ব্রেস্টফ্রেন্ড যখন বউ । পর্ব ১০

 


ব্রেস্ট ফ্রেন্ড যখন বউ 


পর্ব ১০


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


©©©©®® abdul motin©©©©©©©


বর্ষা ডিবস পেপার দেখে একটা চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাই 


বর্ষার চিৎকারের আওয়াজে বর্ষার বাবা তার রুম থেকে বরে হয়ে আসে 


অতপর বর্ষাকে সেন্সলেস হওয়া দেখে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই


ডাক্তার রা তার চিকিৎসা করতে থাকে 

 এদিকে বর্ষার মা বর্ষার বাবাকে শুধু মেয়েটার এই অবস্থা আজ তোমার জন্য 

 যদি মেয়েটার কিছু হয় তাহলে কিন্তু তোমার খবর আছে তুমি যখন জানতে বর্ষা কাউকে ভালোবাসে বিয়েও করেনিয়েছিল গুপনে তো সেটি তুমি আমাকে জানালে না কেন বা তাদের মেনে নিলে না কেন 

বর্ষার বাবা/// আমি কি করে মেনে নিতাম ছেলেটি ছিল একদম গরিব তার কোন পরিবারো ছিলোনা আমি কি ভাবে ঐ রকম ঘরে আমার মেয়েকে পাঠায় 


বর্ষার মা // আমাদের কি কম ছিল আমাদের তো একটি মাত্র সন্তান তার খুশিতে কি আমরা খুশি হতে পারবো না 

আর তোমার এত ধন সম্পদ কাকে দিবা 

মেয়ের জামাইকেই তো দিবা তাহলে গরিব বলে কেন মেনে নিলে না 


দেখ তোমার কারনে আজ মেয়েটা হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে আছে

পারলে ছেলেটাকে খুজে নিয়ে আসো যেখান থেকে পারো 


বর্ষার বাবা// 😷😷😷


তখনই ডাক্তার ক্যাবিন থেকে বের হয়ে আসে 


বর্ষার মা /// ডাক্তার মেয়েটির কেমন অবস্থা 


ডাক্তার// এখন মোটামুটি সুস্থ আছে তবে তার প্রতি খেয়াল রাখবেন সে শারিরিক ভাবে অনেক টাই দুর্বল তাই হয়তো বেশী চাপ নিতে পারেনাই দেখে সেন্সলেস হয়েছিল ,এখন জ্ঞান ফিরছে আমি কিছু ঔষধ লিখে দিচ্ছি সেগুলো তাকে নিয়মিত খাওয়াবেন 

এই বলে ডাক্তার চলে যাই


অতপর তারা বর্ষাকে দেখার জন্য গেলে বর্ষা তার মাকে ঝড়িয়ে ধরে মা শুভ কে আমার কাছে এনে দাও আমি শুভ কে ছাড়া বাচবো না এই বলে কান্না করতে থাকে


বর্ষার মা // দেখ মা এমন পাগলামি করবিনা তর পেটে এখন তার সন্তান আছে এই সন্তানের জন্য হলেও তকে বেচে থাকতে হবে আর আমরা যে করেই হক তর ভালোবাসার মানুষ কে তর কাছে ফিরিয়ে দেব এই মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসে 


এদিকে শুভ কাজ শিখার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যে আরমান সাহেবের প্রিয় একজন হয়ে উঠে এমন কি তার সাথে পিতা পুত্রের মত সম্পর্কও হয়ে যাই 


হঠাৎ একদিন শুভ অফিসে এসে দেখতে পাই আরমান সাহেব বেশ চিন্তিত 


তাই সে আরমান সাহেবের ক্যাবিনে গিয়ে 


শুভ/// আংকেল একটা কথা বলার ছিল 


আরমান// বলো 


শুভ/// আংকেল প্রায় সময় আপনাকে দেখি এভাবে চিন্তিত অবস্থায় অফিসে আসেন আজ চিন্তিত আপনি এত কি নিয়ে চিন্তিত পেরেসান আমি কি একটু জানতে পারি বাসাতেও দেখি আপনার কোন আপন জন নেই আপনি কি কোন বিয়ে করেন নাই 


আরমান// হুম করে ছিলাম বিয়ে আমার দোষের কারনে তারা আমার কাছে নেই 

আমি তাদের কারনেই এত চিন্তিত থাকি 


শুভ// আপনি কি এমন করেছিলেন যার কারনে আন্টি আপনাকে ছেড়ে চলে গেছে 


আরমান// আমাকে ছেডে যাইনি ও আমি তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি 


শুভ// কেন আংকেল 


আরমান// শোন তাহলে ????


চলেন একটু অতিত থেকে ঘুরে আসি 


আরমান সাহেব বলতে শুরু করে 


আজ থেকে প্রায় ২৪, ২৫ বছর আগের কথা যখন আমি সবে মাত্র পড়ালেখা শেষ করে আব্বুর এই অফিসে চাকরি শুরু করেছি তখনই একদিন আব্বু আমার সামনে এসে একটা পান্জাবি দিয়ে বলে এটা পড়ে নাও এক জায়গায় যেতে হবে 


আমি সাথে সাথেই সেটি পড়ে রেডি হয়ে নিয় কারন বাবাকে আমি বড্ড ভয় পেতাম তাই কোন কাজে প্রশ্ন করতাম না 


পরে বাবা আমাকে নিয়ে একটি বিয়ে বাড়ি যাই তখন আমি 

আব্বু এটা তো বিয়ে বাড়ি তাহলে এখানে কার বিয়ে 


আব্বু // আজ তোমার বিয়ে 

আমি// কিহ ! আমি এই বিয়ে করতে পারবো না 


আব্বু// আমি বলছি তোমার বিয়ে আজ তোমাকেই বিয়ে করতে হবে 


পরে বাধ্য হয়ে আমি বিয়ে করি কিন্তু যখন বাসর ঘরে যাই তোমার আন্টিকে দেখা মাত্রই বেলকনিতে চলে আসি কারন তোমার আন্টি ছিল শেম বর্নের যা আমার পছন্দ না 

পরে বলকনিতে যখন এসে ভাবতে থাকি কি থেকে কি হলো 


তখনই তোমার আন্টি পিছন থেকে আমার গাড়ে হাত দেয় জানি আমাকে আপনার পছন্দ হয়নি কারন আমি কালো কোন ছেলেই এমন চাইনা যে তার জিবন সঙ্গি কালো হক সবাই সুন্দরী চাই 

আমি আপনাকে যত টুকু ভালোবাসতে পারবো ততটুকু হয়তো কোন সুন্দরি মেয়ে পারবে না আমি এতিম কখনো আপনাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না সবসময় আপনার কাছে থাকবো আপনাকে ভালোবাসবো আদর করবো 


সেদিন তোমার আন্টির কথায় আমার মন গলে ছিল তাই তার সাথে বাসর করি কিন্তু সকালে তার চেহারা দেখেই রাগ হতো আমার ভালে লাগতো না তবুও বাবার ভয়ে তাকে নিয়ে আমি অল্প কিছুদিন তার সাথে সংসার করি 


একদিন হঠাৎ বাবা মারা যাই আর তখন থেকেই শুরু করি তোমার আন্টির উপর অত্যাচার আর নির্যাতন 


এভাবে তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও সে আমাকে ছেড়ে যেত না সবসময় আমার কাছেই থাকতো 


হঠাৎ একদিন রাতে আমি নেশা করে বাসায় ফিরি দরঝা খুলতে অনেক দেরি করে দেখে তাকে অনেক মাইর ধর করি আর বাসা থেকে বের করে দেয় 


সেদিন সে আমার পা ধরে কান্না করে বলেছিল আমাকে তাড়িয়ে দিওনা তোমার সন্তান আমার পেটে আমি একে নিয়ে কোথায় যাবো কোথায় থাকবো কিন্তু সেদিন আমি কোন কথা শুনিনাই তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি 


তারপরের দিনই আমার পচন্ড জ্বর আসে 

কিন্তু কেউ আমার সেবা করার জন্য আসেনা আমি দুইটা দিন ঘরেই পরে ছিলাম তখন থেকেই আমি তোমার আন্টিকে মিস করতে থাকি 


আর খুজতে থাকি আজ পর্যন্ত তাকে খুজে পাইনি সেদিন ঢাকা গিয়েছিলাম তোমার আন্টিকে খুজতে কিন্তু সেদিন তোমার সাথে দেখা হয় 

লোক ও লাগিয়ে দিয়েছি কিন্তু তাকে আর খুজে পাইনাই তাকে নিয়েই আমি চিন্তিত থাকি না জানি সে কোথায় আছে বেচে আছে না মারা গেছে আমার সন্তান টাই বা কত বড় হয়ছে আমি কি তাকে আর পাবো না 


জানো শুভ তোমার সাথে যখন আমি কথা বলি মনে হয় আমি আমার কোন আপন জনের সাথে কথা বলি 


আচ্ছা তোমার কি কোন এমন কষ্টের অতিত নেই 


শুভ// হুম 


আরমান// তুমি বল আমি ও শুনি 

শুভ তখন তার আর বর্ষার ঘটে যাওয়া কাহিনি শুনাই 


আরমান// তোমার ঘটনাও তো অনেক কঠিন 


শুভ/// হুম .আচ্ছা আংকেল কিছু মনে না করলে আমি কি আন্টির কোন ছবি দেখতে পারি যদি ছবি থেকে থাকে তাহলে আমিও আপনার কাজে সাহায্য করতাম 


আরমান / হুম দারাও দেখাচ্ছি এই বলে মোবাইল থেকে একটি ফটো বের করে শুভর সামনে দেয়


শুভ মোবাইল টি হাতে নিয়ে পিকটি দেখতেই হাত থেকে মোবাইল পরে যাই 


শুভ /// আমি আন্টিকে বের করে দিবো তার বিনিময়ে আপনি আমাকে কি দিবেন 


আরমান // সাহেব তুমি যা চাইবে আমি তাই দেব 


শুভ// আমি আন্টি আর আপনার ছেলের বিনিময়ে সমস্ত সম্পদ চাই দিবেন আমাকে 


চলবে,, 


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,, 

আর NC next না বলে ঘঠন মুলক মন্তব্য করার চেস্টা করবেন 

আপনার একটা মন্তব্য আমার নতুন গল্প লেখার উৎসাহ জাগায় 

সময় হলে গল্প এমনিতেই দেব

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !