ফেসবুক প্রেম । পর্ব ৯

 


ফেসবুক প্রেম 


পর্ব ০৯


ছদ্মবেশী আধার মানবী 


@@@@@@@@@@@@@@@@@@##


সকালে মায়া ঘুম থেকে উঠে শুভকে ডাকার জন্য রুমে যেতেই চমকে উঠে


কারন শুভর রুম টা সুন্দর করে পরি পাটি করে রাখা 


মায়া ভাবতে থাকে রুম টা এভাবে পরিপাটি করলো কে আর মাহমুদ কোথায় সে তো এত সকালে ঘুম থেকে উঠেনা 


মায়া মাহমুদের নাম ধরে ডাকতে থাকে 

আর এদিক সেদিক খুজতে থাকে কিন্তু কিছুতেই মাহমুদের সন্ধান পাইনা মায়া 


অতপর মায়া মাহমুদের নাম্বারে ফোন দেয় 


কিন্তু কোন লাভ হয়না বার বার শুধু বিজি দেখায় 



এদিকে রাতে তার বয়ফ্রেন্ড তার সাথে কথা বলেনি 

এখন তার ব্রেস্ট ফ্রেন্ড কেও খুজে পাচ্ছেনা

এত গুলো চিন্তা মায়া সহ্য করতে না পেরে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে 


তখনই মায়ার বাবা আর কাজের বুয়া দৌড়ে আসে 


মায়ার বাবা /// কি হয়ছে মা এভাবে চিৎকার করে কান্না করছিস কেন ??


মায়া // বাবা মাহমুদ কে কোথাও দেখছি না রুমটাও সুন্দর করে পরিপাটি করে রাখা আমি রুম না পরিপাটি করেদিলে সে তো কখনো করেনা 


মায়ার বাবা // আরে পাগলি মেয়ে আমার সে হয়তো কোথাও গেছে তার জন্য এভাবে কান্না করতে হবে কিছুখনের মধ্যেই চলে আসবে আর তার জন্য এভাবে কান্না করার কি আছে 


তখনই কাজের বুয়া মাহমুদ তো রাতেই একেবারে চলে গেছে 


মায়া // চলে গেছে মানে কোথায় গেল ও আমাদের কে না জানিয়ে আর আপনি জানা সত্বেও একবারো আমাদের কাউকে জানালেন না 


কাজের বুয়া // জানাতে চাইছিলাম আমি যখন সে চলে যেতে লাগে কিন্তু সে আমার পায়ে ধরে কেদে কেদে বলছে যেন তোমাদের কাউকে না জানায় তাই জানাই নি আর হ্যা যাওয়ার আগে একটা চিটি দিয়ে গেছে তোমাকে দিতে বলছে 


অতপর কাজের বুয়া মায়ার হাতে একটা চিঠি দেয় 


মায়া চিঠি খুলে পড়তে থাকে 


তোমাদের কাছে আগে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আমাকে তোমারা ক্ষমা করে দিও 

বিশেষ করে দিয়া তুমি 


আমি কখনো ভাবতেই পারিনাই যে আমার ভালোবাসা তুমি ছিলে 

আমি তোমাকে দেখার পর থেকে শুধু আমার সেই ভালোবাসার মানুষ টাকে নিয়ে ভাবতাম যেন সে তোমার মত হয় 

তোমাকে দেখেই আমি কল্পনা করতাম যে আমার না দেখা ভালোবাসার চেহারা যেন তোমার মত হয় তোমার ঠোটের মত যেন তার ঠোট হয় তোমার চুলের মত যেন তার চুল হয় কিন্তু আমি কখনো ভাবি নাই যে আমার সেই ভালোবাসাটাই তুমি 


বিকালে তুমি বলে ছিলে আমার ভালোবাসার মানুষের সাথে কথা বলতে নাকি তুমি দেখনা কিন্তু তুমি দেখবে কি ভাবে যখন তুমি আমার সাথে কথা বলতে তখন তুমি আমার সাথে থাকতে না আর যখন থাকতে তখন তুমি লাইনে থাকতে না আমার সাথে কথা বলতে না 


বিশ্বাস করো রাতে যখন তোমার ছবি দেখেছি তখন আমি বিশ্বাস করতে পারিনাই তুমি আমার দিয়া


তখন বার বার মন চাইছে তোমার রুমে গিয়ে জড়িয়ে ধরে বলি আমি তোমার সেই মাহমুদ যার গল্পের প্রেমে পড়েছো 


কিন্তু তোমার বাবার ১ম দিনের কথা গুলা আমাকে বাধা দিয়েছে 


যখন তিনি রাস্তা থেকে আমাকে তুলে নিয়ে এসে তোমাদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়ে ছিল 


সেদিন মায়ার বাবা মাহমুদকে কি বলেছিল সেগুলো একটু ফ্লাসবেক থেকে জেনে আসি 


মায়ার বাবা // বাবা মাহমুদ তোমাকে বিশ্বাস করে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এসে আমার বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছি এমন কি আমার জানের টুকরা মেয়ের কাছে থাকতে দিয়েছি তুমি এমন কিছু আমাদের সাথে করিও না যাতে তোমার উপর আমার সিমাহীন বিশ্বাস টা নষ্ট হয় 


তোমাকে অনেক ভালো মনে করে এই বাড়িতে জায়গা দিয়েছি সেই বিশ্বাস টা রাখিও 


যতদিন তুমি এখানে থাকবে আমার সন্তানের মতই তোমাকে দেখে রাখবো 


বাস্তব,,,,,,,,,,


আমি আংকেলের কথা রক্ষা করার জন্য তোমাকে না জানিয়ে চলে আসলাম 


আর আমি যদি তোমাকে ভালোবাসার কথা বলতাম তাহলে আংকেল হয়তো ভাবতো তার ধন সম্পদ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তোমাকে ভালোবাসার ফাদে ফালাইছি তাই তার অভিযোগ থেকে বাচার জন্য তোমাকে ছেড়ে রাতের অন্ধকারে চুরের মত পালিয়ে আসলাম জানি না তুমি আমাকে কি মনে করবে 

ভাবতে পারো আমি ঠক চিটার 


কিন্তু বিশ্বাস করো আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি 


দিয়া শেষ একটা কথা যা হবাব তা একটা একসিডেন্ট বা খারাপ শপ্ন মনে করে ভুলে যাও 


আমাকে তুমি ভুলে যাও তোমার সাথে আমার যাইনা 

আর আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও ,,

মায়া আর বাকি লেখা পড়তে পারেনা তার আগেই সেন্সলেস হয়ে পড়েযাই 


তখনই তাড়াতাড়ি করে মায়ার বাবা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই 


এদিকে মাহমুদ বাড়ি পৌছঁতেই তার মা 


বাবা আজই এসে পরলি যে 


মাহমুদ // এমনি মা তোমাকে এভাবে একা রেখে ঢাকা থাকতে ভালো লাগলো না 


আপনারা তো জানেন কথা কত বড় ডাহা মিথ্যা কথা কেউ আবার মাহমুদের আম্মুকে বলবেন না ঐ কথা যে মাহমুদ মিথ্যা বলছে 


মাহমুদের মা // আচ্ছা তুই ফ্রেস হয়ে খেতে আয় 


অতপর মাহমুদ ফ্রেস হতে চলে যাই 


এদিকে ডাক্তার রা মায়ার চিকিৎসা করছে তখনই ফারিয়া মায়ার নাম্বারে ফোন দেয় 


কাজের বুয়া ফোন রিসিব করে হ্যালো কে??


ফারিয়া // আমি ফারিয়া , আন্টি মায়া কই 


বুয়া /// হাসপাতালে 


ফারিয়া // হাসপাতালে কেন কি হয়ছে তার ???


বুয়া // মাহমুদ আর মায়া নাকি একে অপর কে অনেক দিন ধরে ভালোবাসতো ফেসবুকে, কিন্তু রাতে মাহমুদ সেটি জানতে পেরে বাড়ি ছেড়ে চলে যাই এই জন্য মায়া সেন্সলেস হয়ে গেছে 


ফারিয়া // তো মাহমুদ চলে গেল কেন ???


বুয়া /// ,,,,,,,,,,,,,,, চিঠির কথা গুলি শুনাই 


এদিকে মায়ার জ্ঞান ফিরলে সামনে তার বাবাকে দেখতে পেয়ে আব্বু মাহমুদ অনেক ভালো ছেলে সে আমাকে কখনো কষ্ট দিবে না , আমাকে অনেক সুখে রাখবে বাবা তুমি আমাদের মেনে নাও 


আব্বু আমি তোমার কাছে কখনো কোন জিনিস চাইনি আজ শুধু তোমার কাছে একটা জিনসই চাই আমার মাহমুদকে মেনে নাও আমি আর কখনো কোন জিনিসের আবদার করবো না 


মায়ার বাবা /// তোমার সাহস তে কম না ঐ ছোট লোকটাকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আবদার করছো 


এই পর্বে শেষ করে দিতাম কিন্তু কোন রোমান্টিক হতো না কিছু পাঠক রাও বলেছে শেস পর্ব রোমান্টিক করে দিতে তাই আগামি পর্বে কিছু টা রোমান্টিক দিতে চাইছি 


বাট সবার কাছে মতামত চাইছি আগামি পর্বে হ্যাপি হবে না স্যাড হবে 


কমেন্ট বক্সে জানাবেন 


চলবে ,,,,


এটা আমার পেইজ নতুন খুলেছি এখন থেকে সবার আগে এখানেই পোস্ট করবো তার পর আইডিতে আগে গল্প পড়তে চাইলে ফ্লো করে রাখতে পারেন 


https://www.facebook.com/আরিয়ান-আহমেদ-শুভ-108435838137435/


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !