মাফিয়ার শহরে । পাঠঃ১

 




মাফিয়ার শহরে

পাঠঃ১

লেখকঃ নীল মেহেরাজ

 

"এইযে, ধরুন এই বাটিটা নিয়ে আমাকে উদ্ধার করুন। যতসব ব্যাচেলর যে কেন ভাড়া দেয় বুঝিনা"

  

সকাল বেলা ঘুমিয়ে আছি এমন সময় কে যেন কলিং বেলটা বাজালো। সকালে অনেক ক্ষুদা পাইছে তার উপর ঠান্ডা।ইচ্ছে না থাকার শর্তেও এই শীতের সকালে গিয়ে দরজাটা খুলে দিতে হলো। আর দরজা খুলতেই উক্ত কথা গুলো শুনতে হলো আমাকে। তাও আবার বলল একটা মেয়ে।

মেয়েটার কথা গুলো বলতে দেড়ি হলেও আমার ফ্লাট থেকে চলে যেতে এক মহুত্ব্যও দেড়ি করলো না। (বিদ্যুৎ এর গতিতে এসে কারেন্টের গতিতে চলে গেলো।)

  

আমি বাটিটা হাতে নিয়ে ভালো করে দেখতে লাগলাম এটা কার + কিসের বাটি।

ভালো করে লক্ষ করে দেখলাম এটাতো মহুয়া আন্টির বাটি(আসলে মহুয়া আন্টি প্রায়ই আমাকে খাবার পাঠান।তাই বাটিটা চিনতে পারলাম)।

বাটিটা টা মহিয়া আন্টির ঠিক আছে কিন্তু এটা যে ওয়েটারনীটা ওহহ সরিইইই যে মেয়েটা ডেলিভারি করে গেলো সে কে। দুর সে যাই হোক, সে কে তা জেনে লাভ নেই। খাবার পাইছি খেয়ে নিই।

তারপর খাবার বাটিটির ডাকনা টা সরিয়ে দেখলাম গরম গরম খিচুড়ি। বাহহ সাথে দেখছি ডিম ভাজিও রয়েছে। আর দরজায় না দাঁড়িয়ে থেকে রুমের ভিতরে এসে বাটিটা ডায়নিং টেবিলের উপর রেখে ফ্রেশ হতে গেলাম।

ফ্রেশ হয়ে এসে টেবিলের উপর থেকে বাটিটা আর একটা চামচ নিয়ে সোজা ছাদে চলে গেলাম।

(আসলে শীতের সকালে গরম গরম খিচুড়ি আর ডিম ভাজি হলে আর কিছুই লাগে না।)

  

অনেক ক্ষনই তো হয়ে গেলো। কেউ তো আর আমার পরিচয় জানতে চাইলেন না। আমার আবার বেশি সরম করে না। তাই নিজের পরিচয় টা নিজেই দিয়ে দেই, আমি হলাম নীল মেহেরাজ। বাসা বগুড়ায়। বর্তমানে একটা আমি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর পরতেছি।

থাক আর কিছু বলবো না। সাথে থাকলে সবই জানতে পারবেন।

আমি যে বাসাটায় থাকি সেটা ৫ তলা বিশিষ্ট একটি বড় বাসা। আর একটু আগেই যে মহুয়া আন্টির কথা বললাম তিনি হলেন এই বাসাটার মালিক।কিন্তু যে মেয়েটা এসে আজকে আমাকে খাবারের বাটিটা দিয়ে গেলো তাকে আমি চিনি না।

মহুয়া আন্টি আমাকে খুব ভালো বাসেন। বলতে গেলে তার ছেলে ভাবেন আমাকে। মাএ ৭ মাসেই আমাকে কতটা ভালোবাসে মহুয়া আন্টি। ৭ মাস আগেই এই বাসাটার উঠেছি।

যাকগে সে সব কথা।

  

আজকে শুক্রবার তাই কোনো ধরনের চাপ নাই বললেই চলে। আজকে ভার্সিটি বন্ধ। 

দুপুরে নামায পড়ে এসে ডিম আর একটা রুটি খেয়েই ঘুমিয়ে গেছিলাম।

বিকেলে গাড় কালো রংয়ের গীটার এক হাতে আর কফির কাপটা অন্য হাতে নিয়ে নিয়ে চলে আসলাম ছাদে। আমি ৫ম তলায় থাকার কারনে অতি সহযেই ছাদে আসতে পাড়ি।

প্রিয় দোলনাটায় বসে কফির মগটা পূর্ব পাশে রেখে গিটারটায় টিউন তুলতে লাগলাম।

চোখ বন্ধ করে গিটারের টিউন গুলোকে feel করার চেষ্টা করছি।

হঠাৎ করে একটা বিকট হল। আমার আশে পাশেই শব্দ টা হল যা শব্দের গতি শুনেই বুঝতে পারলাম। 

চোখটা খুলে তাকাতেই দেখি সামনে সকালের সেই মেয়েটা দাঁড়িয়ে আছে আছে। আর আমার দিকে কেমন যেন রাগী দৃষ্টিতে থাকিয়ে আছে। আমি সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আশে পাশে তাকালাম। শব্দ টা কোথায় থেকে আসলো এটা জানার জন্য। 

হঠাৎ করে চোখটা আমার পায়ের দিকে চলে গেলো। দেখলাম পাশের নিয়ে আমার কফির মগটা পড়ে আছে। সরিইই মগটা না মগের ভাংগা কাচগুলো।তার মানে মেয়েটা আমার কফির মগটা ভেঙে ফেলেছ। 

মন মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো,,,,,, 

আমিঃ এই মেয়ে এটা আপনি কি করলেন।

মেয়েটাঃকেন দেখতে তো পাচ্ছেন কি করলাম।

আমিঃ এটা আপনি ভাংলেন কেন।

মেয়েটাঃ এটা আমার দোলনায় রেখেছেন কেন।আর আপনার ভাগ্য ভালো যে আপনাকে এখনো আমি ছাদে থেকে ফেলে দি নি।

আমিঃ আশ্চর্য এখানে আমাকে ফেলে দেওয়ার কি আছে। আর আমি ও আমার কফির মগ কি করলাম।

মেয়েটাঃ এই বেশি কথা না বলেএখানে থেকে চলে যান তো। যতসব আবাল মার্কা পোলাপাইন।

আমিঃ এই মেয়ে মুখ সামলে কথা বলেন।

মেয়েটাঃ এই বেশি কথা না বলে ছাদ থেকে চলে যান তো।

আমিঃ আপনি এমন করতেছেন কেন।আর দেখুন যা নয় তাই বলে যাচ্ছেন।আপনি কে বলুন তো।

মেয়েটাঃ ফকিন্নিএ কয় কি।আমার বাসাতেই থাকে আর আমাকেই বলে আমি কে।

আমিঃ মানে বুঝলাম না।

(এমন সময় মহুয়া আন্টি ছাদে চলে আসলো।আর বলতে লাগলো।)

মহিয়া আন্টিঃ কি হয়েছে রে নীল।

আমিঃ আর বলিয়েন না আন্টি। এই মেয়েটা(মেয়েটাকে দেখিয়ে) আমাকে যা নয় তাই বলে যাচ্ছে।

আন্টিঃ এই চাদনি এগুলো কি হচ্ছে তুই নীলকে কি বলেছিস বল।

আমিঃ আন্টি কে এই মেয়েটা।

আন্টিঃআরে এটা আমার একমাএ মেয়ে চাদনি,সাবিকুন নাহার চাঁদনি। 

আমিঃ ওহহহহ বুঝলাম।

চাদনিঃ এই আপনি আর ছাদে আসবেন না।

আমিঃ আমি আবার করেছি যে ছাদে আসতে পারবো না।

চাদনিঃ ছোটলোকদের এই একটা

সমস্যা মুখে মুখে তর্ক করে।

আন্টিঃ এই চাদনি মুখ সামলে কথা বল।কাকে তুই কি বলছিস। 

চাদনিঃ একটা ফকিন্নিকে বলছি। আমি যেন তোকে আর ছাদে না দেখি(আমাকে বলল)

তারপর সে মানে চাদনি হনহন করে ছাদ থেকে চলে গেলো।

আন্টিঃ বাবা তুই ওর কথায় কিছু মনে করিস না।আসলে বাপ মরা মেয়ে তো তাই এমন বেঘারে(ঘারতেরা) হয়েছে। 

আমিঃ বাদ দিন এসব কথা। তা এখন আপনার শরীর কেমন আছে।

আন্টিঃ হুমমম ভালো আছি।

আমিঃ তাহলে আমি এখন আসি আন্টি। বাসায় ফোন দিতে হবে।

আন্টিঃওকে যা।

  -

চলে আসলাম আমার ফ্লাটে। এসে ঘাটের উপর থেকে ফোনটা নিয়ে মায়ের নাম্বারে ফোন দিলাম,,,,,,,,,,,

আমিঃ আসসালামু আলাইকুম আম্মু। 

আম্মুঃঅয়ালাইকুম আসসালাম কেমন আছিস বাবা।

আমিঃ হুমমম ভালো আছি।তুমি কেমন আছো।

আম্মুঃহুমমম ভালো আছি। 

আমিঃবাবা,জান্নাত কেমন আছে।

আম্মুঃ সবাই ভালো আছে। তা কি করছিস।

আমিঃ বসে আছি।

কিছুক্ষন কথা বলে রেখে দিলাম।

  

পরের দিন সকাল বেলায় হাতে কফির কাপ নিয়ে চলে গেলাম ছাদে। আবার দোলনায় বসে আছি।

হঠাৎ করেই,,,,,,,,,,,,

চলবে-------

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !