।

আমিঃ ওহহহ।তখন মিথ্যা বললেন কেন।

চাদনিঃ আপনাকে কেন বলবো😡😡😡😡।

আমিঃ রাগেন কেন ঠিক আছে। 

জান্নাতকে নিয়ে চাদনি চলে গেলো। আসলেই কবিরা ঠিকিই বলেছে, মেয়েদের চেনা বড়ই মুসকিল।এটা আজকেও প্রমানিত হয়ে গেলো।

   

বসে বসে ভাবতে লাগলাম কারা হতে পারে আমার বাবা মায়ের খুনি। 

এই চিন্তা টা মাথায় থেকে বের করে দিতে পাচ্ছি না কেন। কে আছে এই খুনের পিছনে। 

নাকি কে আছে এটা বের করতে আমাকে আবার ফিরে যেতে হবে সে,"মাফিয়ার শহরে",বগুড়ায়।

চলবে"""""""""""""

*Nil meheraj's story পেজটাতে লাইক দিয়ে ফলো করুন। কারন সবার আগে ওই পেজ এ স্টোরি পোষ্ট দেওয়া হয়।আর গ্রুপেও অনেক সময় এপ্রুভ করে না গল্পগুলো।*

(আর যারা যারা fne req দিবেন তারা একটা মেসেজ দিবেন। না হলে accepted হবে না।কারন পাঠক-পাঠিকা ছাড়া আর কারো রিকু accepted করবো না)

(nice, next না লিখে গঠন মুলক কিছু কমেন্ট করবেন। আর যদি তা না পারেন তাহলে প্লীজ কমেন্ট করার দরকার নেই। কেউ অন্য মাইন্ড এ নিবেন না।আসলে এসব কমেন্ট দেখলে খারাপ লাগে। এত কষ্ট করে লিখে এতো টুকু কমেন্ট দেখলে খুব খারাপ লাগে।)

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !