মামাতো বোন যখন ex গার্লফ্রেন্ড । পর্ব ৮

 


মামাতো বোন যখন ex গার্লফ্রেন্ড

পর্ব ০৮

আরিয়ান আহমেদ শুভ


🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🤷🏼🙋🏽


শোন তাহলে সেদিন যখন শুভর সাথে বসে গল্প করছিলাম তখন আমাকে আব্বু ফোন করে দাদুর অসুস্থতার কথা জানাই পরে আমি শুভ কে বলে দাদুকে দেখার জন্য হাসপাতালে যাই সেখানে দেখি দাদুকে একটা ক্যাবিনে শুয়ায়া রাখা হয়ছে

দাদুভাই এখন কেমন লাগছে তোমার 


দাদু// দিদিভাই মনে হয় আমি আর বাচবোনা মরার সময় এসে গেছে 

এই সময়ে তোমার কাছে একটা জিনিস আবদার করবো পুরন করবে কি আমার সেই আবদার টা 


আমি// দাদুভাই এভাবে বলছো কেন তোমার কিছুই হবেনা আর তুমি আমার ছোট বড় যখন যা আবদার করেছি তখন তুমি তাই পুরন করছে আর আমি কি তোমার একটা আবদার ও পুরন করবো না 


দাদু/// জানিস দিদিভাই আমার না একটা মেয়ে আছে বড্ড অভিমানি 

আমি/// কি বলছো দাদুভাই আমার ফুপি আছে আমাদের এখানে আসেন কেন

দাদুভাই// সে যে বড্ড অভিমানি আসবেনা এখানে


আমি// কেন আসবেনা 

দাদুভাই/// আমি যে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছি বলতেই কেদে দেয়


আমি// কেন কি করেছিল ফুপি 


দাদু// তোমার ফুপি একটা ছেলেকে ক্লাস সেভেন থেকেই ভালোবাসতো আমরা সেটা জানতাম না যখন সে ইন্টার ২য় বর্ষে উঠে তখন আমরা তার বিয়ের কথা বলি আর তাতে সে না করে দেয় যে বলে সে নাকি একটা ছেলেকে ভালোবাসে আর তাকেই সে বিয়ে করবে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করবে না 


পরে যখন আমরা ছেলেটির খোজ নিয়ে দেখতে পারি ছেলেটি গরিব তাই আমরা রাজি হয়নি 


পরে আমরা তাকে ঘরে আটকিয়ে রেখেছিলাম 


কিন্তু সে কেমনে জানি ঘর থেকে বের হয়ে 

চলে যাই অতপর তার ভালোবাসার মানুষ কে বিয়ে করে বাড়িতে আনে 

আমি তা দেখেই রেগে যাই যাহ তুই আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা আজ থেকে আমার কোন মেয়ে নেই যে ছিলো সে আজ থেকে আমার কাছে মরে গেছে 

আমি বেচে থাকতে কখনো তুই এই বাড়িতে পা রাখবিনা এই বলে তাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় 


পরে মরিয়ম কে মানে ((পুস্পার ফুপির নাম) ছেলেটি তার ছোট্ট কুটির ঘরে নিয়ে যাই 


তার একবছর পরেই তাদের ঘরে একটা সন্তান আসে তখন তাদের ছোট্ট সংসার আলোকিত হয়ে উঠে কিন্তু


আমি// কিন্তু কি দাদুভাই


দাদুভাই// কিন্তু তাদের এই আনন্দ বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনাই তার কিছুদিন পরেই তার স্বামি ক্যান্সারের কারনে চিকিৎসার অভাবে মারা যাই 

এরপর তার জিবনে দুঃখ কষ্ট নেমে আসে 

তখন থেকে সে মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে জিবন পার করতো আমাদের কাছে আর আসে নাই 


আমরা সে গুলো তার মারা যাওয়ার পর জানতে পারি 

দিদিভাই আমি চাচ্ছি মরিয়মের ছেলের সাথে তর বিয়ে দিয়ে তাকে আবার আমার বাড়িতে নিয়ে আসবো তুমি কি আমার এই আবদার টা পুরন করবে না নাকি মরিয়মের মত তুমি পালিয়ে বিয়ে করে নেবে 


, দাদুর কথা শুনার সাথে সাথেই মনে হয়ে আমার পা থেকে মাটি সরে যাই 

আমি তখন মাথা নিচ করে ফেলি 


দাদুভাই// কি হলো দাদু ভাই আমার এই আবদার টা পুরন করবে না 


আমি// দাদুভাই আমি যে একজন কে আমার জিবন থেকেও বেশি ভালোবাসি তাকে কি করে ভুলবো 


দাদুভাই// তার মানে তুমি আমার আবদার টুকু পুরন করবে না আচ্ছা তোমার পুরন করতে হবে না কিছুদিন পর তো মরেই যাবো


আমি কি করবো তখন আমার হাতে কোন সুযোগ ছিলনা আমি দাদুর হাত ধরে আমি পুরন করবো তোমার আবদার আমি আমার ভালোবাসার মানুস কে ভুলে যাবো পরে এই কথা বলে হাসপাতাল থেকে এসে বাসায় কান্না করতে থাকি আর ভাবতে থাকি কি করে তাকে ভুলবো কখনই তো তাকে ভুলতে পারবো না পরে মাথায় একটা বুদ্ধি আসে আর তোমাকে আমার সাথে ভালোবাসার অভিনই করতে বলি 


আজ থাকে এই কথা গুলি বলতাম না কারন তার চখে আমাকে খারাপ বানানোর জন্যই এমন করেছি দেখনা মাত্র সাত দিন তার সাথে কথা বলিনাই তাই সে কি রকম অবস্থা করেছে তুমি বল মামুন সে করি করে পারবে আমার থেকে সারা জিবনের বিচ্ছেদ


মামুন // তো এখন তুমি কি করবে 


পুস্পা// এখন আমি আমার ফুপির বাসাই যাবো


,মামুন,, আচ্ছা যাও তাহলে


অতপর পুস্পা চলে যাই


এদিক শুভ হাট গেড়ে মাটির দিক তাকিয়ে কান্না করতে থাকে তখন কে যেন তার ঘাড়ে হাত রাখে 


শুভ পিছন দিকে তাকাতেই


চলবে,,,,,,,, 


ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 


আর যাদের কাছে আমার গল্প ভালো লাগেনা তারা আমার পোষ্ট এড়িয়ে চলবেন অজথা গল্প লেখার মুড় নস্ট করবেন না


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

buttons=(Accept !) days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Learn More
Accept !