toxic boy । পর্বঃ- প্রথম

 


আমার জন্য প্রায় ৪৯৭ জন ছেলে ও মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে। আল্লাহ সবাইকে কীছু ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠায় আমাদের সুধু তা খুঁজে বের করতে হয় আমরা কোনটাতে পারদর্শী । আমি খুব ছোট বেলায় বুঝে গেছিলাম আমার ব্রেন সকল বাচ্চার থেকে আলাদা। খুব অল্প সময়ে সব কীছু আয়ত্ত করতে পারি। আমার বয়স যখন দশ বছর তখন আমার বাবা আমাকে কম্পিউটার কিনে দেয় যার মাধ্যমে আমি প্রবেশ করি ডার্ক ওয়েবে। ডার্ক ওয়েবে ঢুকার পর আমি বুঝতে পারি এখানে যার বুদ্ধি আছে সে ডার্ক ওয়েব থেকে পুরো পৃথিবী কন্ট্রোল করতে পারবে। আমার বয়স তখন ১৫.... এই পাঁচ বছরে ডার্ক ওয়েবের সব কীছু আমার আয়ত্ত করা হয়ে গেছে। কীন্তু বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমি কী করবো এগুলো দিয়ে এরি মধ্যে আমার বড় বোন আত্মহত্যা করে। পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে একটা ছেলে আমার বোনকে অনেক দিন ধরে ব্লাকমেল করছিলো। আমার বোন প্রেমের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে ছেলেটা গোপন ক্যামেরা দিয়ে সব রেকর্ড করে নেই। এই viedo টির ভয় দেখিয়ে আমার বোনকে প্রতিনিয়ত সেই ছেলেটি ভোগ করতে থাকে। এক সময় এগুলো সয্য না করতে পেরে সে আত্মহত্যার করে। আমার বাবা ছেলেটির বিরুদ্ধে মামলা করে যার কারনে ছেলেটি বোনের সাথে সেই video টি ইন্টারনেটে ছেরে দেই। আমার চোখে পারার সাথে Video টি আমি নেট দুনিয়া থেকে সরিয়ে ফেলি কীন্তু তার মধ্যে আশেপাশের প্রায় অনেকে video টি দেখে ফেলে এবং আব্বুকে নানা রকম কথা বলতে সুরু করে এক সময় আব্বু এগুলো চাপ সয্য না করতে পেরে স্টোক করে মারা যায়। আপনাদের তো বলা হয়নি আমার বয়স যখন ৩ বছর তখন আমার মা তার বিয়ের আগের প্রেমিকের সাথে বের হয়ে যায়। বাবা মারা যাওয়ার পর আমার মনে আমার বোনের জন্য এবং যত গুলো প্রেমিক প্রেমিকা আছে সবার জন্য ঘৃনা জন্মায়। আমি তখনি ঠিক করে ফেলি সব বেহায়াদের শাস্তি আমি দিবো। সুরু হয় আমার কালো জীবনের জার্নি। ডার্ক ওয়েবে এক মাত্র আল্লাহ ছারা কীছু পাওয়া সম্ভব। একটু খোজার পর আমার মায়ের ঠিকানা ফোন নাম্বার এবং তার নতুন ছেলে মেয়ের সকল তথ্য পেয়ে গেলাম। হ্যা আপনারা ঠিক ভাবছেন আমার মাকে হত্যা করে আমার হত্যা কান্ড শুরু করি। ডার্ক ওয়েব থেকে কীছু ভারা করা killer বা খুনি দিয়ে আমার মাকে কীডনাপ করায় এবং তাকে সাত দিন অনেক নির্যাতন এর পর সে মারা যায়। আপনারা ভাব্বেন যে আমি নির্যাতন করেছি আমি তো শুধু কম্পিউটারে বসে বসে নির্যাতন করা দেখেছি যা করেছে সব আমার ভারা করা খুনিরা। বিস্বাস করেন কাওকে কষ্ট পেয়ে মরতে দেখা এতোটা আনন্দের তা আমি যানতাম না।পৃথিবীর এমন কোনে টেকনলোজি নাই যে যেটাকে আমি ঘরে বসে কন্ট্রোল করতে পারিনা। ডার্ক ওয়েবে এবং পুলিশের কাছে আমি toxic boy হিসাবে পরিচিতি পাইলাম। হটেলের CCTV camera সবার ফোন camera এবং led tv সকল যায়গায় সুধু আমার রাজত্ব। পৃথীবির সকল cctv আমার চোখ। আমি এমন এক

program বা virus বানাইছি যে নিজে এক phone তে আরেক phone চলে যায় এবং phon এর সকল তথ্য আমার কাছে চলে আসে। আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে আমি এতো মানুষের phone এর তথ্য chek করি কী ভাবে। আমি program টা এমন ভাবে তৈরি করেছি যে phon বা computer এর তথ্যের ভান্ডারে যে গুলো আমার প্রয়োজন সে গুলো চলে আসে।

শুরু করে দিলাম ব্লাকমেল করা এবং যতক্ষণ পর্যন্ত সে আত্মহত্যা করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে ব্লাকমেল করতাম। অনেক ছেলে মেয়ে ছিলো যাদের ব্লাকমেল করা সম্ভব না কারন তাদের video viral হলে কোনো সমস্যা নেই। তাদেরকে আমি কিডনাপ করিয়ে যন্ত্রণা দিয়ে মারি। এখন আর তিন টাকে শাস্তি দিতে পারলে ৫০০ হবে। আমাকে আটকানোর জন্য বা ধরার জন্য আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী cid officer রাকিব কে নিয়োগ দিয়েছে । আপনাদের কী মনে হয় officer রাকিব কী আমাকে ধরতে পারবে.....


চলবে.....


গল্পঃ- #toxic_boy 


লেখকঃ-#মোঃসিহাবুল_হক_সিহাব


পর্বঃ-#প্রথম

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !