#মাফিয়ার শহরে
#পাঠঃ৫
#লেখকঃ নীল মেহেরাজ
[আগের পাঠ গুলো আমার টাইম লাইনে দেওয়া আছে। চাইলে পড়ে আসতে পাড়েন।]
(হাত কেটে যাওয়ার কারনে এই কয়দিন গল্পটা লিখতে পারিনি।এখন ভালো হয়েছে তাই দিয়েছি)
বসে বসে ভাবতে লাগলাম কারা হতে পারে আমার বাবা মায়ের খুনি।
এই চিন্তা টা মাথায় থেকে বের করে দিতে পাচ্ছি না কেন। কে আছে এই খুনের পিছনে।
নাকি কে আছে এটা বের করতে আমাকে আবার ফিরে যেতে হবে সেই,"মাফিয়ার শহরে",বগুড়ায়।
""
ওদিকে জান্নাতকে নিয়ে চাদনি ওদের ফ্লাটে যেতেই,,,,,,,,,,,
আন্টিঃ আরে এটা জান্নাত না।
চাদনিঃ হুমমম মা তুমি কিভাবে জানলে।
আন্টিঃ আরে আমি জানবো না মানে এটা কি করে হয়। নীল তো ওর পরিবারের সকলকেই ফোনে ছবিতে আমাকে দেখিয়েছেন।
জান্নাতঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি। কেমন আছেন।
আন্টিঃ অলাইকুম আসসালাম।এই ভালো আছি মা। তোমরা কেমন আছো।
জান্নাতঃ ভালো আছি।
এইভাবে তারা কথা বলতে লাগলো।
চাদনি আর আন্টি খুব সহযেই জান্নাতকে আপন করে নিয়েছে।
পরের দিন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে গেলাম।
তারপর নামায পড়তে চলে গেলাম।
এখন আমাকেই সব সময়(তিন বেলায়)
রান্না করতে হবে। কারন এখন আমার কলিজর টুকরা বোনটাও আমার সাথেই থাকবে।তাই তাকে তো আর না খায়িয়ে রাখতে পারবো না তাই না। তাই রান্না করতেই হবে।নামায পড়ে এসে আমার রুমে গেলাম। তারপর রান্না ঘরে যাব এমন সময় কে যেন কলিং বেল টা বাজাতে লাগলো।আমি গিয়ে দরজা খুলে দিলাম। দরজা খুলতেই দেখি আন্টি আর চাদনি দাড়িয়ে আছে।
আমিঃ আসসালামু আলাইকুম আন্টি।কেমন আছেন।
আন্টিঃঅলাইকুম আসসালাম। ভালো আছি বাবা তুই কেমন আছিস
আমিঃ জি ভালো আছি।তা এত সকালে কি মনে করে।
আন্টিঃ এত সকালে আসার কারন হলো এই যে,
আজকে থেকে তুই আর জান্নাত আমাদের সাথেই খাবি।
আমিঃ আরে আন্টি কি যে বলেন না
আন্টিঃবাবা তোকে অনেক আগে থেকেই বলেছি আমাদের সাথে খেতে কিন্তু খাসনি। না খেয়ে থেকেছিস আর ওই বাহিরের পচা খাবার খাইছিস।আর এখন তো তোর বোনও তোর সাথে আছে। ভালো খাবার না খেলে তো তোর আর জান্নাতের শরীর খাবার করবে তাই না।
আমিঃ কিন্তু আপনাদের যে কষ্ট হবে।
আন্টিঃ রান্না তো করতেই হয়। একটু বেশি করে করলে কি হবে বল।
আমিঃ ওকে।কিন্তু আমিও বাজার করে নিয়ে আসবো।
আন্টিঃ ঠিক আছে।
।
এইভাবে কেটে গেলো কয়েকটি দিন।
চাদনি এখন আর আমার সাথে কোনো ধরনের বাজে ব্যবহার করে না। ছাদে গেলেও কোনো ধরনের বকাঝকাও করে না। বরং নিজেই কফি বানিয়ে এনে খাওয়ায়। আর জান্নাতকেও ভার্সিটির পার্শে একটা কলেজে ভর্তি করিয়েছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি, চাদনি আর জান্নাত বাসা থেকে বের হলাম। জান্নাত যাবে কলেজে আর আমি আর চাদনি ভার্সিটিতে।
জান্নাত আর চাদনি চলে গেলো একটা রিকশা নিয়ে আর আমি অন্য একটা রিকশা নিয়ে চলে (গেলাম। চাদনিই জান্নাত কে কলেজে পৌছে দেয়)
রিকশায় বসে আছি এমন সময় একটা প্রাইভেট কার এসে রিকশায় বেজে দেয়।ফলে রিকশা থেকে চটকে পড়ে গেলাম পিছঢালা পাকা রাস্তায়। যার কারনে হাত পা ছি) ছিলে গেলো।
আর এদিকে যে কারটা ঢাক্কা দিয়েছে তার মালিক একটা মেয়ে। সে বলতে লাগলো,,,,,,,,,,
এই কুত্তার বাচ্চা দেখে রিকশা চালাতে পারিস না।
(রিকশা ওয়ালাকে বলল)
আমি কোনো রকমে উঠে দাড়িয়ে বললাম,,,,,,,,,,
আমিঃ এক্সকিউজমি একটু এদিকে তাকাবেন।
(মেয়েটাকে বললাম)
মেয়েটাঃ এই তোর দিকে তাকানোর কি আছে।তুই চুপ থাক।(রেগে বললো)
আমিঃ(মেয়েটার কথা বলার স্টাইল দেখে রাগ উঠে গেলো।সে আরো নানা ভাবে রিকশা ওয়ালা চাচাকে বকছে)
আমিঃ এই মেয়ে এই এদিকে তাকিয়ে আমার কথা শুনেন না হলে একটা চর দিয়ে গাল ফাটিয়ে দিবো।
মেয়েটাঃ তোকে চুপ থাকতে বলছি না।
আমিঃ (কোনো কথা না বলে গিয়ে দিলাম একটা থাপ্পড়। রাগ আর কন্ট্রোল করতে পারছিলাম না।)
মেয়েটা রাগি চোখ নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আর বলতেছে,,,,,,,,,
মেয়েটাঃ তোর এত বড় সাহস তুই আমাকে মারিস।
আমিঃ এখন যদি ভদ্র ভাবে না কথা বলেন তাহলে আবার মারতে আমি পিছুপা হবো না।
মেয়েটাঃ কুত্তার বাচ্চা তুই আমাকে আবার মারার কথা বলতেছিস।
আমিঃ( এবার রাগটা চরম পযার্য়ে উঠে গেলো।
ঠাসসস ঠাসসস করে আরো দুটো চর লাগিয়ে দিলাম।)
মেয়েটাঃ আমি মারিস তাই না।দাড়া তোকে দেখাচ্ছি।
আমিঃ আমার সময় নাই প্রাইম ভার্সিটিতে আসিয়েন আমাকে কি দেখাবেন।আমি এখন ওইখানে যাচ্ছি ক্লাস আছে।
বলেই রিকশা ওয়ালা চাচাকে ৫০০ টাকার একটা নোট হাতে ধরিয়ে দিয়ে হাটতে লাগলাম। আজকে জরুরী ক্লাস আছে। অনেকটা লেট হয়ে গেলো।
রাস্তায় একটা ফার্মেসী থেকে ড্রেসিন ও ওয়ান টেপ লাগিয়ে চলে আসলাম ভার্সিটিতে।
সোজা চলে গেলাম আমার banner push topper ডিপার্টমেন্টে।
ক্লাসটা শেষ করে রুমের বাহিরে আসতেই কোথা থেকে যেন চাদনি এসে হাজির।
চাদনিঃ কি ব্যাপার আজকে আসতে এত দেড়ি হলো কেন।
আমিঃ এমনি তেই।
চাদনিঃ এমনিতেই মানে কি হয়েছে বলেন।
আমিঃ আসলে রাস্তায় আসার সময় এক্সিডেন্ট করেছি।
চাদনিঃ কিহহহ।(বলেই আমার দিকে ভালো ভাবে তাকালো।)
আমিঃ হুমমম।
চাদনিঃ শরীরে এমন টেপ মারা কেন।
আমিঃ এইতো সামান্য ছিলে গেছে।
চাদনিঃ মেডিসিন দিয়েছেন।
আমিঃহুমমম সমস্যা হবে না ডাক্তার বলেছে।
চাদনিঃ ওহহহ চলেন বাসায় যাব আজকে আর ক্লাস করতে হবে না।
আমিঃনা আপনি যান আমার কাজ আছে।
চাদনিঃ বেশি কথা না বলে আমার সাথে চলেন🤬🤬🤬🤬🤬🤬
আমিঃ আরে আমার একটা ক্লাস আছে আপনি চলে যান।
চাদনিঃ ঠিক আছে আমি তাহলে আজকে জান্নাত কে নিয়ে যাব।
আমিঃ আপনার ইচ্ছা।
চাদনিঃওকে চলে গেলাম। আর দেখেশুনে চলাচল করবেন। আজকে বেশি কিছু বললাম না।
আমিঃ মানে কি🙄🙄🙄🙄
চাদনিঃ কিছু না বাই😁
আমিঃ বাই।
।
চাদনি চলে গেলো। বুঝলাম না কি বেশি বলল না।নাকি এক্সিডেন্ট করেছি বলে সেটার কথা বললো।
এদিকে আমি ক্লাসটা শেষ করে ক্যাম্পাসে বলে আছি জয়ের সাথে। বসে বসে গল্প করছি।
এমন সময় ভার্সিটিতে ৩ টা গাড়ি প্রবেশ করলো।
এর মধ্যে একটা গাড়ি দেখেই চিনে ফেললাম।
সকালে সেই গাড়িটা যেটার সাথে আজকে এক্সিডেন্টে করেছি। হঠাৎ করে সকালের মেয়েটা আমার সামনে চলে আসলো।তারপর বলতে লাগলো,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,
Thanks for messaging . আমরা আপনার মেসেজ দেখলে আপনাকে অবশ্যই উত্তর দেবো ধন্যবাদ সবাইকে আপনারা চাইলে এখন এখানে পোস্ট করতে পারেন । এই ব্লগে পোস্ট করতে চাইলে অ্যাডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন ।